নিজেকে ছাপিয়ে যেতে চান টুম্পা
জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে ৭টি সোনা জিতে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন সোনিয়া আক্তার টুম্পা। এসএ গেমসে দুটি স্বর্ণ জয়ে সেই আলো কেড়ে নেন মাহফুজা খাতুন শিলা। সকলের প্রত্যাশা ছিল অলিম্পিকে সাঁতরাবেন এই জলকন্যা। শিলাও স্বপ্ন দেখেছিলেন অলিম্পিকে যাওয়ার। শিলার সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও টুম্পার হয়েছে। এবার রিওডি জেনিরো অলিম্পিকের পুলে নামবেন বাংলাদেশের সাঁতার তারকা সোনিয়া আক্তার টুম্পা। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ- অলিম্পিকে টুম্পার স্বপ্নটা কী? বাস্তবতা মাথায় রেখেই টুম্পা জানালেন তার স্বপ্নের কথা। বলেন, অলিম্পিকে নিজেকে ছাপিয়ে যেতে চাই। প্রশ্ন: সত্যিই কি ভেবেছিলেন এবারই অলিম্পিকে যেতে পারবেন?
টুম্পা: না, আমার মনে হয়েছে ওয়াইল্ড কার্ড পেলে সাগর ভাই পাবেন। আমি হয়তো এবার পাবো না। তবে অলিম্পিক খেলার স্বপ্ন কিন্তু ঠিকই আমার মনের মধ্যে ছিল।
প্রশ্ন: প্রথমবার অলিম্পিকে অংশ নেয়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। নিশ্চয় তর সইছে না?
প্রশ্ন: কোচ পার্ক তে গুনের অধীনে প্রস্তুতি কেমন চলছে? আপনার তো সাগরের মতো থাইল্যান্ডে অনুশীলনে যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
টুম্পা: গত মে থেকে আমরা অনুশীলন করছি। মাঝে ঈদের ছুটিতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষে আবার অনুশীলনে ফিরেছি। প্রস্তুতি ভালোই চলছে। রোজার সময়ও তিন বেলা অনুশীলন করেছি। ছুটি শেষে ফেরার পর আপাতত দুই বেলা অনুশীলন করছি। আমরা অলিম্পিকের ক্যাম্পেই ছিলাম। রিও অলিম্পিকের জন্য চারজন বৃত্তি পেয়েছিলাম। চারজনের মধ্যে সাগর ভাই আর নাজমা (খাতুন) থাইল্যান্ডে গিয়েছিল। আমরা দুইজন বাংলাদেশে ছিলাম। এই তিন মাস পার্ক তে গুন আমাদের অনুশীলন করান।
প্রশ্ন: থাইল্যান্ডে যাওয়া হলো না বলে কি প্রস্তুতিতে কমতি থেকে গেল?
টুম্পা: দেশের বাইরে অনুশীলনে যেতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো। আসলে তাদের কিভাবে অনুশীলন করানো হয়েছে, সেটা আমরা দেখিনি, টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও জানি না। তবে পার্ক আমাদের যেভাবে ট্রেনিং করাচ্ছেন, সেটাও মন্দ নয়। আমাদের তো অনেক কিছু নাই। তারপরও কোচ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) কাছে চেয়ে, অনুরোধ করে যতটুকু পারছে, সেগুলো এনে, সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে আমাদের অনুশীলন করাচ্ছে।
প্রশ্ন: প্রস্তুতির সন্তুষ্টির কথা বলছেন। তাহলে অলিম্পিক নিয়ে কী লক্ষ্য স্থির করলেন?
টুম্পা: অলিম্পিকে ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে অংশ নেবো আমি। এই ইভেন্টে নিজের সেরা টাইমিংকে ছাপিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য। ঘরোয়াতে এই ইভেন্টে আমার সেরা টাইমিং ৩০.৮৫ সেকেন্ড।
প্রশ্ন: অলিম্পিকে এতটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকবেন? ঘরোয়া সাঁতারেতো আপনি বেশ সফল।
টুম্পা: আসলে এতটুকুতে সন্তুষ্ট থাকা ঠিক না। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে ১০০, ২০০ বাটারফ্লাই, ২০০ ব্যাকস্ট্রোক ও ২০০ ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ও তিনটা রিলে ইভেন্টে সোনা জিতেছি। আসলে আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাই। যারা বাইরে থাকে, তারা বড়ই হয় অলিম্পিকে অংশ নেয়ার জন্য। ওরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়ে পড়ে থাকে। ছোটবেলা থেকেই ওরা শুরু করে, কিন্তু আমাদের একজনকে দিয়েই অনেক কিছু করতে হয়। আমরা শুধু অলিম্পিকের জন্য করি না। ন্যাশনাল, অন্যান্য গেমসও করতে হয়।
প্রশ্ন: অলিম্পিকে সাঁতার থেকে ভালো কিছু পেতে হলে কি দরকার বলে মনে হয় আপনার?
