ডনের নিবন্ধ : বিচারের কাঠগড়ায় বাংলাদেশ
পাকিস্তানের
প্রভাবশালী পত্রিকা ডনের এক নিবন্ধে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার
নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনমন্ত্রী
লেখক আহমার বিলাল সুফি।
‘বাংলাদেশ অন ট্রায়াল' (বিচারের কাঠগড়ায় বাংলাদেশ) শিরোনামে আহমার বিলাল সুফির ওই নিবন্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা, বিচার ব্যবস্থায় ত্রুটিসহ নানা ধরণের সমালোচনা করা হয়েছে।
ডনের নিবন্ধটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সব পক্ষের করা নৃশংস অপরাধই নিন্দনীয়। পাকিস্তান তার বাড়াবাড়ির জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। অতীতকে সমাধিত করা ও ভবিষ্যতে শক্তিশালী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই এ দুঃখ প্রকাশ করে পাকিস্তান।
কিন্তু ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পশ্চাদমুখী পন্থা অবলম্বন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার। এ পশ্চাদমুখী নীতি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ব্যাহত করছে। এমনকি এটা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য বিপর্যস্ত করছে। ঢাকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১৯৭১ সালের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছে। সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপির সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক বিরোধীদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ত্রুটিপূর্ণ আদালতে বিচার করে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করতে চায়।
১৯৭১ সালের ঘটনাবলীর চার দশক পর, ২০১০ সালে আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ বিচার ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির লঙ্ঘন। এ উপমহাদেশে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পুর্ণ মিত্রতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই এ চুক্তি করা হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার না করতে সম্মত হয়। এই পারস্পরিক নিশ্চয়তার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এ পর্যন্ত দুই ডজনের অধিক মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের রায় দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে চারজনের। আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও মান ভঙ্গ করে ন্যায়বিচারে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে আদালত কলঙ্কিত হয়েছে।
আইনি দৃষ্টিকোণ থেকেও আদালতকে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জামিন অধিকারে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজা ও যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে আপিলের আসামিদের সীমিত অধিকার দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে জনশ্রুতি প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে তড়িঘড়ি করে প্রণয়ন করা অতীত-সম্পর্কীয় আইনের ভিত্তিতে। এছাড়া আসামি পক্ষের সাক্ষী ও নথিপত্র উপস্থাপন খেয়ালখুশি মতো সীমিত করা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ অন ট্রায়াল' (বিচারের কাঠগড়ায় বাংলাদেশ) শিরোনামে আহমার বিলাল সুফির ওই নিবন্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমালোচনা, বিচার ব্যবস্থায় ত্রুটিসহ নানা ধরণের সমালোচনা করা হয়েছে।
ডনের নিবন্ধটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো:
১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সব পক্ষের করা নৃশংস অপরাধই নিন্দনীয়। পাকিস্তান তার বাড়াবাড়ির জন্য ২০০২ সালে বাংলাদেশের মানুষের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে। অতীতকে সমাধিত করা ও ভবিষ্যতে শক্তিশালী সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার আকাঙ্ক্ষা থেকেই এ দুঃখ প্রকাশ করে পাকিস্তান।
কিন্তু ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর পশ্চাদমুখী পন্থা অবলম্বন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার। এ পশ্চাদমুখী নীতি দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ব্যাহত করছে। এমনকি এটা দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক ক্ষমতার ভারসাম্য বিপর্যস্ত করছে। ঢাকা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ১৯৭১ সালের মর্মান্তিক ঘটনাবলীর ঘাঁটাঘাঁটি শুরু করেছে। সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম ও বিএনপির সঙ্গে জড়িত রাজনৈতিক বিরোধীদের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ত্রুটিপূর্ণ আদালতে বিচার করে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি করতে চায়।
