‘কোনো শত্রুই ইরানকে অচল করতে পারবে না’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, কোনো শত্রুই তাঁর দেশকে অচল করে দিতে পারবে না। সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে রাজধানী তেহরানে গতকাল মঙ্গলবার এক বৈঠকে এ কথা বলেন খামেনি। পরে তাঁর ওয়েবসাইট ওই বক্তব্য প্রকাশ করে। ইরানের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা খামেনি আরও বলেন, ট্রাম্প মার্কিন দুর্নীতির ‘আসল চেহারা’ দেখিয়ে দিয়েছেন।
এ জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। নির্বাচনী প্রচারের সময় এবং পরে তিনি মার্কিন শাসনব্যবস্থায় রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নৈতিক এবং সামাজিক দুর্নীতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ইরান অন্তত ৩০ বছর ধরে এ কথা বলে আসছে। ট্রাম্প তেহরানকে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করতে বলেছেন। খামেনি তাঁর ‘হুমকির’ জবাব দিতে ইরানি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইরানিরা আগামী শুক্রবার ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাব দেবে। ওই দিন দেশটির ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের বার্ষিকী। সাত মুসলিমপ্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মার্কিন বিমানবন্দরে এক ইরানি শিশুর হাতকড়া পরানো ছবি প্রকাশিত হয়েছে। সে ঘটনার উল্লেখ করে খামেনি বলেন, তিনি (ট্রাম্প) পাঁচ বছর বয়সী একটা ছেলেকে হাতকড়া পরিয়ে মার্কিন মানবাধিকারের প্রকৃত তাৎপর্য প্রকাশ করে দিয়েছেন।
ইরান গত ২৯ জানুয়ারি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোর পর ট্রাম্প একে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ আখ্যা দিয়ে দেশটির ওপর নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি গতকাল বলেছেন, ছয় পরাশক্তির সঙ্গে তেহরানের পারমাণবিক চুক্তি দুই পক্ষের স্বার্থই নিশ্চিত করে। ট্রাম্প একে যেভাবে বিশ্বশক্তির পরাজয় হিসেবে দেখছেন, তা ঠিক নয়। ওই চুক্তিকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার দৃষ্টান্ত হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভাষণে রুহানি বলেন, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওই চুক্তি পড়লেও তা মানতে পারছেন না। তিনি এটাকে ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ চুক্তি বলেছেন। উল্লেখ্য, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বাতিলের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন।
No comments