বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান ব্রিটেনের
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ডেসমন্ড সোয়েন |
আন্তর্জাতিক
উন্নয়ন-বিষয়ক ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ডেসমন্ড সোয়েন বলেছেন বাংলাদেশে এ
পর্যন্ত অর্জিত উন্নয়নের ধারাবাহিতা বজায় রাখতে এবং দেশটিকে মধ্য আয়ের
দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে উন্নয়নের বিভিন্ন দিকে বাংলাদেশকেই
নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি বলেছেন, আগামী বছরগুলোতে স্থায়ী উন্নয়নের
লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং একটা শক্তিশালী
সুশীল সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশে তিন দিনের সফর শেষে প্রতিমন্ত্রী সোয়েন এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ডেসমন্ড সোয়েন তার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫র মধ্যে নির্ধারিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু এখন মধ্য আয়ের দেশ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে , এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশকে তাদের নিজস্ব সম্পদও ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সোয়েন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ব্রিটেন তার অর্থ সহযোগিতা অব্যাহত রাখলেও অর্জিত রাজস্ব থেকে উন্নয়নের কিছু ব্যয়ভার বাংলাদেশকেও বহন করতে হবে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
"নতুন যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে যার নাম দেওয়া হচ্ছে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল, তাতে যেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে সেগুলো এর আগের ধাপে ছিল না। যার মধ্যে বিশেষভাবে থাকছে সুশাসনের বিষয়টি। তিনি বলেন একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন – পাশাপাশি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এই লক্ষ্যমাত্রার অংশ যেখানে আরও থাকবে একটি সুস্থ সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা যে সমাজে আইনের শাসন কাজ করবে এবং যারা সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন ব্রিটেনের প্রত্যাশা এমডিজির মত বাংলাদেশ এগুলো অর্জনেও সফল হবে।" বলেন সোয়েন।
সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপটা নির্ধারণ করা হবে যেটাকে বলা হচ্ছে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-বা এসডিজি- অর্থাৎ এই পর্বে স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।
সোয়েন জানান, এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে সুশাসন এবং শক্তিশালী সুশীল সমাজ গঠনের মত বিষয়গুলি, যেগুলি আগের লক্ষ্যমাত্রার অংশ ছিল না ।
সুশাসন প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন বাংলাদেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে সেটা ব্রিটেন কীভাবে দেখছে? ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার তিন দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি সুচিন্তিত মতামত দেয়ার অবস্থানে নেই- তবে বিষয়টির যথাযথ তদন্তের ওপর তিনি জোর দেন।
"তিনি যেটা বলছিলেন যে এধরনের অপরাধের যথাযথ তদন্ত এবং অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক চর্চা আর মূল্যবোধ সংরক্ষণের জন্য দেশটির যা প্রয়োজন তা করা উচিত। যার অর্থ হল দেশটিতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ্য করা উচিত হয়। কাজেই তিনি বলেন তার মতে বাংলাদেশ সরকারের এবং পুলিশের উচিত এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার করা।"
তার তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে সোয়েন ব্রিটিশ অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন যার মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচি, চরের মানুষদের জন্য বিকল্প জীবিকার কর্মসূচি ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নানা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কীভাবে এগোচ্ছে তা ঘুরে দেখেন।
সূত্র : বিবিসি
বাংলাদেশে তিন দিনের সফর শেষে প্রতিমন্ত্রী সোয়েন এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী ডেসমন্ড সোয়েন তার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ২০১৫র মধ্যে নির্ধারিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু এখন মধ্য আয়ের দেশ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠার পথে এগোচ্ছে , এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশকে তাদের নিজস্ব সম্পদও ব্যবহার করতে হবে বলে মন্তব্য করেন সোয়েন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য ব্রিটেন তার অর্থ সহযোগিতা অব্যাহত রাখলেও অর্জিত রাজস্ব থেকে উন্নয়নের কিছু ব্যয়ভার বাংলাদেশকেও বহন করতে হবে এবং উন্নয়নের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
"নতুন যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে যার নাম দেওয়া হচ্ছে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল, তাতে যেগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে সেগুলো এর আগের ধাপে ছিল না। যার মধ্যে বিশেষভাবে থাকছে সুশাসনের বিষয়টি। তিনি বলেন একটা শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন – পাশাপাশি শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে এই লক্ষ্যমাত্রার অংশ যেখানে আরও থাকবে একটি সুস্থ সুশীল সমাজ প্রতিষ্ঠা যে সমাজে আইনের শাসন কাজ করবে এবং যারা সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। তিনি বলেন ব্রিটেনের প্রত্যাশা এমডিজির মত বাংলাদেশ এগুলো অর্জনেও সফল হবে।" বলেন সোয়েন।
সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আলোকে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপটা নির্ধারণ করা হবে যেটাকে বলা হচ্ছে সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-বা এসডিজি- অর্থাৎ এই পর্বে স্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।
সোয়েন জানান, এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে সুশাসন এবং শক্তিশালী সুশীল সমাজ গঠনের মত বিষয়গুলি, যেগুলি আগের লক্ষ্যমাত্রার অংশ ছিল না ।
সুশাসন প্রসঙ্গে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন বাংলাদেশে বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে সেটা ব্রিটেন কীভাবে দেখছে? ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার তিন দিনের সংক্ষিপ্ত সফরে এ বিষয়টি নিয়ে তিনি সুচিন্তিত মতামত দেয়ার অবস্থানে নেই- তবে বিষয়টির যথাযথ তদন্তের ওপর তিনি জোর দেন।
"তিনি যেটা বলছিলেন যে এধরনের অপরাধের যথাযথ তদন্ত এবং অপরাধীর বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ। গণতান্ত্রিক চর্চা আর মূল্যবোধ সংরক্ষণের জন্য দেশটির যা প্রয়োজন তা করা উচিত। যার অর্থ হল দেশটিতে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ্য করা উচিত হয়। কাজেই তিনি বলেন তার মতে বাংলাদেশ সরকারের এবং পুলিশের উচিত এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার করা।"
তার তিনদিনের বাংলাদেশ সফরে সোয়েন ব্রিটিশ অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ঘুরে দেখেন যার মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণ কর্মসূচি, চরের মানুষদের জন্য বিকল্প জীবিকার কর্মসূচি ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নানা প্রশিক্ষণ কর্মসূচি কীভাবে এগোচ্ছে তা ঘুরে দেখেন।
সূত্র : বিবিসি
No comments