টুম্পা: আরো উন্নত ট্রেনিং সুবিধা, সম্ভব হলে দেশের বাইরে আরো ভালো কোচের অধীনে অনুশীলন দরকার। যাকে বা যাদেরকে অলিম্পিকে পাঠানো হবে, তাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দরকার।
প্রশ্ন: প্রথমবার অলিম্পিকে অংশ নেয়ার স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। নিশ্চয় তর সইছে না?
টুম্পা: খুবই ভালো লাগছে। প্রথমবার তো। আর সবার আশা থাকে অলিম্পিকে খেলার। এতদিন খেলছি; অনুশীলন করছি; অলিম্পিকে খেলার আশা ছিল; সেটা পূরণ হচ্ছে। এ আনন্দ আসলে বলে বোঝানো যাবে না। প্রশ্ন: ব্রাজিল বলেই কি আনন্দ আরেকটু বেশি?
টুম্পা: না, ব্রাজিল বলে নয়; অলিম্পিক বলেই ভালো লাগাটা বেশি। ফেডারেশনকে ধন্যবাদ। আমি নৌবাহিনীতে আছি। নৌবাহিনীকে আরো বেশি ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।প্রশ্ন: কোচ পার্ক তে গুনের অধীনে প্রস্তুতি কেমন চলছে? আপনার তো সাগরের মতো থাইল্যান্ডে অনুশীলনে যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
টুম্পা: গত মে থেকে আমরা অনুশীলন করছি। মাঝে ঈদের ছুটিতে গিয়েছিলাম। ছুটি শেষে আবার অনুশীলনে ফিরেছি। প্রস্তুতি ভালোই চলছে। রোজার সময়ও তিন বেলা অনুশীলন করেছি। ছুটি শেষে ফেরার পর আপাতত দুই বেলা অনুশীলন করছি। আমরা অলিম্পিকের ক্যাম্পেই ছিলাম। রিও অলিম্পিকের জন্য চারজন বৃত্তি পেয়েছিলাম। চারজনের মধ্যে সাগর ভাই আর নাজমা (খাতুন) থাইল্যান্ডে গিয়েছিল। আমরা দুইজন বাংলাদেশে ছিলাম। এই তিন মাস পার্ক তে গুন আমাদের অনুশীলন করান।
প্রশ্ন: থাইল্যান্ডে যাওয়া হলো না বলে কি প্রস্তুতিতে কমতি থেকে গেল?
টুম্পা: দেশের বাইরে অনুশীলনে যেতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো। আসলে তাদের কিভাবে অনুশীলন করানো হয়েছে, সেটা আমরা দেখিনি, টেকনিক্যাল বিষয়গুলোও জানি না। তবে পার্ক আমাদের যেভাবে ট্রেনিং করাচ্ছেন, সেটাও মন্দ নয়। আমাদের তো অনেক কিছু নাই। তারপরও কোচ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) কাছে চেয়ে, অনুরোধ করে যতটুকু পারছে, সেগুলো এনে, সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে আমাদের অনুশীলন করাচ্ছে।
প্রশ্ন: প্রস্তুতির সন্তুষ্টির কথা বলছেন। তাহলে অলিম্পিক নিয়ে কী লক্ষ্য স্থির করলেন?
টুম্পা: অলিম্পিকে ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে অংশ নেবো আমি। এই ইভেন্টে নিজের সেরা টাইমিংকে ছাপিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য। ঘরোয়াতে এই ইভেন্টে আমার সেরা টাইমিং ৩০.৮৫ সেকেন্ড।
প্রশ্ন: অলিম্পিকে এতটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকবেন? ঘরোয়া সাঁতারেতো আপনি বেশ সফল।
টুম্পা: আসলে এতটুকুতে সন্তুষ্ট থাকা ঠিক না। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের গত আসরে ১০০, ২০০ বাটারফ্লাই, ২০০ ব্যাকস্ট্রোক ও ২০০ ইনডিভিজ্যুয়াল মিডলে ও তিনটা রিলে ইভেন্টে সোনা জিতেছি। আসলে আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করে যাই। যারা বাইরে থাকে, তারা বড়ই হয় অলিম্পিকে অংশ নেয়ার জন্য। ওরা দিনের পর দিন, মাসের পর মাস অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিয়ে পড়ে থাকে। ছোটবেলা থেকেই ওরা শুরু করে, কিন্তু আমাদের একজনকে দিয়েই অনেক কিছু করতে হয়। আমরা শুধু অলিম্পিকের জন্য করি না। ন্যাশনাল, অন্যান্য গেমসও করতে হয়।
প্রশ্ন: অলিম্পিকে সাঁতার থেকে ভালো কিছু পেতে হলে কি দরকার বলে মনে হয় আপনার?
টুম্পা: আরো উন্নত ট্রেনিং সুবিধা, সম্ভব হলে দেশের বাইরে আরো ভালো কোচের অধীনে অনুশীলন দরকার। যাকে বা যাদেরকে অলিম্পিকে পাঠানো হবে, তাদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দরকার।
No comments