দু’চার পয়সার ভাগ বাটোয়ারা বাদ দিন: আশরাফ
দু’চার
পয়সার ভাগ বাঁটোয়ারা বাদ দিয়ে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সর্বোচ্চ
সতর্কাবস্থায় থাকার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও
জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা দিবস
উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আহবান জানান তিনি। আজ বিকালে রাজধানীর
মহানগর নাট্যমঞ্চে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় শ্রমিক লীগ। সৈয়দ আশরাফ
বলেন, হেলায় হেলায় বসে থাকার সুযোগ নেই। আমরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছি ঠিকই
কিন্তু ক্ষমতায় থেকেও আমরা নিরাপদ নই। ঐক্যবদ্ধ না থাকলে বাংলাদেশে ভয়ংকর
পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামান্য কিছু পাওয়ার জন্য দলে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। আমরা যদি নিজেদের মধ্যে কোন্দল করি, বিভক্তি সৃষ্টি
করি তবে কিন্তু আমরা দুর্বল হয়ে যাব। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিজেদের
মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করলে অন্যেরা এর সুযোগ নেবে। তাই ব্যক্তি স্বার্থকে
গুরুত্ব না দিয়ে দলের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে কাজ করুন। ক্ষমতায় আছেন
দেখে সামান্য দু’চার পয়সার ভাগবাটোয়ারা ত্যাগ করতে পারেন না? তিনি বলেন,
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য ১৪ই আগস্ট রাতকে বেছে নেয়া হয়েছিল, কারণ ওইদিন
পাকিস্তানের জন্ম। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ ছিল তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের স্বাধের
পাকিস্তান ভেঙ্গে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছিলেন। এ কারণেই মুক্তিযুদ্ধ
বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এমন ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত
রয়েছে। বিএনপিকে ষড়যন্ত্রকারিদের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারিরা
এক সেকেন্ডের জন্যও থেমে নেই। এরা সবসময়ই শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের
হত্যার পরিকল্পনা করে। নানা কৌশলে তারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চায়।
খালেদা জিয়া প্রতি মুহূর্তে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে আমাদের সজাগ
থাকতে হবে। তিনি বলেন, তারা সবসময় সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টায় থাকবে। আমাদের
কাজ হলো যতবারই তারা চেষ্টা করবে, তাদেরকে কামিয়াব হতে দেবনা। এ জন্য আমি
আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী পরিবারের প্রতি পরিপূর্ণ ঐক্যে ডাক দিচ্ছি। পচাত্তরের
১৫ই আগস্ট এবং ২০০৪ সালের ২১শে আগস্টের মধ্যে পার্থক্য উল্লেখ করে সৈয়দ
আশরাফুল ইসলাম বলেন, ১৫ই আগস্ট খুনিরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ধ্বংস করতে
চেয়েছিল। আর ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু
খুনিরা সফল না হওয়ার কারণ, বাঙালি বঙ্গবন্ধুকে যেমন ভালোবাসে তেমনি আওয়ামী
লীগকেও ভালোবাসে। আর এই ভালোবাসাই আমাদের ভরসা। জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি
শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, শ্রমিক লীগের
কার্যকরি সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
No comments