কোচের চাওয়া ‘স্পেশাল’ কিছু
(বিশ্বকাপ খেলতে বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে উড়াল দেবে আগামীকাল। তার আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল হয়ে গেল কোচ-অধিনায়কের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন। চন্ডিকা হাথুরুসিংেহকে সঙ্গে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনেই যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা l প্রথম আলো) সংবাদ
সম্মেলনকক্ষে ঢুকেই যেন একটু চমকে উঠলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। চেয়ারে বসে
চোখ বুলিয়ে নিলেন পুরো কক্ষে। পাশে বসা বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারকে
বললেন, ‘এত লোক!’
বিশ্বকাপ-যাত্রার সংবাদ সম্মেলন বলে কথা। শেরেবাংলার সংবাদ সম্মেলনকক্ষ কাল তাই টইটম্বুর। বিশ্বকাপ মানে আবেদন-আগ্রহ-কৌতূহলেও আর সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাওয়া। হাথুরুসিংহের চোখ কপালে উঠল যদিও, তবে কারণটাও বোঝার কথা। তিনি নিজেও তো দলের দায়িত্ব নিয়ে পাখির চোখ করেছিলেন এই বিশ্বকাপকেই! নিউ সাউথ ওয়েলস ছেড়ে গত জুনে যখন বাংলাদেশে এলেন, প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দলকে নিয়ে তাঁর ভাবনাজুড়ে ছিল বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের নতুন কোচ বলেছিলেন, ‘উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য বিশ্বকাপ হবে চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এবং সুনির্দিষ্ট করে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে পারি, গ্রুপপর্ব উতরাতে পারি। সেটিই হবে আমার প্রথম লক্ষ্য।’
সেই লক্ষ্যপূরণের মঞ্চ এখন প্রস্তুত। দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। আগামীকাল রাতে দল উড়াল দিচ্ছে বিশ্বকাপের দেশে। গত সাত মাসে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন কোচ। পরিচয় হয়েছে নানা বাস্তবতার সঙ্গে। তবে লক্ষ্যটা দূরে সরে যায়নি। বাংলাদেশ কোচের ভাবনায় এখনো সেই গ্রুপপর্ব উতরানো, ‘আমার তো চাওয়া একেবারে শেষ পর্যন্ত যাওয়া। তবে বাস্তবতাটাও মাথায় রাখতে হবে। আমি একটি একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই। তারপর কোয়ার্টার ফাইনালের ভাবনা। সত্যি যদি কোয়ার্টারে উঠে যাই, তখন তো প্রতিটিই নকআউট ম্যাচ, যেকোনো কিছুই হতে পারে। কোয়ার্টারে উঠতে হলে চারটি ম্যাচ জেতা দরকার। তিনটি জিতলেও সম্ভব, তবে চারটি জিতলে নিশ্চিত। ছেলেরা যদি ফিট থাকতে পারে, আমার ধারণা আমরা স্পেশাল কিছু করতে পারি।’
মাঠের পারফরম্যান্স তাঁর নিজের হাতে নেই। তবে প্রস্তুতি-পরিকল্পনা তো কোচের হাতেই করা এবং গড়া। গত দিন দশেক বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে দল অনুশীলন করেছে কোচের আঁকা ছকেই। প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ কোচ তৃপ্ত, ‘আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি, আমি সন্তুষ্ট। ম্যাচের মতো আবহে অনুশীলন করেছি, যেটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ছেলেরাও খুব ভালো বোধ করছে। গত ছয় মাসে ছেলেদের স্কিলের উন্নতির সঙ্গে মানসিকতাও আরও ভালো হয়েছে, বেড়েছে নিবেদন।’
প্রস্তুতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবশ্য এখনো বাকি। কন্ডিশনের সঙ্গে যতটা সম্ভব মানিয়ে নিতে নিজেদেরই খরচেই দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানকার তখন বাউন্সি উইকেটের পরিচিতি ক্রিকেট দুনিয়াজোড়া, সেই ব্রিসবেনে চলবে প্রস্তুতি। অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের বাইরে নিজেদের উদ্যোগে ব্রিসবেনে বাড়তি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। হাথুরুসিংহে তাকিয়ে এখন ব্রিসবেনে, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং সেভাবে পরিকল্পনা করা। ব্রিসবেনে আমরা অনুশীলনের বাইরে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলব। পরে আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে অফিশিয়াল। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হতে হতে আশা করি আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাব।’
পুরোপুরি প্রস্তুত দলের পরীক্ষা তখন পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স দেখানোর। কোচের রণপরিকল্পনা, মাঠে ক্রিকেটারদের রণমূর্তি, দুটো একবিন্দুতেই মিললেই পূর্ণ হবে কোচের চাওয়া—‘স্পেশাল কিছু!’