১৯৭১ সালের ঘটনাবলীর চার দশক পর, ২০১০ সালে আদালত প্রতিষ্ঠা করা হয়। এ বিচার ১৯৭৪ সালের ত্রিপক্ষীয় চুক্তির লঙ্ঘন। এ উপমহাদেশে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পুর্ণ মিত্রতা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থেই এ চুক্তি করা হয়।
চুক্তিতে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্তদের বিচার না করতে সম্মত হয়। এই পারস্পরিক নিশ্চয়তার ফলশ্রুতিতে পাকিস্তান বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে এ পর্যন্ত দুই ডজনের অধিক মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের রায় দেয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে চারজনের। আন্তর্জাতিক আইন-কানুন ও মান ভঙ্গ করে ন্যায়বিচারে ধারাবাহিক ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে আদালত কলঙ্কিত হয়েছে।
আইনি দৃষ্টিকোণ থেকেও আদালতকে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযুক্তদের জামিন অধিকারে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। সর্বোচ্চ সাজা ও যাবজ্জীবনের বিরুদ্ধে আপিলের আসামিদের সীমিত অধিকার দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে জনশ্রুতি প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে। আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে তড়িঘড়ি করে প্রণয়ন করা অতীত-সম্পর্কীয় আইনের ভিত্তিতে। এছাড়া আসামি পক্ষের সাক্ষী ও নথিপত্র উপস্থাপন খেয়ালখুশি মতো সীমিত করা হয়েছে।
এটা
ন্যায় বিচারের গুরুতর লঙ্ঘন। এতে নাগরিক ও আন্তর্জাতিক অধিকার সংক্রান্ত
আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত নিশ্চয়তার যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা
হয়নি। অথচ বাংলাদেশও এ চুক্তির একটি অংশ। এসব বিচার পরিচালনায় বাংলাদেশ
সরাসরি আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দায়বদ্ধ। এসব বিচার কমপক্ষে আইসিসিপিআর এর
১১ টি (ধারা: ২, ৩, ৬, ৭, ৯, ১০, ১৪, ১৫, ১৭, ১৮ ও ২৬) ধারার লঙ্ঘন।
এমন ধরনের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা মৌলিকভাবেই ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৭(এ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংবিধান অনুযায়ী এই ধারা আইসিটি আইনের অধীনে যে কোনো অভিযুক্তকে প্রতিবিধান লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেয় না।’ ৪৭(এ) ধারাকে অসাংবিধানিক হিসেবে চ্যালেঞ্জ করাও নিষিদ্ধ করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রধান সাফাই সাক্ষীকে সরকারি বাহিনী অপহরণ করেছে। তা সত্ত্বেও সাঈদীকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়। আদালত কর্তৃক আসামি পক্ষের সাক্ষী ও নথিপত্র উপস্থাপন সীমিত করা সত্ত্বেও, ২০১৫ সালের এপ্রিলে মোহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। অথচ রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্যে ব্যাপক অসঙ্গতি ছিল। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বেলায়ও বিদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো হয়। ঘটনার সময় তার দেশের বাইরে থাকার বিষয়ে বিদেশি সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় আইসিটি। সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ৪১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেয়া হলেও, আইসিটি সালাহউদ্দিনকে মাত্র চারজন সাক্ষী উপস্থিত করার অনুমতি দেয়। সালাহউদ্দিনের বিদেশি সাক্ষী যাতে ঢাকায় আসতে না পারে, সেজন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের কিছু বিশিষ্ট নাগরিক সালাহউদ্দিনের রিভিউ শুনানিতে আসার জন্য টিকেট বুক করলে, তাদের দেশে প্রবেশে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
