কোটি কোটি রুপি আর সোনা উদ্ধার

হুন্ডি ব্যবসায়ীর ঘরে পাওয়া রুপি
ও সোনার অলঙ্কার। এনডিটিভি
৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট বাতিলের পর থেকে কালোটাকার ‘কুমির’ ধরতে ভারতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে আয়কর দপ্তর। অপ্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদ বাঁচাতে এবং নিজে বাঁচতে কালোটাকার মালিকেরা বেছে নিচ্ছেন নানা কৌশল। নানা ফন্দিফিকির করে অর্থ লুকিয়ে রাখছেন। তারপরও অনেকে পার পাননি। গত কয়েক দিনেই ২০০ কোটি রুপির বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। চেন্নাইয়ের ধনকুবের জে শেখর রেড্ডির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে রুপি ও সোনার বার, যার মূল্যমান ১৮১ কোটি রুপি। দিল্লির একটি আইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ রুপি এবং কর্ণাটকের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর বাড়ি তল্লাশি করে ৫ কোটি ৭০ লাখ রুপি ও ৩২ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, শুক্রবার চেন্নাইয়ে শেখর রেড্ডির বাড়ি তল্লাশি করে ১০৬ কোটি রুপি ও ৩৬ কোটি রুপি মূল্যের সোনার বার উদ্ধার করা হয়। শনিবার ভেলোরের রাস্তায় রেড্ডির একটি গাড়ি তল্লাশি করে সেখান থেকে আরও ২৪ কোটি রুপি উদ্ধার করা হয়।
ওই দিনই শেখর রেড্ডিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর দেওয়া তথ্যমতে বাসা থেকে ৫০ কোটি রুপি মূল্যের সোনার বার উদ্ধার করা হয়। সব মিলিয়ে তাঁর কাছ থেকে ১৩০ কোটি ৫০ লাখ রুপি এবং ৫০ কোটি ৫০ লাখ রুপি মূল্যের ১৭৭ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে, দিল্লিতে টিঅ্যান্ডটি ল ফার্ম নামের একটি আইন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার রাতে তল্লাশি চালান কর কর্মকর্তারা। তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ের আলমারি থেকে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ রুপি উদ্ধার করেন। এ সময় একজন তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া সেখানে প্রতিষ্ঠানটির কেউ ছিলেন না। এ ছাড়া শনিবার কর্ণাটকের চাল্লাকেরে শহরের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর বাড়ির গোসলখানায় লুকানো ৫ কোটি ৭০ লাখ রুপি এবং ৯০ লাখ রুপি মূল্যের ৩২ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেন, গোসলখানার ছাদে একটি বাক্সে রুপি ও সোনার বার লুকিয়ে রেখে টাইলস দিয়ে কায়দা করে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। টাইলস খুলে ওই অর্থ ও সোনার বার বের করে আনা হয়। ওই হুন্ডি ব্যবসায়ীর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি। আয়কর কর্মকর্তারা বলেন, দেশজুড়ে অভিযান চলছে। আরও অনেক কালোটাকার সন্ধান পাওয়া যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী।

No comments

Powered by Blogger.