নতুন সেনাপ্রধান নিয়ে ভারতে বিতর্ক
ভারতের নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতকে সেনাপ্রধান করার ক্ষেত্রে সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র মনীশ তিওয়ারি বলেছেন, তাঁদের দল লে. জে. রাওয়াতের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না। তবে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে তালিকার চার নম্বরে থাকা কর্মকর্তাকে সেনাপ্রধান করা হলে প্রশ্ন ওঠেই। তিওয়ারি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘তাহলে কি যাঁদের ডিঙিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁরা যথেষ্ট সক্ষম নন, নাকি পছন্দের ভিত্তিতে কাউকে বেছে নেওয়া হয়েছে?’ তিওয়ারি বলেন, এ ধরনের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এ প্রসঙ্গে তিনি চিফ ভিজিল্যান্স অফিসার (সিভিসি) নিয়োগ, দুর্নীতির ওপর নজরদারি করা প্রতিষ্ঠান ইডির পূর্ণকালীন পরিচালক ‘নিয়োগ না করা’র কথা উল্লেখ করেন। সিপিআই নেতা ডি রাজা বলেন,
সেনাবাহিনী এবং সিভিসিসহ বিভিন্ন শীর্ষ সরকারি পদে নিয়োগ বিতর্কিত হয়ে উঠেছে। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। ডি রাজা আরও বলেন, সেনাবাহিনী গোটা দেশের। কীভাবে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সরকারকে সে প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত। জ্যেষ্ঠ এ বাম নেতা আরও বলেন, দেশবাসীকে এ বিষয়ে সন্তুষ্ট করতে হবে। ক্ষমতাসীন বিজেপি এ সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছে, নতুন সেনাপ্রধান নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রশ্ন তোলা দেশপ্রেমের পরিচায়ক নয়। দলটির মুখপাত্র জি ভি এল নরসীমা রাও বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্য সশস্ত্রবাহিনীর নৈতিক মনোবলকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আমরা সশস্ত্রবাহিনীকে রাজনীতিতে টেনে আনার চেষ্টার নিন্দা জানাই।’ সরকারি সূত্র বলেছে, ভারতের চলমান চ্যালেঞ্জ, যেমন: আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস, পশ্চিম সীমান্তের ‘ছায়াযুদ্ধ’ ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিস্থিতি মাথায় রেখে বিপিন রাওয়াতকে নিয়োগ করা হয়েছে। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা, চীন সীমান্তসহ বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে তাঁর তিন দশক কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
No comments