বাংলাদেশের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান মালয়েশিয়ার
মালয়েশিয়া
সরকারের বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা ‘আইওয়াশ’ বলে বাংলাদেশি এক
কর্মকর্তা যে মন্তব্য করেছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন দেশটির
উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান
মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামসুন্নাহার মন্তব্য করেছিলেন, দেশটিতে
যারা বিদেশি কর্মী নিয়োগ চান না তাদেরকে শান্ত করার জন্য মালয়েশিয়া সরকার
নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। স্বাক্ষরিত স্মারক অনুযায়ী, বাংলাদেশ
মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠানো শুরু করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন। তার
এমন মন্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মালয়েশিয়ার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নুর
জাজলান মোহামেদ। মালয়েশিয়ার অনলাইন পত্রিকা দ্য মালয়েশিয়ান ইনসাইডারকে তিনি
বলেন, এটা সত্যি নয়। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী
আহমেদ জাহিদ হামিদি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিতের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা শুধু
বাংলাদেশ নয় সকল ‘সোর্স কান্ট্রির’ জন্য প্রযোজ্য।
এদিকে, গতকালই দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট বলেছেন, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বৈধতার ওপর প্রভাব পড়বে না। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তবে বিষয়টি তিনি খোলাসা করেন নি। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার দ্য স্টার ও বার্তা সংস্থা বার্নামা। মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট বলেছেন, ‘বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিতের বিষয়ে আরও বিস্তারিত শিগগিরই সরকার ঘোষণা করবে।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নেয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার একদিন পরই মালয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণা দেয়ার সময় দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি বলেন, তার দেশের শিল্প খাতগুলোতে কর্মীর প্রকৃত চাহিদা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত সকল ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত থাকবে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় স্বাক্ষরিত হওয়া সমঝোতা স্মারকে মালয়েশিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন রিচার্ড রায়ট। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, আগামী ৫ বছরে কয়েক ধাপে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা ছিল মালয়েশিয়ার। ৫ বছর সময় পার হওয়ার পর চুক্তিটি পর্যালোচনা করার কথা। কিন্তু একদিন পরই মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা দেন। এরপর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে। শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বৈধতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না- গতকাল মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট এমন মন্তব্য করলেও বিষয়টি স্পষ্ট করেন নি।
মালয়েশিয়া ইনসাইডারের রিপোর্টে উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নুর জাজলানকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, সমঝোতা অনুযায়ী, শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঢাকাকে জানাতে বাধ্য নয় মালয়েশিয়া। ওই সমঝোতায় শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের একটি সময়সীমার কথা উল্লেখ আছে। তিনি আরও বলেছেন, ১৫ লাখ শ্রমিকের প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার তরফ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয় নি। এটা বাংলাদেশের প্রস্তাব আর গ্রহণ করা না করা তাদের বিষয় উল্লেখ করে নুর জাজলান বলেন, আমরা সমঝোতা বাতিল করছি না। আমরা শুধু বলছি, সাময়িক সময়ের জন্য সকল ‘সোর্স কান্ট্রি থেকে শ্রমিক নেয়া স্থগিত থাকবে। কতদিন শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত থাকবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, হয়তো আরও তিন থেকে ছয় মাস, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হচ্ছি।
ওদিকে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া ইস্যুতে মালয়েশিয়া সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সাবেক মন্ত্রী রাফিদা আজিজ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক সাবেক এ মন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রস্তাব থেকে সরে আসায় মালয়েশিয়া সরকারের ওপর থেকে জনগণের আস্থা কমবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কি এমন হয়েছে? একটি প্রস্তাব বা নীতি ঘোষণা দেয়ার আগে কি তা নিয়ে স্টাডি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় নি? সবার দৃষ্টিভঙ্গি আমলে নিতে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কি আলোচনা করা হয় নি? স্টার অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তার অভিমত উঠে এসেছে। এতে সরকারের সমালোচনা করেন রাফিদা আজিজ। তিনি প্রশ্ন রাখেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ভালো হোক বা খারাপ হোক এসব শ্রমিক নেয়ার ফলে কি প্রভাব পড়বে তা কি যাচাই করা হয় নি? শুক্রবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বেসরকারি খাত সন্দিগ্ধ ও উদ্বিগ্ন। শ্রমিক ইস্যুতে সরকার যা বলছে তারা তা মেনে নিতে পারছে না।
