কেমন হবেন নতুন সৌদি বাদশাহ?
(নতুন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। ছবি: এএফপি) সৌদি
আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর তাঁর সৎভাই সালমান বিন আবদুল আজিজ আল
সৌদ (৭৯) দেশটির নতুন বাদশাহ হয়েছেন। নতুন বাদশাহ কেমন হবেন, তা নিয়ে এর
মধ্যে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। তাঁর ব্যক্তিজীবন, কর্মজীবন ও ভবিষ্যতের
পরিকল্পনা নিয়ে অনেকেরই বেশ কৌতূহল। এএফপির খবরে জানানো হয়, প্রায় ৫০
বছর রিয়াদের গভর্নর ছিলেন সালমান। এই সময়ের মধ্যে রিয়াদে ব্যাপক
সংস্কারসাধনের কৃতিত্ব রয়েছে তাঁর। আবদুল্লাহর মতো সালমানও নম্র স্বভাবের।
কঠোর নিয়ম অনুসরণ, পরিশ্রমী ও নিয়মানুবর্তিতার জন্য তাঁর সুখ্যাতি
রয়েছে। রাজ পরিবারের কয়েক শ যুবরাজের দেখভালে তিনি দক্ষতা দেখিয়েছেন।
পিঠে অস্ত্রোপচারের পর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাঁকে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ
ছিল। আবদুল্লাহর মতো তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু আবদুল্লাহর
শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর কর্মকাণ্ড ততটা প্রচার পায়নি।
১৯৩৫ সালর ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সালমান সৌদি আরবে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ বিন সৌদের ২৫তম সন্তান। তাঁর মা হাসসা বিন আহমেদ আল সৌদারির সাত সন্তানের অন্যতম সালমান। তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের বাদশাহ হওয়ার পর আবদুল আজিজের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে সালমান রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তাঁকে রিয়াদের উন্নয়নের স্থপতি হিসেবে মনে করা হয়। জেদ্দার সঙ্গে ঐতিহাসিক ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে তিনি মরুময় রিয়াদকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করেন। তিনি আল সৌদ পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী। একই সঙ্গে নাগরিক চাহিদার দিকে নজর রাখেন। সততা ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে।
২০১১ সালে ভাই প্রিন্স সুলতানের মৃত্যুর পর সালমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে রাজ প্রাসাদে তাঁর পূর্বের উত্তরসূরি প্রিন্স নাইফের মৃত্যুর পর তাঁকে পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি পাশ্চাত্য ও এশিয়ার অনেক দেশ সফর করেছেন। বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে তিনি ইতিমধ্যে শক্ত বন্ধন গড়ে তুলেছেন। এতে বাদশাহ হওয়ার পর তিনি পাশ্চাত্যের নীতি নির্ধারকদের কাছে প্রিয়ভাজন হতে পারেন।
বাদশাহ সালমান আলোচনার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে তিনি সমস্যা সমাধানে পছন্দ করেন বলে জানান জেদ্দাভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য কৌশলগত অধ্যয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনোয়ার এশকি। তিনি জানান, সালমান সংস্কারের পক্ষপাতী। তিনি অভ্যন্তরীণ আইনের আধুনিকায়ন করতে চান। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি বাদশাহ আবদুল্লাহর পথই অনুসরণ করবেন। রাজপরিবারের অনেক তরুণ প্রিন্সকে সালমান শাস্তি দিয়েছেন, এ কারণে সবাই তাঁকে ‘শ্রদ্ধা ও ভয়’ করেন। ব্যক্তিজীবনে প্রিন্স সালমান তিনটি বিয়ে করেছেন। তাঁর ১০ ছেলের দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া তাঁর এক মেয়ে রয়েছে।
১৯৩৫ সালর ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সালমান সৌদি আরবে রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ বিন সৌদের ২৫তম সন্তান। তাঁর মা হাসসা বিন আহমেদ আল সৌদারির সাত সন্তানের অন্যতম সালমান। তেলসমৃদ্ধ সৌদি আরবের বাদশাহ হওয়ার পর আবদুল আজিজের ষষ্ঠ সন্তান তিনি। মাত্র ২০ বছর বয়সে সালমান রিয়াদ প্রদেশের গভর্নর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তাঁকে রিয়াদের উন্নয়নের স্থপতি হিসেবে মনে করা হয়। জেদ্দার সঙ্গে ঐতিহাসিক ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা করে তিনি মরুময় রিয়াদকে একটি আধুনিক নগরে পরিণত করেন। তিনি আল সৌদ পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোর অন্যতম মধ্যস্থতাকারী। একই সঙ্গে নাগরিক চাহিদার দিকে নজর রাখেন। সততা ও পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির জন্য তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে।
২০১১ সালে ভাই প্রিন্স সুলতানের মৃত্যুর পর সালমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১২ সালে রাজ প্রাসাদে তাঁর পূর্বের উত্তরসূরি প্রিন্স নাইফের মৃত্যুর পর তাঁকে পরবর্তী বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর তিনি পাশ্চাত্য ও এশিয়ার অনেক দেশ সফর করেছেন। বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে তিনি ইতিমধ্যে শক্ত বন্ধন গড়ে তুলেছেন। এতে বাদশাহ হওয়ার পর তিনি পাশ্চাত্যের নীতি নির্ধারকদের কাছে প্রিয়ভাজন হতে পারেন।
বাদশাহ সালমান আলোচনার ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে তিনি সমস্যা সমাধানে পছন্দ করেন বলে জানান জেদ্দাভিত্তিক মধ্যপ্রাচ্য কৌশলগত অধ্যয়ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক আনোয়ার এশকি। তিনি জানান, সালমান সংস্কারের পক্ষপাতী। তিনি অভ্যন্তরীণ আইনের আধুনিকায়ন করতে চান। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তিনি বাদশাহ আবদুল্লাহর পথই অনুসরণ করবেন। রাজপরিবারের অনেক তরুণ প্রিন্সকে সালমান শাস্তি দিয়েছেন, এ কারণে সবাই তাঁকে ‘শ্রদ্ধা ও ভয়’ করেন। ব্যক্তিজীবনে প্রিন্স সালমান তিনটি বিয়ে করেছেন। তাঁর ১০ ছেলের দুজন মারা গেছেন। এ ছাড়া তাঁর এক মেয়ে রয়েছে।
No comments