অসংখ্য পদ্ধতিগত ও খুঁটিনাটি ত্রুটি আদালতকে প্রহসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা তুলে ধরেছেন বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো । বর্তমান প্রধান বিচারপতি মীর কাশেম আলীর আপিল শুনানিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা এই আদালত রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছেন। প্রসিকিউশনের বক্তব্য অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় তিনি মর্মাহত হন। প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্য সত্ত্বেও মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল রাখা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সন্দেহাতীতভাবে রাজনৈতিক চাপেই এমন করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামির প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে বানোয়াট যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। পাকিস্তানকে অবশ্যই এ বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠাতে হবে। যাতে করে নিশ্চিত করা যায়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনী বাধ্যবাধকতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবিলম্বে ত্রুটিপূর্ণ বিচার স্থগিত করে। সেই সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া সব রায় রহিত করে। এছাড়া এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের শাসন নিশ্চিত করে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করবে।
লেখক আহমার বিলাল সুফি পাকিস্তানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন।
এমন ধরনের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা মৌলিকভাবেই ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশের সংবিধানের ৪৭(এ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘সংবিধান অনুযায়ী এই ধারা আইসিটি আইনের অধীনে যে কোনো অভিযুক্তকে প্রতিবিধান লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার অনুমতি দেয় না।’ ৪৭(এ) ধারাকে অসাংবিধানিক হিসেবে চ্যালেঞ্জ করাও নিষিদ্ধ করা হয়।
অভিযোগ করা হয়, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর প্রধান সাফাই সাক্ষীকে সরকারি বাহিনী অপহরণ করেছে। তা সত্ত্বেও সাঈদীকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়। আদালত কর্তৃক আসামি পক্ষের সাক্ষী ও নথিপত্র উপস্থাপন সীমিত করা সত্ত্বেও, ২০১৫ সালের এপ্রিলে মোহাম্মাদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়। অথচ রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্যে ব্যাপক অসঙ্গতি ছিল। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বেলায়ও বিদেশি সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানো হয়। ঘটনার সময় তার দেশের বাইরে থাকার বিষয়ে বিদেশি সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায় আইসিটি। সালাহউদ্দিনকে ২০১৫ সালের নভেম্বরে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের ৪১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অনুমতি দেয়া হলেও, আইসিটি সালাহউদ্দিনকে মাত্র চারজন সাক্ষী উপস্থিত করার অনুমতি দেয়। সালাহউদ্দিনের বিদেশি সাক্ষী যাতে ঢাকায় আসতে না পারে, সেজন্য এয়ারলাইন্সগুলোকে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ উদ্দেশ্যে পাকিস্তানের কিছু বিশিষ্ট নাগরিক সালাহউদ্দিনের রিভিউ শুনানিতে আসার জন্য টিকেট বুক করলে, তাদের দেশে প্রবেশে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
অসংখ্য পদ্ধতিগত ও খুঁটিনাটি ত্রুটি আদালতকে প্রহসনের দিকে ঠেলে দিয়েছে, যা তুলে ধরেছেন বিশ্বব্যাপী প্রসিদ্ধ আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো । বর্তমান প্রধান বিচারপতি মীর কাশেম আলীর আপিল শুনানিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা এই আদালত রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করছেন। প্রসিকিউশনের বক্তব্য অসঙ্গতিপূর্ণ হওয়ায় তিনি মর্মাহত হন। প্রধান বিচারপতির এমন মন্তব্য সত্ত্বেও মীর কাসেমের সর্বোচ্চ শাস্তি বহাল রাখা হয় সুপ্রিম কোর্টে। সন্দেহাতীতভাবে রাজনৈতিক চাপেই এমন করা হয়েছে।
জামায়াতে ইসলামির প্রধান মতিউর রহমান নিজামীকে বানোয়াট যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। পাকিস্তানকে অবশ্যই এ বিষয়টি দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উঠাতে হবে। যাতে করে নিশ্চিত করা যায়, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইনী বাধ্যবাধকতার প্রতি সম্মান দেখিয়ে অবিলম্বে ত্রুটিপূর্ণ বিচার স্থগিত করে। সেই সাথে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া সব রায় রহিত করে। এছাড়া এ বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনের শাসন নিশ্চিত করে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা জোরদার করবে।
লেখক আহমার বিলাল সুফি পাকিস্তানের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন।
No comments