আতঙ্কে ৯০ লাখ এটিএম গ্রাহক
তিনটি
ব্যাংকের ৬টি এটিএম বুথে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় ৯০ লাখ
গ্রাহকের মাঝে। চুরির ঘটনার পর সন্দেহভাজন তিন শতাধিক এটিএম কার্ড
বাজেয়াপ্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমন পরিস্থিতিতে আগামী এক মাসের মধ্যে সব
এটিএম বুথে এন্টি স্কিমিং ডিভাইস লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
চুরির ঘটনার পর গ্রাহকদের এটিএম কার্ড ব্যবহারে অনীহাও দেখা দিয়েছে। কার্ড
সারেন্ডারের মতো ঘটনাও ঘটেছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার
জানিয়েছেন, গতকাল কয়েকজন গ্রাহক এটিএম কার্ড সারেন্ডার (আত্মসমর্পণ)
করেছেন। বলেছেন, তারা আর কার্ড ব্যবহার করবেন না। তারা কার্ড ব্যবহারে
অনিরাপদবোধ করছেন। এ সময় তারা চেকের মাধ্যমে লেনদেনের আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে
ওই ব্যাংকার জানান। যোগাযোগ করা হলে একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক জানিয়েছেন, এক ধরনের শঙ্কা সবার মাঝে বিরাজ করছে। তবে শঙ্কায়
শঙ্কিত না হয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে মনোনিবেশ করতে হবে। মুশকিলের বিষয় হলো
এ ধরনের ঘটনা সাধারণ গ্রাহককে বোঝানো সম্ভব নয়। এটা বিশ্বে অহরহ ঘটে।
একবার এ ধরনের এক বৈশ্বিক খবর পেয়ে আমি নিজেও এটিএম কার্ড বন্ধ করে দেই।
পরে অবশ্য ভীতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। অপর একটি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা
জানান, ভীষণ চিন্তায় রয়েছি। এটিএম বুথ ব্যাংকের সবচেয়ে লাভজনক একটি
প্রকল্প। এটি কোনো কারণে গ্রাহকের আস্থা হারালে ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
একটি শাখা খোলায় যে খরচ তা দিয়ে ২০টি এটিএম বুথ দেয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।
বেসরকারি একটি ব্যাংকের গ্রাহক মারুফ জানান, পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে
এটিএম কার্ড বন্ধ করে দেব। সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ
ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে
তিন শতাধিক এটিএম কার্ড নিষ্ক্রিয় বা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এসব কার্ডের
বিপরীতে নতুন কার্ড দেয়া হবে। চুরির ঘটনার সময় তিন ব্যাংকে যে সব কার্ড শো
করা হয়েছে আপাতত সে সব কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, তিনটি টিম
কাজ করছে। আশা করি দ্রুতই একটি সমাধান খুঁজে পাবো। এ বিষয়ে আগামী ১৮ই
ফেব্রুয়ারি বৈঠক ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এদিকে এক মাসের মধ্যে দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের বুথে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ লাগানোর নির্দেশ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত জালিয়াতি রোধ ও লেনদেন ঝুঁকিমুক্ত করতে ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ স্থাপন বাধ্যতামূলক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইস্কান্দার মিয়া স্বাক্ষরিত ওই সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে নতুন বুথ স্থাপনের সময় এ ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ লাগাতে হবে। বর্তমানে যেসব বুথ আছে এক মাসের মধ্যে সেগুলোতে এটি স্থাপন করতে হবে। এতে বলা হয়, প্রতিদিন এটিএম বুথে লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সব ব্যাংককে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সন্দেহজনক বিষয় থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়, জালিয়াতি প্রতিরোধে এটিএম বুথে নিয়োজিত প্রহরীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটিএম বুথে টুপি ও সানগ্লাস পরিধানকারী এবং ব্যাগ বহনকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তথ্য দিতে হবে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত প্রদান করার জন্য ব্যাংকের দায় চিহ্নিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
এর আগে গত শুক্রবার ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে ২০ জনের বেশি গ্রাহকের এটিএম কার্ড থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরে ইউসিবিএল ও সিটি ব্যাংকের নামও বেরিয়ে আসে। তবে দুই ব্যাংকের কোনো ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চক্রের সঙ্গে বিদেশিদেরও হাত রয়েছে। এ ঘটনায় দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকই এটিএম বুথগুলো থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের সেবা দেয়া বন্ধ রাখে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি নির্দেশনায় সেবাটি খুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কড়া বার্তায় বলা হয়, এটিএম বুথগুলোতে আন্তঃব্যাংকিং বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। গ্রাহকদের স্বার্থই সবার আগে। ব্যাংকগুলো যদি এমনটি করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষত কেউ যদি স্বেচ্ছায় বন্ধ করে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। এরপর ব্যাংকগুলো সেবাটি আবার চালু করে। বর্তমানে ৮৫ লাখের মতো এটিএম কার্ড ব্যবহারকারী রয়েছেন। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক রয়েছে আরও ৫ লাখ। বিপরীতে সব ব্যাংকের ৭ হাজারের মতো এটিএম বুথ রয়েছে।
মামলা ডিবিতে: বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ‘স্কিমিং ডিভাইসে’র মাধ্যমে টাকা চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বনানী থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির একজন পরিদর্শক মামলার নথিপত্র বুঝে নেন। মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, এটিএম বুথ থেকে স্কিমিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকের ডেবিট কার্ডের তথ্য ও পাসওয়ার্ড চুরি করে ক্লোন কার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নিয়েছে একটি চক্র। এই চক্রের সঙ্গে একাধিক বিদেশি নাগরিক জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে জড়িত বিদেশি নাগরিকরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদের ছবি স্থল ও আকাশপথের ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বুথ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ চলছে। একই সঙ্গে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত চক্রকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)-এর পক্ষ থেকে বনানী থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইন