ভারতেই শুধু নয়, বাংলাদেশেও আছে রাষ্ট্রদ্রোহ নাটক
এ
মাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ। ভারতে ব্যাপক
সংখ্যাগরিষ্ঠতার বলে বলিয়ান একটি ‘বলিষ্ঠ’ সরকার তরুণ কানহাইয়া কুমারের
বিরুদ্ধে হাফিজ সাঈদদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ঠেলে
দেয়ার অভিযোগ এনেছে। একটি ভুয়া টুইটার অ্যাকাউন্টের ওপর ভিত্তি করে তার
বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।
পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্মানিত সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে বহু রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগ সর্বশক্তিধর। বিএনপির বয়কট করা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গঠিত দেশটির বন্ধুভাবাপন্ন বিরোধী দল!
সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার পত্রিকায় ২০০৭-০৮ সালে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদের কারণে। তখন টেকনোক্রাটদের দ্বারা গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ চালাচ্ছিল।
ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই উপনিবেশিক আমলের আইন ব্যবহার করছে নিজেদেরই নাগরিকের বিরুদ্ধে। ১৯৯০ সালে বৃটেন নিজেই এ আইন বিলুপ্ত করেছে। একে ভাবা হয় অতীত যুগের ধ্বংসাবশেষ, যার এ যুগে কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-, অপরদিকে ফৌজদারি মানহানি মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদ-।
পরিহাসের বিষয়, মাহফুজ আনাম নিজেই এসব নিজের ঘাড়ে টেনে এনেছেন। ৩রা ফেব্রুয়ারি একটি টেলিভিশন টকশো’তে তিনি নিজের অতীত সম্পাদকীয় বিবেচনার ত্রুটি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। তারই পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, যেগুলো ছাপা হয়েছিল সরকারি সূত্রের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে। এর মধ্যে ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা সম্পর্কিত প্রতিবেদনও। মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন, এসব ছিল তার সম্পাদকীয় বিবেচনার ত্রুটি, কেননা তার পত্রিকা তখন এসব তথ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
তার এই সরল অন্তদর্শনের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যখন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ এসব নিয়ে তার ফেসবুক পেইজে মন্তব্য করেন। তখন তিনি বলেন, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে ব্যাকুল আওয়ামী সমর্থকদের জন্য সব দ্বার খুলে যায়। দেশের সর্বত্র এ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কোনো সাজা না হলেও মাহফুজ আনামকে আগামী কয়েক বছর কেবল এ আদালত থেকে ওই আদালতে দৌড়াতে হবে। এসব চলতে পারে বছরের পর বছর।
এটি সত্য যে, মাহফুজ আনাম ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলেন। দুই বেগম শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির অভিযোগের ফলে, তখন একটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল যাতে দুই নেত্রীই রাজনীতি ত্যাগ করেন। ফলে উভয় জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেনাবাহিনী তখন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান মুহম্মদ ইউনূসকে সামনে আনার চেষ্টা করছিল। তাকে ঘিরে একটি পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক দল তৈরির প্রচেষ্টাও নেয়া হয়েছিল। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বন্ধেই এ ধারণা সামনে আসে। এর ফলে দেশজুড়ে বিভক্তি ও অচলাবস্থা নেমে আসে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপরিচিত নয়। ২০০৭ সালে প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল ক্ষমতা দখল। এটা হতে পারতো সামরিক অভ্যুত্থান। কিন্তু জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কারণে তা হয়নি। জাতিসংঘ সতর্ক করে দেয়, বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষী মিশনে নিজেদের সেনা আর পাঠাতে পারবে না। অনেক কিছু বিবেচনার পর সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। পরিবর্তে, অনেক টেকনোক্রাটকে সরকারে বসায় সেনাবাহিনী। কিন্তু নেপথ্যের কলকাঠি থেকে যায় তাদের হাতেই। ওদিকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্য থেকেই নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য কাজ শুরু হয়। ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সুনাম ধ্বংসের প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়। এ বেগমদের পরিত্যাগ করতে দুই দলের প্রভাবশালী নেতাদের চাপ দেয়া হয়। তবে বিশ্বস্তরা মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকে। উভয় নেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন খবর ছাপাতে ব্যবহার করা হয় গণমাধ্যম। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়, পত্রিকাগুলোকে এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়। অনেক পত্রিকার মতো তখন ডেইলি স্টারও এসব খবর ছেপেছিল। কিন্তু বাকি সম্পাদকরা কিছু স্বীকার না করলেও, মাহফুজ আনাম সেসব খবর ছাপানোর সিদ্ধান্তকে ত্রুটি হিসেবে স্বীকার করেন। কারণ, সেগুলো স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা যায়নি।
মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এই ‘উইচ-হান্টে’র সমালোচনা করছেন দেশের সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, লেখক এবং বিএনপি। বিরোধী দলটি বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা সরকার সব ধরনের যৌক্তিক সমালোচনার কণ্ঠরোধ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘এটা একটা মূর্খতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত। মাহফুজ আনাম ‘মাইনাস টু’ প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিলেন, যার বিরোধিতা আমি করি। কিন্তু সরকার তার পেছনে যেভাবে লেগেছে, তাতে আমি হতবিহ্বল। নিশ্চিতভাবেই নিজের অতীত ভুল স্বীকারের সততা প্রদর্শনের জন্য এসব তার প্রাপ্য নয়। আমি তার সাহসকে স্যালুট জানাই।’ তবে শান্তনু মজুমদারের আশা, শিগগিরই এ পাগলামির অবসান ঘটবে।
(সীমা গুহ ভারতের একজন সাংবাদিক। এ লেখাটি ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইট ফার্স্টপোস্টে প্রকাশিত তার নিবন্ধের অনুবাদ। ভাষান্তর: নাজমুল আহসান।)
পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়েছে। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্মানিত সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে বহু রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লীগ সর্বশক্তিধর। বিএনপির বয়কট করা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে গঠিত দেশটির বন্ধুভাবাপন্ন বিরোধী দল!
সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠেছে। মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তার পত্রিকায় ২০০৭-০৮ সালে প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদের কারণে। তখন টেকনোক্রাটদের দ্বারা গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশ চালাচ্ছিল।
ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই উপনিবেশিক আমলের আইন ব্যবহার করছে নিজেদেরই নাগরিকের বিরুদ্ধে। ১৯৯০ সালে বৃটেন নিজেই এ আইন বিলুপ্ত করেছে। একে ভাবা হয় অতীত যুগের ধ্বংসাবশেষ, যার এ যুগে কোনো স্থান নেই। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ-, অপরদিকে ফৌজদারি মানহানি মামলার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি দুই বছরের কারাদ-।
পরিহাসের বিষয়, মাহফুজ আনাম নিজেই এসব নিজের ঘাড়ে টেনে এনেছেন। ৩রা ফেব্রুয়ারি একটি টেলিভিশন টকশো’তে তিনি নিজের অতীত সম্পাদকীয় বিবেচনার ত্রুটি নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। তারই পত্রিকায় প্রকাশিত কয়েকটি প্রতিবেদন নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, যেগুলো ছাপা হয়েছিল সরকারি সূত্রের সরবরাহ করা তথ্যের ভিত্তিতে। এর মধ্যে ছিল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা সম্পর্কিত প্রতিবেদনও। মাহফুজ আনাম স্বীকার করেন, এসব ছিল তার সম্পাদকীয় বিবেচনার ত্রুটি, কেননা তার পত্রিকা তখন এসব তথ্য স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।
