ইন্টারনেট থাকবে না!
গুগলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক স্মিড |
ফেসবুকের শেরিল স্যান্ডবার্গ |
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা |
ইন্টারনেট
বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না এক সময়। ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে
সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করলেন গুগলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক স্মিড।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক প্যানেলে তাঁকে ওয়েব
নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে বললে তিনি বলেন, ‘আমি খুব সাধারণভাবে বলব,
ইন্টারনেট হারিয়ে যাবে।’ এএফপির খবরে জানানো হয়, এরিক স্মিড বলেন, ‘এত
বেশি আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ঠিকানা থাকবে...এত বেশি যন্ত্র, সেন্সর ও
পরিধেয় পণ্য থাকবে যার সঙ্গে মানুষ যোগাযোগ করবে যে ইন্টারনেটের
প্রয়োজনবোধই হবে না।’
স্মিড ব্যাখ্যা করেন, ‘সব সময় মানুষের উপস্থিতির বিষয়টিকেই অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ধরা যাক, একটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করা হলো যে ঘরটিই হলো বুদ্ধিমান। আমার অনুমতি সাপেক্ষে ঘরে ঢোকামাত্রই আমার ঘরের সব যন্ত্রপাতি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যার যা কাজ তা শুরু করে দিল।’
স্মিড বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, অত্যন্ত যুগোপযোগী যোগাযোগে সক্ষম ও দারুণ মজাদার বিশ্ব আমাদের সামনে উঠে আসবে।’
এই প্যানেলে আলোচনার সময় এরিক স্মিড সার্চের বাজারে গুগলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্ক নিয়েও কথা বলেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গুগলের এই বাজার আধিপত্যকে খর্ব করতে মামলা লড়ছে। গত বছরে গুগলের অন্যান্য ব্যবসাকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসা থেকে পৃথক করার জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আলোচনা হয়।
‘দ্য ফিউচার অব দ্য ডিজিটাল ইকোনমি’ নামের এই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ। শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘প্রযুক্তি বিশ্ব এখন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে সবাই চাকরি নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু প্রযুক্তি শুধু এই শিল্পেই চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করছে না; বরং এর বাইরেও কর্মক্ষেত্র বাড়াচ্ছে।’
প্রযুক্তির কারণে চাকরির সুযোগ নষ্ট হচ্ছে কি না—সে বিষয়টি নিয়ে স্মিড বলেন, ‘এই বিতর্ক শত শত বছর ধরেই চলছে। যখন ট্রাক্টর এল তখন অনেকেই হালচাষ ছেড়ে দিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান এনে দিতে পেরেছিল। বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান মানেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হওয়া। ’
সবার ব্যক্তিগত মত আছে
এ বছর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্যতম একটি আলোচনার বিষয় ছিল বৈশ্বিক সমৃদ্ধির ফল কীভাবে বণ্টন করা হবে সে বিষয়টি। বৈশ্বিক সমতা বিধানে বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ-সুবিধা কাজ লাগতে পারে বলে মত দেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেন, ‘প্রযুক্তির সব রকম সুবিধা কী সবার মধ্যে ছড়ানো গেছে? সবার কাছে প্রযুক্তি সুবিধার বিষয়টি আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
সত্য নাদেলা আরও বলেন, ‘আমি অবশ্য এ বিষয়ে আশাবাদী, কারণ এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি প্রযুক্তি ব্যবসা করতে হয়, তবে আশাবাদী হতেই হবে। আমার মনে হয়, আগে মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তি মানুষকে দারুণ কিছু করার যথেষ্ট ক্ষমতাশালী করে তোলে।’
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘ইন্টারনেটের আদি যুগে ইন্টারনেট ছিল লুকিয়ে-চুরিয়ে ব্যবহারের জিনিস। কিন্তু এখন প্রত্যেকেই সবকিছু নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন, সবার জন্য দৃশ্যমান করে দিচ্ছেন। এখন সবার নিজস্ব একটি মত রয়েছে। সবাই এখন পোস্ট করতে পারে। শেয়ার করতে এবং কোনো বিষয়ের ওপর তাঁদের মন্তব্যের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারে, যা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।’
স্মিড বলেন, ‘এখন কোনো দেশের পক্ষেই ব্যাংকিং, যোগাযোগ, নৈতিকতা ও মানুষের যোগাযোগের বিষয় চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এখন আর কাউকে এই সংযোগ-সুবিধার বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা সম্ভব নয়। এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না।
