সাবধানে চলি, যদি গর্তে পড়ি by ইফতেখার মাহমুদ
মিরপুরের ১১ নম্বরে বাংলা স্কুলের সামনে রাস্তা খুঁড়ে কাজ করছে ওয়াসা। এতে যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থীরা l সাজিদ হোসেন |
সকাল
তখন সাড়ে ১০টা। মিরপুর বাংলা স্কুলের প্রভাতি শাখার ছুটি হয়েছে।
‘শিক্ষার্থীরা হেঁটে হেঁটে স্কুলে যায় আর দৌড়ে বাড়ি ফিরে’ এই প্রসিদ্ধ
উক্তিটি যেন মিরপুর ১১ নম্বরের প্রধান সড়কের কারণে অচল হয়ে গেছে।
ছুটির পর দেখা গেল একদল শিক্ষার্থী কাদা মাড়িয়ে, সড়কের গর্ত এগিয়ে সাবধানে গুটিগুটি পায়ে বাড়ির পথে এগোচ্ছে। কারণ, স্কুলের সামনের সড়কে বিশাল এক গর্ত খুঁড়ে রেখেছে ঢাকা ওয়াসার ঠিকাদারেরা। পথ চলতে গিয়ে ওই গর্তে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার আনন্দকেই যেন ম্লান করে দিয়েছে।
মিরপুর বাংলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ, বাহাদুর মো. সাইফুল্লাহ ও আবু শাহরিয়ার ওই কাদামাখা আর গর্তে ভরা পথটি দিয়ে সাবধানে পা ফেলে এগোচ্ছিল। চলতি পথেই কথা হয় তাদের সঙ্গে। রেদওয়ান বলল, গর্ত খুঁড়ে রাখায় তারা খুব আতঙ্কে থাকে। গর্ত থেকে তোলা মাটি বৃষ্টির পানিতে কাদা হয়ে অনেকটাই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুলে যেতে আসতে কে পা পিছলে পড়ে, সে ভয় তো আছেই। কর্দমাক্ত পথে চলতে হচ্ছে কষ্ট করে।
বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে পোশাক মাখামাখি হয়ে যায়। শাহরিয়ার বলল, ‘দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তা কাটা। আমাদের স্কুলে যেতে আসতে সমস্যা হচ্ছে।’
শুধু মিরপুর বাংলা স্কুলের সামনের সড়ক নয়, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে শুরু করে ১২ নম্বর পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে কিছু দূরত্ব পরপর বিশাল একেকটি গর্ত খুঁড়ে রেখেছে ওয়াসা। রাজধানীর পানি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য নেওয়া একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এসব রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। গতকাল মিরপুর ১১, ৬, ৭ ও ১২ নম্বর প্রধান সড়কের পাশের গলিগুলোর মুখে দিনের বেলায় বিশাল আকৃতির যন্ত্র দিয়ে সড়কে গর্ত করতে দেখা গেল।
সড়কের গর্তের সঙ্গে যন্ত্র মিলে ৬০ ফুট সড়কের ৩০ ফুট দিয়েই যানবাহন চলাচল করতে পারছিল না। এর সঙ্গে মেট্রোরেলের মাটি পরীক্ষার জন্য স্থাপন করা অবকাঠামোর কারণে সড়কের এক-তৃতীয়াংশই দখল হয়ে আছে। ফলে পুরো সড়কজুড়েই তীব্র যানজট দেখা দিচ্ছে।
মিরপুর থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়া গণপরিবহনগুলোর বেশির ভাগ পরিবহন শ্রমিককে ১২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত যাওয়ার সময় গাড়ির চালকের উদ্দেশ্যে বাসে চাপড় দিতে দিতে বলতে দেখা গেল, ‘সাবধানে চলি, যদি গর্তে পড়ি।’
ছুটির পর দেখা গেল একদল শিক্ষার্থী কাদা মাড়িয়ে, সড়কের গর্ত এগিয়ে সাবধানে গুটিগুটি পায়ে বাড়ির পথে এগোচ্ছে। কারণ, স্কুলের সামনের সড়কে বিশাল এক গর্ত খুঁড়ে রেখেছে ঢাকা ওয়াসার ঠিকাদারেরা। পথ চলতে গিয়ে ওই গর্তে পড়ে যাওয়ার শঙ্কা শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফেরার আনন্দকেই যেন ম্লান করে দিয়েছে।
মিরপুর বাংলা স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেদওয়ান আহমেদ, বাহাদুর মো. সাইফুল্লাহ ও আবু শাহরিয়ার ওই কাদামাখা আর গর্তে ভরা পথটি দিয়ে সাবধানে পা ফেলে এগোচ্ছিল। চলতি পথেই কথা হয় তাদের সঙ্গে। রেদওয়ান বলল, গর্ত খুঁড়ে রাখায় তারা খুব আতঙ্কে থাকে। গর্ত থেকে তোলা মাটি বৃষ্টির পানিতে কাদা হয়ে অনেকটাই এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুলে যেতে আসতে কে পা পিছলে পড়ে, সে ভয় তো আছেই। কর্দমাক্ত পথে চলতে হচ্ছে কষ্ট করে।
বৃষ্টি হলে কাদা-পানিতে পোশাক মাখামাখি হয়ে যায়। শাহরিয়ার বলল, ‘দুই সপ্তাহ ধরে রাস্তা কাটা। আমাদের স্কুলে যেতে আসতে সমস্যা হচ্ছে।’
শুধু মিরপুর বাংলা স্কুলের সামনের সড়ক নয়, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর থেকে শুরু করে ১২ নম্বর পর্যন্ত পুরো সড়কজুড়ে কিছু দূরত্ব পরপর বিশাল একেকটি গর্ত খুঁড়ে রেখেছে ওয়াসা। রাজধানীর পানি সরবরাহ বাড়ানোর জন্য নেওয়া একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এসব রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। গতকাল মিরপুর ১১, ৬, ৭ ও ১২ নম্বর প্রধান সড়কের পাশের গলিগুলোর মুখে দিনের বেলায় বিশাল আকৃতির যন্ত্র দিয়ে সড়কে গর্ত করতে দেখা গেল।
সড়কের গর্তের সঙ্গে যন্ত্র মিলে ৬০ ফুট সড়কের ৩০ ফুট দিয়েই যানবাহন চলাচল করতে পারছিল না। এর সঙ্গে মেট্রোরেলের মাটি পরীক্ষার জন্য স্থাপন করা অবকাঠামোর কারণে সড়কের এক-তৃতীয়াংশই দখল হয়ে আছে। ফলে পুরো সড়কজুড়েই তীব্র যানজট দেখা দিচ্ছে।
মিরপুর থেকে ফার্মগেটের দিকে যাওয়া গণপরিবহনগুলোর বেশির ভাগ পরিবহন শ্রমিককে ১২ নম্বর থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত যাওয়ার সময় গাড়ির চালকের উদ্দেশ্যে বাসে চাপড় দিতে দিতে বলতে দেখা গেল, ‘সাবধানে চলি, যদি গর্তে পড়ি।’
No comments