উল্লেখ্য, জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে নতুন করে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার প্রসঙ্গ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সেদেশের বিভিন্ন মহল এর বিরোধিতা করে আসছে। মালয়েশিয়ার বেশকিছু নাগরিক ও বাণিজ্য গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক গ্রহণের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিল না। সরকারের কাছে তাদের দাবি ছিল, নতুন শ্রমিক আমদানির বদলে বিদ্যমান অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদেরই বরং বৈধ করা হোক।
এদিকে, গতকালই দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট বলেছেন, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বৈধতার ওপর প্রভাব পড়বে না। এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। তবে বিষয়টি তিনি খোলাসা করেন নি। এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার দ্য স্টার ও বার্তা সংস্থা বার্নামা। মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট বলেছেন, ‘বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিতের বিষয়ে আরও বিস্তারিত শিগগিরই সরকার ঘোষণা করবে।’ উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে ১৫ লাখ কর্মী নেয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার একদিন পরই মালয়েশিয়া বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। ওই ঘোষণা দেয়ার সময় দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী আহমাদ জাহিদ হামিদি বলেন, তার দেশের শিল্প খাতগুলোতে কর্মীর প্রকৃত চাহিদা নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত সকল ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত থাকবে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় স্বাক্ষরিত হওয়া সমঝোতা স্মারকে মালয়েশিয়ার পক্ষে স্বাক্ষর করেছিলেন রিচার্ড রায়ট। সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী, আগামী ৫ বছরে কয়েক ধাপে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের কথা ছিল মালয়েশিয়ার। ৫ বছর সময় পার হওয়ার পর চুক্তিটি পর্যালোচনা করার কথা। কিন্তু একদিন পরই মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার ঘোষণা দেন। এরপর বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন ওঠে। শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের বৈধতার ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না- গতকাল মন্ত্রী রিচার্ড রায়ট এমন মন্তব্য করলেও বিষয়টি স্পষ্ট করেন নি।
মালয়েশিয়া ইনসাইডারের রিপোর্টে উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নুর জাজলানকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়েছে, সমঝোতা অনুযায়ী, শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঢাকাকে জানাতে বাধ্য নয় মালয়েশিয়া। ওই সমঝোতায় শ্রমিক নেয়ার ক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের একটি সময়সীমার কথা উল্লেখ আছে। তিনি আরও বলেছেন, ১৫ লাখ শ্রমিকের প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ। মালয়েশিয়ার তরফ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয় নি। এটা বাংলাদেশের প্রস্তাব আর গ্রহণ করা না করা তাদের বিষয় উল্লেখ করে নুর জাজলান বলেন, আমরা সমঝোতা বাতিল করছি না। আমরা শুধু বলছি, সাময়িক সময়ের জন্য সকল ‘সোর্স কান্ট্রি থেকে শ্রমিক নেয়া স্থগিত থাকবে। কতদিন শ্রমিক নিয়োগ স্থগিত থাকবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, হয়তো আরও তিন থেকে ছয় মাস, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হচ্ছি।
ওদিকে, বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া ইস্যুতে মালয়েশিয়া সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সাবেক মন্ত্রী রাফিদা আজিজ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক সাবেক এ মন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশি শ্রমিক নেয়ার প্রস্তাব থেকে সরে আসায় মালয়েশিয়া সরকারের ওপর থেকে জনগণের আস্থা কমবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন, কি এমন হয়েছে? একটি প্রস্তাব বা নীতি ঘোষণা দেয়ার আগে কি তা নিয়ে স্টাডি বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় নি? সবার দৃষ্টিভঙ্গি আমলে নিতে সংশ্লিষ্ট সব মহলের সঙ্গে কি আলোচনা করা হয় নি? স্টার অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তার অভিমত উঠে এসেছে। এতে সরকারের সমালোচনা করেন রাফিদা আজিজ। তিনি প্রশ্ন রাখেন, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা ইস্যুতে ভালো হোক বা খারাপ হোক এসব শ্রমিক নেয়ার ফলে কি প্রভাব পড়বে তা কি যাচাই করা হয় নি? শুক্রবার ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, বেসরকারি খাত সন্দিগ্ধ ও উদ্বিগ্ন। শ্রমিক ইস্যুতে সরকার যা বলছে তারা তা মেনে নিতে পারছে না।
উল্লেখ্য, জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে নতুন করে ১৫ লাখ শ্রমিক নেয়ার প্রসঙ্গ প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই সেদেশের বিভিন্ন মহল এর বিরোধিতা করে আসছে। মালয়েশিয়ার বেশকিছু নাগরিক ও বাণিজ্য গোষ্ঠী বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক গ্রহণের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট ছিল না। সরকারের কাছে তাদের দাবি ছিল, নতুন শ্রমিক আমদানির বদলে বিদ্যমান অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদেরই বরং বৈধ করা হোক।
No comments