তার এই সরল অন্তদর্শনের ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, যখন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ এসব নিয়ে তার ফেসবুক পেইজে মন্তব্য করেন। তখন তিনি বলেন, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শনে ব্যাকুল আওয়ামী সমর্থকদের জন্য সব দ্বার খুলে যায়। দেশের সর্বত্র এ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে কোনো সাজা না হলেও মাহফুজ আনামকে আগামী কয়েক বছর কেবল এ আদালত থেকে ওই আদালতে দৌড়াতে হবে। এসব চলতে পারে বছরের পর বছর।
এটি সত্য যে, মাহফুজ আনাম ২০০৭-০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সমর্থন দিয়েছিলেন। দুই বেগম শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার দ্বন্দ্ব ও দুর্নীতির অভিযোগের ফলে, তখন একটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল যাতে দুই নেত্রীই রাজনীতি ত্যাগ করেন। ফলে উভয় জাতীয় রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেনাবাহিনী তখন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান মুহম্মদ ইউনূসকে সামনে আনার চেষ্টা করছিল। তাকে ঘিরে একটি পরিচ্ছন্ন রাজনৈতিক দল তৈরির প্রচেষ্টাও নেয়া হয়েছিল। বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বন্ধেই এ ধারণা সামনে আসে। এর ফলে দেশজুড়ে বিভক্তি ও অচলাবস্থা নেমে আসে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপরিচিত নয়। ২০০৭ সালে প্রাথমিক প্রচেষ্টা ছিল ক্ষমতা দখল। এটা হতে পারতো সামরিক অভ্যুত্থান। কিন্তু জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কারণে তা হয়নি। জাতিসংঘ সতর্ক করে দেয়, বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে শান্তিরক্ষী মিশনে নিজেদের সেনা আর পাঠাতে পারবে না। অনেক কিছু বিবেচনার পর সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেয়। পরিবর্তে, অনেক টেকনোক্রাটকে সরকারে বসায় সেনাবাহিনী। কিন্তু নেপথ্যের কলকাঠি থেকে যায় তাদের হাতেই। ওদিকে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্য থেকেই নতুন একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের জন্য কাজ শুরু হয়। ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়, শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সুনাম ধ্বংসের প্রচেষ্টা হাতে নেয়া হয়। এ বেগমদের পরিত্যাগ করতে দুই দলের প্রভাবশালী নেতাদের চাপ দেয়া হয়। তবে বিশ্বস্তরা মাটি আঁকড়ে পড়ে থাকে। উভয় নেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন খবর ছাপাতে ব্যবহার করা হয় গণমাধ্যম। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়, পত্রিকাগুলোকে এ বিষয়ে তথ্য সরবরাহ করা হয়। অনেক পত্রিকার মতো তখন ডেইলি স্টারও এসব খবর ছেপেছিল। কিন্তু বাকি সম্পাদকরা কিছু স্বীকার না করলেও, মাহফুজ আনাম সেসব খবর ছাপানোর সিদ্ধান্তকে ত্রুটি হিসেবে স্বীকার করেন। কারণ, সেগুলো স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করা যায়নি।
মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে এই ‘উইচ-হান্টে’র সমালোচনা করছেন দেশের সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, লেখক এবং বিএনপি। বিরোধী দলটি বিশ্বাস করে, শেখ হাসিনা সরকার সব ধরনের যৌক্তিক সমালোচনার কণ্ঠরোধ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার বলেন, ‘এটা একটা মূর্খতাপূর্ণ সিদ্ধান্ত। মাহফুজ আনাম ‘মাইনাস টু’ প্রকল্প ও সামরিক বাহিনীকে সমর্থন দিয়েছিলেন, যার বিরোধিতা আমি করি। কিন্তু সরকার তার পেছনে যেভাবে লেগেছে, তাতে আমি হতবিহ্বল। নিশ্চিতভাবেই নিজের অতীত ভুল স্বীকারের সততা প্রদর্শনের জন্য এসব তার প্রাপ্য নয়। আমি তার সাহসকে স্যালুট জানাই।’ তবে শান্তনু মজুমদারের আশা, শিগগিরই এ পাগলামির অবসান ঘটবে।
(সীমা গুহ ভারতের একজন সাংবাদিক। এ লেখাটি ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইট ফার্স্টপোস্টে প্রকাশিত তার নিবন্ধের অনুবাদ। ভাষান্তর: নাজমুল আহসান।)
No comments