জালিয়াতির উৎসব by সাজেদুল হক
যেন এক দূরের তারা। মানুষ শত চেষ্টা করেও তার কাছে যেতে পারছে না। না অন্য কিছুর কথা নয়। বলছি ভোটের কথাই।
এ ভোটের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশের মানুষ। পাকিস্তানি বর্বর শাসকদের কাছ থেকে আমরা ৭০ এর নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করে নিয়েছিলাম। যে নির্বাচনে জনগন বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ভোট কালিমামুক্ত ছিল না। জিয়া-এরশাদের জমানায় ‘হ্যা’ ‘না’ ভোটের মতো আজগুবি ভোটের সাক্ষী হয়েছে এ দেশের জনগন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিপূর্ণ ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৫ই ফেব্রুয়ারির গায়েবি ভোট বাদ দিলে ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনও মোটাদাগে অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশ আবার ফিরে যায় ভোটের কলঙ্কজনক অধ্যায়ে। শাসক নির্বাচনের জন্য কারও ভোটের প্রয়োজন হয়নি। যায় দিন ভালো যায়- বহু পুরনো বাংলা প্রবাদ। বাংলাদেশ এখন সে প্রবাদের যুগে বাস করছে। ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে প্রধান বিরোধী শক্তিগুলো অংশ নেয়নি। যে কারণে জবরদস্তির চিত্র পরিষ্কার ছিল না। ছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জয় জয়কার। কিন্তু এরপরের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছে বিএনপি এবং অন্য দলগুলো। দলীয় প্রতীকে হওয়া এসব নির্বাচন এখন পরিণত হয়েছে জোর যার মুল্লুক তার টাইপের নির্বাচনে। এবং সবাই জানেন জোরটা এখন কার। যাদের জোর আছে তারাই নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন। ভোট এখন পরিণত হয়েছে নিছক আনুষ্ঠানিকতায়। বেশিরভাগ কাজ হয়ে যাচ্ছে আগেই। ভোটের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের হয়ে ‘বালকেরা’ ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। যারা একটু প্রতিবাদী হওয়ার চেষ্টা করছেন নিজ দলের হলেও রেহাই নেই তাদের। কারও ঠাঁই হচ্ছে কারাগারে। কেউ হামলার শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেও যথারীতি একইধরনের খবর পাওয়া গেছে। ইউপি নির্বাচনে সকাল সকালই কায়েম হয়েছে দখলের রাজত্ব। এ যেন ভোট জালিয়াতির উৎসব। ঘটেছে নানারকম ঘটনা। গুলির শিকার হয়েছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারাও। কোথাও কোথাও ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে রাতেই। যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে সেখানে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় জাল ভোট চলেছে নির্বিঘেœ। ভোটের ফলাফল কি তা ভোট শুরুর পরপরই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ ভোটের আগের দিন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভোটের পরে তিনি কি বলবেন তা অনুমান করা যায়। তিনি হয়তো বলবেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কাজী রকিব তা বললে মিথ্যা হবে না। কারণ এটা সত্য বাংলাদেশে এখন, ভোট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ভোটার থেকে। ব্যালটের ওপর নিজের অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন জনতা।
এ ভোটের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে বাংলাদেশের মানুষ। পাকিস্তানি বর্বর শাসকদের কাছ থেকে আমরা ৭০ এর নিরপেক্ষ নির্বাচন আদায় করে নিয়েছিলাম। যে নির্বাচনে জনগন বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা ঘোষণা’ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ভোট কালিমামুক্ত ছিল না। জিয়া-এরশাদের জমানায় ‘হ্যা’ ‘না’ ভোটের মতো আজগুবি ভোটের সাক্ষী হয়েছে এ দেশের জনগন। বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদই সর্বপ্রথম বাংলাদেশের মানুষকে শান্তিপূর্ণ ভোট দেয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। ১৫ই ফেব্রুয়ারির গায়েবি ভোট বাদ দিলে ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনও মোটাদাগে অবাধ ও সুষ্ঠু ছিল।
২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি বাংলাদেশ আবার ফিরে যায় ভোটের কলঙ্কজনক অধ্যায়ে। শাসক নির্বাচনের জন্য কারও ভোটের প্রয়োজন হয়নি। যায় দিন ভালো যায়- বহু পুরনো বাংলা প্রবাদ। বাংলাদেশ এখন সে প্রবাদের যুগে বাস করছে। ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে প্রধান বিরোধী শক্তিগুলো অংশ নেয়নি। যে কারণে জবরদস্তির চিত্র পরিষ্কার ছিল না। ছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জয় জয়কার। কিন্তু এরপরের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে অংশ নিচ্ছে বিএনপি এবং অন্য দলগুলো। দলীয় প্রতীকে হওয়া এসব নির্বাচন এখন পরিণত হয়েছে জোর যার মুল্লুক তার টাইপের নির্বাচনে। এবং সবাই জানেন জোরটা এখন কার। যাদের জোর আছে তারাই নির্বাচনে জয়ী হচ্ছেন। ভোট এখন পরিণত হয়েছে নিছক আনুষ্ঠানিকতায়। বেশিরভাগ কাজ হয়ে যাচ্ছে আগেই। ভোটের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের হয়ে ‘বালকেরা’ ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। যারা একটু প্রতিবাদী হওয়ার চেষ্টা করছেন নিজ দলের হলেও রেহাই নেই তাদের। কারও ঠাঁই হচ্ছে কারাগারে। কেউ হামলার শিকার হচ্ছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকেও যথারীতি একইধরনের খবর পাওয়া গেছে। ইউপি নির্বাচনে সকাল সকালই কায়েম হয়েছে দখলের রাজত্ব। এ যেন ভোট জালিয়াতির উৎসব। ঘটেছে নানারকম ঘটনা। গুলির শিকার হয়েছেন নির্বাচনি কর্মকর্তারাও। কোথাও কোথাও ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে রাতেই। যেসব এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে সেখানে কিছুটা ঝামেলা হয়েছে। তবে বেশিরভাগ এলাকায় জাল ভোট চলেছে নির্বিঘেœ। ভোটের ফলাফল কি তা ভোট শুরুর পরপরই নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ ভোটের আগের দিন নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ভোটের পরে তিনি কি বলবেন তা অনুমান করা যায়। তিনি হয়তো বলবেন, বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কাজী রকিব তা বললে মিথ্যা হবে না। কারণ এটা সত্য বাংলাদেশে এখন, ভোট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ভোটার থেকে। ব্যালটের ওপর নিজের অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন জনতা।
No comments