‘র্যাব পরিচয়ে’ রুয়েট ছাত্রলীগ নেতাকে অপহরণ
রাজশাহী
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ নেতাকে ‘র্যাব পরিচয়ে’
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বুধবার রাত ৩টার দিকে নগরীর তেরখাদিয়া
এলাকার বাড়ি থেকে তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় ৬ সদস্যের একটি টিম। তারা একটি সাদা
মাইক্রোবাসে করে বাড়ির সামনে থামেন। এদের মধ্যে ৫ জন র্যাবের হাফ জ্যাকেট
এবং একজন ডিবি জ্যাকেট পরিধান করে ছিলেন। তবে র্যাব ওই এলাকায় সেদিন কোন
অভিযান পরিচালনা করেনি বলে দাবি করেছে। আর থানা ও ডিবি পুলিশ বলছে, তারাও এ
বিষয়ে কিছু জানে না।
‘নিখোঁজ’ সাইফুজ্জামান সোহাগ রুয়েট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ার তেরোখাদিয়া পশ্চিমপাড়ায়।
এদিকে অপহরণের দুইদিন পরও সোহাগের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গতকাল সকালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্মেলন কক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান সোহাগের পিতা আক্কাস উজ জামান বলেন, বুধবার রাত ৩টার দিকে ১৫ জনের মতো একটি দল একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে র্যাব বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ির গেট খুলতে বলে। আমরা প্রথম দিকে গেট খুলতে চায়নি। অনেক জোরাজুরির পর গেটখোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা তিন তলায় আমার ছেলে সোহাগের ঘরে যায় এবং ওর ল্যাপটপ খুলে কী কী আছে দেখতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় তাকে এবং তার স্ত্রীকে কয়েকজন মিলে ঘিরে রাখে। তারা কথাও বলতে দেয়নি, ছেলের ঘরেও যেতে দেয়নি। কিছুক্ষণ পর ল্যাপটপ ও ক্যামেরাসহ সোহাগকে তারা ধরে নিয়ে যায়।
এ সময় কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জানতে চাইলে আমাদের বলেছে, ‘সকালে থানায় খোঁজ করবেন।’
সোহাগ বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রী ঢাকায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। খবর পেয়ে ওইদিন বাসায় এসে সে দেখেছে, তার গয়নাও পাওয়া যাচ্ছে না।
সোহাগের পিতা বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সকালে রাজপাড়া থানায় খোঁজ নিতে গেলে বলা হয়েছে, আমার ছেলে সেখানে নেই। পুলিশ নাকি কিছুই জানে না। র্যাবের কাছেও গিয়েছি। তারা বলেছে, রাতে নাকি আমাদের এলাকায় কোন অভিযানই চালায়নি।’
অপরদিকে সোহাগের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান দুলাল মানবজমিনকে জানান, ‘র্যাব-ডিবি পুলিশ কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না। তার ও সোহাগের পিতার কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। তাই কারা অপহরণ করে নিয়ে গেল এ ব্যাপারে নিজে থেকে কাউকে সন্দেহ করতে পারছেন না। অপহরণের সময় ওরা র্যাব পরিচয়ে বাড়িতে এসেছিল। এদের মধ্যে ৫ জন র্যাবের হাফ জ্যাকেট এবং একজন ডিবি জ্যাকেট পরিধান করে ছিলেন। যারা সবাই মধ্যবয়সী ছিলেন।’
গতকাল বিকালে অভিযোগ করা হলে র্যাব-৫ এর একটি টিম বাড়িতে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। র্যাব-৫ উপ অধিনায়ক মেজর সালাম জানান, তাদের কোন দল সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযানে যায়নি। ওর বাবা আমাদের অভিযোগ দিয়ে গেছেন। আমরা সোহাগের ফোন নাম্বার রেখেছি, ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্র্যাক করে দেখার চেষ্টা করছি আসলে কি হয়েছে।
সাইফুজ্জামান সোহাগের মা শিরিন জামান জানান, ‘র্যাব পরিচয়ে যারা এসেছিল, তারা সোহাগের সঙ্গে তার সহপাঠী এক ছাত্রীর (নাবিলার) বিষয়ে কথা বলেছে।’
রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেলও সোহাগের বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। দলের নেতাকর্মীদের কাছে খোঁজ নিয়েছে। দলের কারও সঙ্গে সোহাগের মনোমালিন্য হয়েছে বলে শুনিনি।’
এ ঘটনায় সোহাগের পিতা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন জানিয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা এখনও তার খোঁজ পাইনি। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সোহাগের পিতা বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছেলে যদি অপরাধ করেও থাকে, তাহলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