ও পেনালকোডের ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরেই তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তদন্ত সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন এটিএম বুথের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আফ্রিকান কোনো একটি দেশের নাগরিক ক্লোন কার্ড দিয়ে টাকা তুলছে। তার সঙ্গে দেশীয় নাগরিকও রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, দেশি এজেন্টদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক কোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি চক্র স্কিমিং ডিভাইসের মাধ্যমে বুথ থেকে টাকা চুরি করছে। এই চক্রটিকে শনাক্তের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্য দেশের নাগরিক হিসেবে ছবির সঙ্গে তার নথিপত্র মিলিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি’র ইমিগ্রেশন শাখার সহায়তা নিয়ে কাজ করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে গতকাল পর্যন্ত জড়িত বিদেশি নাগরিকদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে এক মাসের মধ্যে দেশে কার্যরত সব ব্যাংকের বুথে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ লাগানোর নির্দেশ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত জালিয়াতি রোধ ও লেনদেন ঝুঁকিমুক্ত করতে ব্যাংকের এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) বুথে ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ স্থাপন বাধ্যতামূলক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইস্কান্দার মিয়া স্বাক্ষরিত ওই সার্কুলারে বলা হয়, এখন থেকে নতুন বুথ স্থাপনের সময় এ ‘অ্যান্টি স্কিমিং ডিভাইস’ লাগাতে হবে। বর্তমানে যেসব বুথ আছে এক মাসের মধ্যে সেগুলোতে এটি স্থাপন করতে হবে। এতে বলা হয়, প্রতিদিন এটিএম বুথে লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সব ব্যাংককে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সন্দেহজনক বিষয় থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। সার্কুলারে বলা হয়, জালিয়াতি প্রতিরোধে এটিএম বুথে নিয়োজিত প্রহরীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এটিএম বুথে টুপি ও সানগ্লাস পরিধানকারী এবং ব্যাগ বহনকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। টাকা উত্তোলনের সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনে এসএমএস দিয়ে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে তথ্য দিতে হবে। সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের টাকা ফেরত প্রদান করার জন্য ব্যাংকের দায় চিহ্নিত করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করছে।
এর আগে গত শুক্রবার ইস্টার্ন ব্যাংক থেকে ২০ জনের বেশি গ্রাহকের এটিএম কার্ড থেকে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। পরে ইউসিবিএল ও সিটি ব্যাংকের নামও বেরিয়ে আসে। তবে দুই ব্যাংকের কোনো ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চক্রের সঙ্গে বিদেশিদেরও হাত রয়েছে। এ ঘটনায় দেশের বেশির ভাগ ব্যাংকই এটিএম বুথগুলো থেকে অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের সেবা দেয়া বন্ধ রাখে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়াকড়ি নির্দেশনায় সেবাটি খুলে দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কড়া বার্তায় বলা হয়, এটিএম বুথগুলোতে আন্তঃব্যাংকিং বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। গ্রাহকদের স্বার্থই সবার আগে। ব্যাংকগুলো যদি এমনটি করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিশেষত কেউ যদি স্বেচ্ছায় বন্ধ করে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। এরপর ব্যাংকগুলো সেবাটি আবার চালু করে। বর্তমানে ৮৫ লাখের মতো এটিএম কার্ড ব্যবহারকারী রয়েছেন। ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহক রয়েছে আরও ৫ লাখ। বিপরীতে সব ব্যাংকের ৭ হাজারের মতো এটিএম বুথ রয়েছে।
মামলা ডিবিতে: বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ‘স্কিমিং ডিভাইসে’র মাধ্যমে টাকা চুরির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল বনানী থানা পুলিশের কাছ থেকে মামলাটি নতুন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির একজন পরিদর্শক মামলার নথিপত্র বুঝে নেন। মামলার তদন্ত সূত্র জানায়, এটিএম বুথ থেকে স্কিমিং ডিভাইসের মাধ্যমে গ্রাহকের ডেবিট কার্ডের তথ্য ও পাসওয়ার্ড চুরি করে ক্লোন কার্ড তৈরি করে টাকা তুলে নিয়েছে একটি চক্র। এই চক্রের সঙ্গে একাধিক বিদেশি নাগরিক জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এ কারণে জড়িত বিদেশি নাগরিকরা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারে সেজন্য তাদের ছবি স্থল ও আকাশপথের ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বুথ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজসহ অন্যান্য বিষয় বিশ্লেষণ চলছে। একই সঙ্গে এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত চক্রকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
শুক্রবার ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)-এর পক্ষ থেকে বনানী থানায় তথ্য-প্রযুক্তি আইন ও পেনালকোডের ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সূত্র ধরেই তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তদন্ত সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে তারা বিভিন্ন এটিএম বুথের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। এসব ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আফ্রিকান কোনো একটি দেশের নাগরিক ক্লোন কার্ড দিয়ে টাকা তুলছে। তার সঙ্গে দেশীয় নাগরিকও রয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা, দেশি এজেন্টদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক কোনো ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি চক্র স্কিমিং ডিভাইসের মাধ্যমে বুথ থেকে টাকা চুরি করছে। এই চক্রটিকে শনাক্তের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, বিদেশি নাগরিককে শনাক্ত করার জন্য সম্ভাব্য দেশের নাগরিক হিসেবে ছবির সঙ্গে তার নথিপত্র মিলিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে। এক্ষেত্রে পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি’র ইমিগ্রেশন শাখার সহায়তা নিয়ে কাজ করছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে গতকাল পর্যন্ত জড়িত বিদেশি নাগরিকদের নাম-ঠিকানা শনাক্ত করা যায়নি।
No comments