তদবিরের জন্য জিয়ার আত্মীয়স্বজনদের কেউ বঙ্গভবনে আসার সাহস পায়নি
কাফি
খান ছিলেন, ‘ভয়েস অব আমেরিকার’ সংবাদ পাঠক। ১৯৭৭ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির
প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পান। খুব কাছ থেকে জিয়াকে দেখেছেন তিনি। তার বর্ণনা
অনুযায়ী, আত্মীয়স্বজনদের কেউ কোনো তদবিরের জন্য বঙ্গভবনে বা তার বাসায় আসার
সাহস পায়নি। তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অফিসের ধারেকাছেও আসতেন না বা
আসতে পারতেন না। তাকে একমাত্র দেখা যেত রাষ্ট্রপতি জিয়া কোনো রাষ্ট্রীয়
সফরে বিদেশে গেলে সেখানে তার সফরসঙ্গী হিসেবে। তা-ও সব সফরে নয়। এছাড়া কোন
রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান বাংলাদেশ সফরে এলে প্রটোকলের স্বার্থে বেগম জিয়া
রাষ্ট্রীয় ভোজে অংশ নিতেন। তিন-চার হাজার টাকার মতো বেতন পেতেন। সেখান থেকে
১৫০ টাকা রাষ্ট্রপতির রিলিফ ফান্ডে জমা দিতেন। বাকি টাকাটা দিয়ে সংসার
চালাতেন।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার সদ্য প্রকাশিত ‘বিএনপি সময়-অসময়’ শীর্ষক বইতে এসব কথা লিখেছেন। মহিউদ্দিন আহমদ আরও লিখেছেন, জিয়ার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন তার একজন কড়া সমালোচক, জাসদের ঢাকা নগর কমিটির সাবেক কমান্ডার আনোয়ার হোসেন। তার মতে: প্রথমত জিয়াকে সেনাবাহিনীতে একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে মনে করা হতো। দ্বিতীয়ত, বেতারে আপতিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের সুবাদে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে পরিচিত সেনানায়কে পরিণত হন তিনি। তৃতীয়ত, সে সময়কার অধিকাংশ সেনা অফিসারের বিপরীতে জিয়া ছিলেন তুলনামূলকভাবে সৎ।
জিয়ার বিরোধিতা হয়েছিল সামরিক বাহিনীর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি। তাকে ১৭-১৮টি অভ্যুত্থান-প্রচেষ্টা সামাল দিতে হয়েছিল। অভ্যুত্থান দমনে জিয়া ছিলেন সুকঠোর, ক্ষমাহীন ও নির্দয়। জিয়ার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানত দুটো উদাহরণ দেয়া হয়। একটি হলো লে. কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসি এবং অন্যটি হলো ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের অভ্যুত্থান দমনের নামে হাজারের বেশি সৈন্যকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া। ২ অক্টোবর-পরবর্তী ঘটনাটি ছিল মর্মান্তিক। অনেকেই জানতেন না, তাদের অপরাধ কী। তাদের অনেকের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এঁদের অন্যতম ছিলেন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সংগঠন করপোরাল আলতাফ হোসেন। হত্যা করে তার লাশ গুম করে ফেলা হয়েছিল।
তাহেরের ফাঁসি ছিল একটা ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’। তবে এটা জিয়ার একক সিদ্ধান্ত ছিল না। এর পেছনে সামরিক বাহিনীর সব কর্মকর্তারই সায় ছিল। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারতো দাবিই করেছিলেন, ফাঁসি না দিলে তিনি কোমরের বেল্ট খুলে ফেলবেন, অর্থাৎ সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেবেন। ওই সময় সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তা তাহেরের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে জানা যায় না।
লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার সদ্য প্রকাশিত ‘বিএনপি সময়-অসময়’ শীর্ষক বইতে এসব কথা লিখেছেন। মহিউদ্দিন আহমদ আরও লিখেছেন, জিয়ার ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছেন তার একজন কড়া সমালোচক, জাসদের ঢাকা নগর কমিটির সাবেক কমান্ডার আনোয়ার হোসেন। তার মতে: প্রথমত জিয়াকে সেনাবাহিনীতে একজন জাতীয়তাবাদী হিসেবে মনে করা হতো। দ্বিতীয়ত, বেতারে আপতিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠের সুবাদে মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে পরিচিত সেনানায়কে পরিণত হন তিনি। তৃতীয়ত, সে সময়কার অধিকাংশ সেনা অফিসারের বিপরীতে জিয়া ছিলেন তুলনামূলকভাবে সৎ।
জিয়ার বিরোধিতা হয়েছিল সামরিক বাহিনীর মধ্যেই সবচেয়ে বেশি। তাকে ১৭-১৮টি অভ্যুত্থান-প্রচেষ্টা সামাল দিতে হয়েছিল। অভ্যুত্থান দমনে জিয়া ছিলেন সুকঠোর, ক্ষমাহীন ও নির্দয়। জিয়ার বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধানত দুটো উদাহরণ দেয়া হয়। একটি হলো লে. কর্নেল আবু তাহেরের ফাঁসি এবং অন্যটি হলো ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবরের অভ্যুত্থান দমনের নামে হাজারের বেশি সৈন্যকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া। ২ অক্টোবর-পরবর্তী ঘটনাটি ছিল মর্মান্তিক। অনেকেই জানতেন না, তাদের অপরাধ কী। তাদের অনেকের লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এঁদের অন্যতম ছিলেন বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সংগঠন করপোরাল আলতাফ হোসেন। হত্যা করে তার লাশ গুম করে ফেলা হয়েছিল।
তাহেরের ফাঁসি ছিল একটা ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’। তবে এটা জিয়ার একক সিদ্ধান্ত ছিল না। এর পেছনে সামরিক বাহিনীর সব কর্মকর্তারই সায় ছিল। মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারতো দাবিই করেছিলেন, ফাঁসি না দিলে তিনি কোমরের বেল্ট খুলে ফেলবেন, অর্থাৎ সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দেবেন। ওই সময় সেনাবাহিনীর কোনো কর্মকর্তা তাহেরের পক্ষ নিয়েছিলেন বলে জানা যায় না।
No comments