তবে ঘটনার দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে ছেলে অপহরণের অভিযোগ করায় নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পারিবারিক কোন্দল কিংবা বিপিএল এর বাজি খেলাকে কেন্দ্র করেও অপহরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
‘নিখোঁজ’ সাইফুজ্জামান সোহাগ রুয়েট মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। তার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ার তেরোখাদিয়া পশ্চিমপাড়ায়।
এদিকে অপহরণের দুইদিন পরও সোহাগের কোন সন্ধান না পাওয়ায় গতকাল সকালে রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সম্মেলন কক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
সাইফুজ্জামান সোহাগের পিতা আক্কাস উজ জামান বলেন, বুধবার রাত ৩টার দিকে ১৫ জনের মতো একটি দল একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে এসে র্যাব বলে পরিচয় দিয়ে বাড়ির গেট খুলতে বলে। আমরা প্রথম দিকে গেট খুলতে চায়নি। অনেক জোরাজুরির পর গেটখোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা তিন তলায় আমার ছেলে সোহাগের ঘরে যায় এবং ওর ল্যাপটপ খুলে কী কী আছে দেখতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় তাকে এবং তার স্ত্রীকে কয়েকজন মিলে ঘিরে রাখে। তারা কথাও বলতে দেয়নি, ছেলের ঘরেও যেতে দেয়নি। কিছুক্ষণ পর ল্যাপটপ ও ক্যামেরাসহ সোহাগকে তারা ধরে নিয়ে যায়।
এ সময় কোথায় নিয়ে যাচ্ছে জানতে চাইলে আমাদের বলেছে, ‘সকালে থানায় খোঁজ করবেন।’
সোহাগ বিবাহিত ছিলেন। তার স্ত্রী ঢাকায় মেডিকেল কলেজের ছাত্রী। খবর পেয়ে ওইদিন বাসায় এসে সে দেখেছে, তার গয়নাও পাওয়া যাচ্ছে না।
সোহাগের পিতা বলেন, ‘আমরা বৃহস্পতিবার সকালে রাজপাড়া থানায় খোঁজ নিতে গেলে বলা হয়েছে, আমার ছেলে সেখানে নেই। পুলিশ নাকি কিছুই জানে না। র্যাবের কাছেও গিয়েছি। তারা বলেছে, রাতে নাকি আমাদের এলাকায় কোন অভিযানই চালায়নি।’
অপরদিকে সোহাগের শ্বশুর রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক শেখ রেজাউর রহমান দুলাল মানবজমিনকে জানান, ‘র্যাব-ডিবি পুলিশ কেউ এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না। তার ও সোহাগের পিতার কারও সঙ্গে শত্রুতা নেই। তাই কারা অপহরণ করে নিয়ে গেল এ ব্যাপারে নিজে থেকে কাউকে সন্দেহ করতে পারছেন না। অপহরণের সময় ওরা র্যাব পরিচয়ে বাড়িতে এসেছিল। এদের মধ্যে ৫ জন র্যাবের হাফ জ্যাকেট এবং একজন ডিবি জ্যাকেট পরিধান করে ছিলেন। যারা সবাই মধ্যবয়সী ছিলেন।’
গতকাল বিকালে অভিযোগ করা হলে র্যাব-৫ এর একটি টিম বাড়িতে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। র্যাব-৫ উপ অধিনায়ক মেজর সালাম জানান, তাদের কোন দল সোহাগকে গ্রেপ্তারে অভিযানে যায়নি। ওর বাবা আমাদের অভিযোগ দিয়ে গেছেন। আমরা সোহাগের ফোন নাম্বার রেখেছি, ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্র্যাক করে দেখার চেষ্টা করছি আসলে কি হয়েছে।
সাইফুজ্জামান সোহাগের মা শিরিন জামান জানান, ‘র্যাব পরিচয়ে যারা এসেছিল, তারা সোহাগের সঙ্গে তার সহপাঠী এক ছাত্রীর (নাবিলার) বিষয়ে কথা বলেছে।’
রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান হিমেলও সোহাগের বিষয়ে বিশেষ কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনা শুনেছি। দলের নেতাকর্মীদের কাছে খোঁজ নিয়েছে। দলের কারও সঙ্গে সোহাগের মনোমালিন্য হয়েছে বলে শুনিনি।’
এ ঘটনায় সোহাগের পিতা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন জানিয়ে রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ‘আমরা এখনও তার খোঁজ পাইনি। তবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সোহাগের পিতা বলেন, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছেলে যদি অপরাধ করেও থাকে, তাহলে তাকে আদালতে সোপর্দ করে আইনের আওতায় আনা হোক।’
তবে ঘটনার দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে ছেলে অপহরণের অভিযোগ করায় নানা সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পারিবারিক কোন্দল কিংবা বিপিএল এর বাজি খেলাকে কেন্দ্র করেও অপহরণের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
No comments