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘এখন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়াতে এই অবস্থা। আমরা ৪০ শতাংশের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে যদি এ অবস্থায় আসতে পারি বাকি ৫০, ৬০ বা ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া কঠিন কিছু নয়। মাত্র দুই দশকের ইন্টারনেট অগ্রসরতায় যদি এই যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে, তবে ইন্টারনেটের সম্ভাব্যতা ও প্রবৃদ্ধি আরও চমৎকার হবে—এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।’
স্মিড ব্যাখ্যা করেন, ‘সব সময় মানুষের উপস্থিতির বিষয়টিকেই অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ধরা যাক, একটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করা হলো যে ঘরটিই হলো বুদ্ধিমান। আমার অনুমতি সাপেক্ষে ঘরে ঢোকামাত্রই আমার ঘরের সব যন্ত্রপাতি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যার যা কাজ তা শুরু করে দিল।’
স্মিড বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, অত্যন্ত যুগোপযোগী যোগাযোগে সক্ষম ও দারুণ মজাদার বিশ্ব আমাদের সামনে উঠে আসবে।’
এই প্যানেলে আলোচনার সময় এরিক স্মিড সার্চের বাজারে গুগলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্ক নিয়েও কথা বলেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গুগলের এই বাজার আধিপত্যকে খর্ব করতে মামলা লড়ছে। গত বছরে গুগলের অন্যান্য ব্যবসাকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসা থেকে পৃথক করার জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আলোচনা হয়।
‘দ্য ফিউচার অব দ্য ডিজিটাল ইকোনমি’ নামের এই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ। শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘প্রযুক্তি বিশ্ব এখন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে সবাই চাকরি নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু প্রযুক্তি শুধু এই শিল্পেই চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করছে না; বরং এর বাইরেও কর্মক্ষেত্র বাড়াচ্ছে।’
প্রযুক্তির কারণে চাকরির সুযোগ নষ্ট হচ্ছে কি না—সে বিষয়টি নিয়ে স্মিড বলেন, ‘এই বিতর্ক শত শত বছর ধরেই চলছে। যখন ট্রাক্টর এল তখন অনেকেই হালচাষ ছেড়ে দিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান এনে দিতে পেরেছিল। বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান মানেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হওয়া। ’
সবার ব্যক্তিগত মত আছে
এ বছর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অন্যতম একটি আলোচনার বিষয় ছিল বৈশ্বিক সমৃদ্ধির ফল কীভাবে বণ্টন করা হবে সে বিষয়টি। বৈশ্বিক সমতা বিধানে বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর সংযোগ-সুবিধা কাজ লাগতে পারে বলে মত দেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেন, ‘প্রযুক্তির সব রকম সুবিধা কী সবার মধ্যে ছড়ানো গেছে? সবার কাছে প্রযুক্তি সুবিধার বিষয়টি আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
সত্য নাদেলা আরও বলেন, ‘আমি অবশ্য এ বিষয়ে আশাবাদী, কারণ এতে কোনো সন্দেহ নেই। যদি প্রযুক্তি ব্যবসা করতে হয়, তবে আশাবাদী হতেই হবে। আমার মনে হয়, আগে মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। প্রযুক্তি মানুষকে দারুণ কিছু করার যথেষ্ট ক্ষমতাশালী করে তোলে।’
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘ইন্টারনেটের আদি যুগে ইন্টারনেট ছিল লুকিয়ে-চুরিয়ে ব্যবহারের জিনিস। কিন্তু এখন প্রত্যেকেই সবকিছু নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন, সবার জন্য দৃশ্যমান করে দিচ্ছেন। এখন সবার নিজস্ব একটি মত রয়েছে। সবাই এখন পোস্ট করতে পারে। শেয়ার করতে এবং কোনো বিষয়ের ওপর তাঁদের মন্তব্যের মাধ্যমে মতামত জানাতে পারে, যা আগে কখনো সম্ভব হয়নি।’
স্মিড বলেন, ‘এখন কোনো দেশের পক্ষেই ব্যাংকিং, যোগাযোগ, নৈতিকতা ও মানুষের যোগাযোগের বিষয় চাপা দিয়ে রাখা সম্ভব নয়। এখন আর কাউকে এই সংযোগ-সুবিধার বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা সম্ভব নয়। এটা কোনোভাবেই কাজ করবে না।
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘এখন মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে যাওয়াতে এই অবস্থা। আমরা ৪০ শতাংশের কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে যদি এ অবস্থায় আসতে পারি বাকি ৫০, ৬০ বা ৭০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া কঠিন কিছু নয়। মাত্র দুই দশকের ইন্টারনেট অগ্রসরতায় যদি এই যুগান্তকারী পরিবর্তন আসে, তবে ইন্টারনেটের সম্ভাব্যতা ও প্রবৃদ্ধি আরও চমৎকার হবে—এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।’
No comments