১১০ কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগ যার কাঁধে by জাবেদ রহিম বিজন
১১০
কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি গ্রাসের অভিযোগ তার কাঁধে। নানাভাবে
জাল কাগজপত্র তৈরি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকার
সরকারি এসব সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগের সত্যতা মিলেছে সরকারি
তদন্তে। এর বাইরেও অনেক ব্যক্তির সম্পত্তি, এমনকি মসজিদের জায়গা গ্রাস করার
অভিযোগ আছে আশরাফ আলী ভূঁইয়া নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। প্রশাসনের
কর্মকর্তারা বলেছেন, সে একটা জালিয়াত। কিন্তু সরকারি তদন্ত ফাইল চাপা
পড়েছে। কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
বলেছেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কয়েকবারই তিনি নোটিশ করে তাকে ডেকে
পাঠিয়েছেন। কিন্তু সে আসেনি। নিজের অসুস্থতার কথা বলে স্ত্রীকে দিয়ে লিখিত
বক্তব্য পাঠিয়েছে প্রতিবারই। যদিও জাল-জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে
আশরাফ। তার দাবি, এসবে জড়িত নয় সে।
উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, জাল-ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আশরাফ আলী ভূঁইয়া ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে বলে ২০১৪ সালের অক্টোবরে শহরের শেরপুরের বজলুর রহমান মেম্বার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দেন। সদর সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশে এ অভিযোগের তদন্ত করেন পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। গত ২২শে এপ্রিল তিনি তার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যাতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও রেকর্ড পর্যালোচনায় আশরাফ আলী ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। কখনও কথিত নিলাম খরিদ, কখনও তথাকথিত বন্দোবস্ত কেইস, কখনও বা জাল দলিল তৈরি করে আশরাফ আলী ভূঁইয়া সরকারি-বেসরকারি বহু মূল্যবান সম্পত্তি গ্রাস করার চেষ্টায় লিপ্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি সম্পত্তির বেলায় তার জালিয়াতির হাত অধিকতর প্রশস্ত। ভুয়া, জাল ও বানোয়াট কাগজপত্রের ভিত্তিতে হাল জরিপে বিরাট অঙ্কের সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করে ফেলে সে। কোনো কোনো ভূমি বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রিও করে দেয়। প্রতিবেদনের সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে আশরাফ আলী ভূঁইয়ার নিজ নামে রেকর্ড করে নেয়া সরকারি ভূমির একটি বিবরণও দেয়া হয়। ওই বিবরণে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার ৩২৪৫ ও ৩২৫৫ দাগের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত আনন্দবাজার বাঁশমহালের ১৯ শতক সরকারি ভূমি তথাকথিত বন্দোবস্ত কেইসমূলে আশরাফ আলী ভূঁইয়া তার বলে দাবি করে। এ ভূমির মূল্য ৪০ কোটি টাকা। একই মৌজার ৩৭১২ দাগের টান বাজারস্থ সরকারি দখলাধীন ৭.১৮ শতক জায়গা (বর্তমানে ভিপি কেইস নং-৩৬/৬৯-৭০ মূলে লিজকৃত) নিলাম খরিদ সূত্রে মালিকানা দাবি করে আশরাফ। যার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার ৩৫৭৯ ও ৩৫৮০ দাগের হকার্স মার্কেটে অবস্থিত ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১.৬৯ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্ত কেইস মূলে নিজের বলে দাবি করে সে। একই মৌজার ২৩৫৪, ২৩৬১, ১০৪৩, ১০৪৪ দাগের টিএরোডের ২৫.০৯ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে তার নিজের বলে দাবি করে। এ জায়গাটির মূল্য ২০ কোটি টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার ৩১৫৬, ৩১৫৭, ৩১৫৮, ৩০৪৯, ৩০৫০ দাগে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত আনন্দবাজার চালমহাল, নাথমহাল ও জোড়ামহাল এবং আনন্দবাজারের পেরীফেরী নকশার ৪৫-৫৪ এবং ১১০-১২৮নং পর্যন্ত ২৯টি সরকারি চান্দিনা ভিটির ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৬.৮২ শতাংশ ভূমি তথাকথিত বন্দোবস্ত কেইস মূলে আশরাফ নিজের বলে দাবি করে। ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি দখলাধীন আনন্দবাজার বুটপট্টি ও নৌকাঘাটের জায়গা, যার সঙ্গে আনন্দ বাজার পেরীফেরী নকশার কয়েকটি দোকান এবং আনন্দবাজার মসজিদের নামে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তকৃত ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭ শতাংশ ভূমি তথাকথিত নিলাম খরিদ সূত্রে আশরাফ তার বলে দাবি করে। এ ভূমি ৩১৩৮ দাগে অবস্থিত। আনন্দবাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, তাদের মসজিদের নামে বন্দোবস্ত দেয়া জায়গাটি আশরাফ তার পৈতৃক বলে দাবি করে মামলা করে। এ মামলায় সে ডিসিকেও আসামি করে। মসজিদের এ জায়গা নিয়ে আমাদের অনেক হয়রানি করেছে সে।
পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আশরাফ আলী ভূঁইয়া একটা জালিয়াত। আমি তদন্তে এমনই প্রমাণ পেয়েছি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আশরাফকে একাধিকবার নোটিশ করেছি। কিন্তু সে উপস্থিত হয়নি। সে তার স্ত্রীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে। আমরা এখন বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবো। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আশরাফ আলী ভূঁইয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলে, কোনো সময়ই সে দলিলপত্র জাল করেনি। কারও জায়গাও আত্মসাৎ করেনি। তার শত্রুপক্ষীয় লোকজন লোভের বশবর্তী হয়ে এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। আশরাফ আলী ভূঁইয়ার বাড়ি শহরের শিমরাইকান্দি এলাকায়। তার পিতার নাম আবদুল জব্বার ভূঁইয়া।
উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, জাল-ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আশরাফ আলী ভূঁইয়া ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করছে বলে ২০১৪ সালের অক্টোবরে শহরের শেরপুরের বজলুর রহমান মেম্বার জেলা প্রশাসকের কাছে একটি অভিযোগ দেন। সদর সহকারী কমিশনার ভূমির নির্দেশে এ অভিযোগের তদন্ত করেন পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম। গত ২২শে এপ্রিল তিনি তার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। যাতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও রেকর্ড পর্যালোচনায় আশরাফ আলী ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতার একাধিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। কখনও কথিত নিলাম খরিদ, কখনও তথাকথিত বন্দোবস্ত কেইস, কখনও বা জাল দলিল তৈরি করে আশরাফ আলী ভূঁইয়া সরকারি-বেসরকারি বহু মূল্যবান সম্পত্তি গ্রাস করার চেষ্টায় লিপ্ত। প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকারি সম্পত্তির বেলায় তার জালিয়াতির হাত অধিকতর প্রশস্ত। ভুয়া, জাল ও বানোয়াট কাগজপত্রের ভিত্তিতে হাল জরিপে বিরাট অঙ্কের সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড করে ফেলে সে। কোনো কোনো ভূমি বিভিন্ন লোকের কাছে বিক্রিও করে দেয়। প্রতিবেদনের সঙ্গে জালিয়াতির মাধ্যমে আশরাফ আলী ভূঁইয়ার নিজ নামে রেকর্ড করে নেয়া সরকারি ভূমির একটি বিবরণও দেয়া হয়। ওই বিবরণে দেখা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার ৩২৪৫ ও ৩২৫৫ দাগের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত আনন্দবাজার বাঁশমহালের ১৯ শতক সরকারি ভূমি তথাকথিত বন্দোবস্ত কেইসমূলে আশরাফ আলী ভূঁইয়া তার বলে দাবি করে। এ ভূমির মূল্য ৪০ কোটি টাকা। একই মৌজার ৩৭১২ দাগের টান বাজারস্থ সরকারি দখলাধীন ৭.১৮ শতক জায়গা (বর্তমানে ভিপি কেইস নং-৩৬/৬৯-৭০ মূলে লিজকৃত) নিলাম খরিদ সূত্রে মালিকানা দাবি করে আশরাফ। যার মূল্য ১৫ কোটি টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার ৩৫৭৯ ও ৩৫৮০ দাগের হকার্স মার্কেটে অবস্থিত ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত ৫ কোটি টাকা মূল্যের ১.৬৯ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্ত কেইস মূলে নিজের বলে দাবি করে সে। একই মৌজার ২৩৫৪, ২৩৬১, ১০৪৩, ১০৪৪ দাগের টিএরোডের ২৫.০৯ শতাংশ অর্পিত সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে তার নিজের বলে দাবি করে। এ জায়গাটির মূল্য ২০ কোটি টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া মৌজার ৩১৫৬, ৩১৫৭, ৩১৫৮, ৩০৪৯, ৩০৫০ দাগে সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত আনন্দবাজার চালমহাল, নাথমহাল ও জোড়ামহাল এবং আনন্দবাজারের পেরীফেরী নকশার ৪৫-৫৪ এবং ১১০-১২৮নং পর্যন্ত ২৯টি সরকারি চান্দিনা ভিটির ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৬.৮২ শতাংশ ভূমি তথাকথিত বন্দোবস্ত কেইস মূলে আশরাফ নিজের বলে দাবি করে। ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি দখলাধীন আনন্দবাজার বুটপট্টি ও নৌকাঘাটের জায়গা, যার সঙ্গে আনন্দ বাজার পেরীফেরী নকশার কয়েকটি দোকান এবং আনন্দবাজার মসজিদের নামে দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তকৃত ১৫ কোটি টাকা মূল্যের ৭ শতাংশ ভূমি তথাকথিত নিলাম খরিদ সূত্রে আশরাফ তার বলে দাবি করে। এ ভূমি ৩১৩৮ দাগে অবস্থিত। আনন্দবাজার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, তাদের মসজিদের নামে বন্দোবস্ত দেয়া জায়গাটি আশরাফ তার পৈতৃক বলে দাবি করে মামলা করে। এ মামলায় সে ডিসিকেও আসামি করে। মসজিদের এ জায়গা নিয়ে আমাদের অনেক হয়রানি করেছে সে।
পৌর ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, আশরাফ আলী ভূঁইয়া একটা জালিয়াত। আমি তদন্তে এমনই প্রমাণ পেয়েছি।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. আশরাফুল আলম বলেন, আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আশরাফকে একাধিকবার নোটিশ করেছি। কিন্তু সে উপস্থিত হয়নি। সে তার স্ত্রীর মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে। আমরা এখন বিষয়টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেবো। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে আশরাফ আলী ভূঁইয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে দেয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলে, কোনো সময়ই সে দলিলপত্র জাল করেনি। কারও জায়গাও আত্মসাৎ করেনি। তার শত্রুপক্ষীয় লোকজন লোভের বশবর্তী হয়ে এ মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। আশরাফ আলী ভূঁইয়ার বাড়ি শহরের শিমরাইকান্দি এলাকায়। তার পিতার নাম আবদুল জব্বার ভূঁইয়া।
No comments