বিশ্বকাপ-যাত্রার সংবাদ সম্মেলন বলে কথা। শেরেবাংলার সংবাদ সম্মেলনকক্ষ কাল তাই টইটম্বুর। বিশ্বকাপ মানে আবেদন-আগ্রহ-কৌতূহলেও আর সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাওয়া। হাথুরুসিংহের চোখ কপালে উঠল যদিও, তবে কারণটাও বোঝার কথা। তিনি নিজেও তো দলের দায়িত্ব নিয়ে পাখির চোখ করেছিলেন এই বিশ্বকাপকেই! নিউ সাউথ ওয়েলস ছেড়ে গত জুনে যখন বাংলাদেশে এলেন, প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দলকে নিয়ে তাঁর ভাবনাজুড়ে ছিল বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের নতুন কোচ বলেছিলেন, ‘উপমহাদেশের দলগুলোর জন্য বিশ্বকাপ হবে চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এবং সুনির্দিষ্ট করে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি নিতে পারি, গ্রুপপর্ব উতরাতে পারি। সেটিই হবে আমার প্রথম লক্ষ্য।’
সেই লক্ষ্যপূরণের মঞ্চ এখন প্রস্তুত। দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। আগামীকাল রাতে দল উড়াল দিচ্ছে বিশ্বকাপের দেশে। গত সাত মাসে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন কোচ। পরিচয় হয়েছে নানা বাস্তবতার সঙ্গে। তবে লক্ষ্যটা দূরে সরে যায়নি। বাংলাদেশ কোচের ভাবনায় এখনো সেই গ্রুপপর্ব উতরানো, ‘আমার তো চাওয়া একেবারে শেষ পর্যন্ত যাওয়া। তবে বাস্তবতাটাও মাথায় রাখতে হবে। আমি একটি একটি করে ম্যাচ নিয়ে ভাবতে চাই। তারপর কোয়ার্টার ফাইনালের ভাবনা। সত্যি যদি কোয়ার্টারে উঠে যাই, তখন তো প্রতিটিই নকআউট ম্যাচ, যেকোনো কিছুই হতে পারে। কোয়ার্টারে উঠতে হলে চারটি ম্যাচ জেতা দরকার। তিনটি জিতলেও সম্ভব, তবে চারটি জিতলে নিশ্চিত। ছেলেরা যদি ফিট থাকতে পারে, আমার ধারণা আমরা স্পেশাল কিছু করতে পারি।’
মাঠের পারফরম্যান্স তাঁর নিজের হাতে নেই। তবে প্রস্তুতি-পরিকল্পনা তো কোচের হাতেই করা এবং গড়া। গত দিন দশেক বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ক্যাম্পে দল অনুশীলন করেছে কোচের আঁকা ছকেই। প্রস্তুতি নিয়ে বাংলাদেশ কোচ তৃপ্ত, ‘আমরা যেভাবে অনুশীলন করেছি, আমি সন্তুষ্ট। ম্যাচের মতো আবহে অনুশীলন করেছি, যেটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। ছেলেরাও খুব ভালো বোধ করছে। গত ছয় মাসে ছেলেদের স্কিলের উন্নতির সঙ্গে মানসিকতাও আরও ভালো হয়েছে, বেড়েছে নিবেদন।’
প্রস্তুতির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবশ্য এখনো বাকি। কন্ডিশনের সঙ্গে যতটা সম্ভব মানিয়ে নিতে নিজেদেরই খরচেই দুই সপ্তাহ আগে অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছে বাংলাদেশ। যেখানকার তখন বাউন্সি উইকেটের পরিচিতি ক্রিকেট দুনিয়াজোড়া, সেই ব্রিসবেনে চলবে প্রস্তুতি। অফিশিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচের বাইরে নিজেদের উদ্যোগে ব্রিসবেনে বাড়তি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। হাথুরুসিংহে তাকিয়ে এখন ব্রিসবেনে, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া এবং সেভাবে পরিকল্পনা করা। ব্রিসবেনে আমরা অনুশীলনের বাইরে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলব। পরে আরও দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে অফিশিয়াল। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হতে হতে আশা করি আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাব।’
পুরোপুরি প্রস্তুত দলের পরীক্ষা তখন পরিপূর্ণ পারফরম্যান্স দেখানোর। কোচের রণপরিকল্পনা, মাঠে ক্রিকেটারদের রণমূর্তি, দুটো একবিন্দুতেই মিললেই পূর্ণ হবে কোচের চাওয়া—‘স্পেশাল কিছু!’
No comments