টানা অবরোধে চট্টগ্রামে পরিবহন খাত- নাশকতা ঠেকাতে ড্রাম, বালুর বস্তা!
(অবরোধে
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাইক্রোবাস ও বাসে এক ড্রাম পানি,
লাঠি ও এক বস্তা বালু দেয় পুলিশ। শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে গতকাল বিকেলে
তোলা ছবি l জুয়েল শীল) পানিভর্তি প্লাস্টিকের ড্রাম, মগ, বালুর বস্তা, লাঠি ও ভেজা চটের মাধ্যমে গণপরিবহনে নাশকতা ঠেকানোর নতুন কৌশল নিয়েছে পুলিশ। টানা অবরোধে সড়ক-মহাসড়কে
চলাচলকারী বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানে এসব উপকরণ রাখারও পরামর্শ দেওয়া
হয়েছে। নাশকতা ঠেকানোর নতুন এই কৌশল নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার
পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পুলিশের কর্মকর্তারা। এই কৌশল
যাতে সবাই কাজে লাগায়, সে জন্য চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকায় পুলিশের
পক্ষ থেকে ড্রাম, মগ, চট ও লাঠি বিতরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহসিন জানান, পরিবহনমালিক-শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ
করতে কয়েকটি বাসে ড্রাম, চট, লাঠিসহ বিভিন্ন উপকরণ শ্রমিকদের হাতে তুলে
দেওয়া হয়েছে। পরিবহনশ্রমিকেরা গাড়িতে এসব উপকরণ রাখলে নাশকতা ঠেকানো সম্ভব
হবে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী, সীতাকুণ্ড ও
সিটি গেট এলাকায় নাশকতার বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার পথেরও
একই অবস্থা। গাড়িতে আগুন দেওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে তা নেভানোর জন্য বালু,
পানি ও ভেজা চট রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া
নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করতে পরিবহনশ্রমিকেরা যাতে গাড়িতে লাঠি রাখেন সে
পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার
বনজ কুমার মজুমদার বলেন, গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা ও ককটেল ছুড়ছে
দুর্বৃত্তরা। আগুনে পুড়ে হতাহতরা সবাই চলন্ত গাড়ির যাত্রী। পরিবহন
শ্রমিকেরা প্রতিরোধে এগিয়ে এলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও সুবিধা হয়। তিনি বলেন,
‘আত্মরক্ষার জন্য প্রতিরোধের অধিকার সবার আছে। প্রতিটি গাড়িতে পানিভর্তি
জারিকেন, মগ, বালুর বস্তা, আগুন নেভানোর জন্য ভেজা চটের বস্তা ও দুই বা
ততোধিক লাঠি রাখার পরামর্শ দিয়েছি। নাশকতাকারীদের ধরিয়ে দিয়ে সরকারের
ঘোষিত এক লাখ টাকা পুরস্কারের বিষয়টিও পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের স্মরণ
করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সংগঠনের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম জানান, হাটহাজারী, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি সড়কে গাড়িতে নাশকতা চালাচ্ছে ৮ থেকে ১০ জন। পুলিশের নতুন এই উদ্যোগ পরিবহন শ্রমিকদের মনোবল চাঙা করবে। চট্টগ্রাম আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, ‘অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর পরিবহন খাতের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে। লাঠি দিয়ে আমরা নাশকতাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করব।’
সিটি বাসের সহকারী আবদুল আজিজ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আতঙ্কে থাকি। এই সময়ে গাড়িতে পেট্রলবোমা বা ককটেল ছুড়ে মারা হচ্ছে। এত দিন প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা আমাদের ছিল না। এখন পুলিশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ দিচ্ছে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে গড়ে প্রতিদিন ২৫ হাজার, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কে ২২ হাজার, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে ১২ হাজার এবং চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে প্রায় আট হাজার গাড়ি চলাচল করে। অবরোধে নাশকতার ঘটনা বাড়তে থাকায় গাড়ি চলাচল অস্বাভাবিক কমে যায়। তবে ধীরে ধীরে এখন রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সংগঠনের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম জানান, হাটহাজারী, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি সড়কে গাড়িতে নাশকতা চালাচ্ছে ৮ থেকে ১০ জন। পুলিশের নতুন এই উদ্যোগ পরিবহন শ্রমিকদের মনোবল চাঙা করবে। চট্টগ্রাম আন্তজেলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, ‘অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর পরিবহন খাতের ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে। লাঠি দিয়ে আমরা নাশকতাকারীদের ঠেকানোর চেষ্টা করব।’
সিটি বাসের সহকারী আবদুল আজিজ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর আতঙ্কে থাকি। এই সময়ে গাড়িতে পেট্রলবোমা বা ককটেল ছুড়ে মারা হচ্ছে। এত দিন প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা আমাদের ছিল না। এখন পুলিশ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে উৎসাহ দিচ্ছে।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে গড়ে প্রতিদিন ২৫ হাজার, চট্টগ্রাম-হাটহাজারী মহাসড়কে ২২ হাজার, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে ১২ হাজার এবং চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে প্রায় আট হাজার গাড়ি চলাচল করে। অবরোধে নাশকতার ঘটনা বাড়তে থাকায় গাড়ি চলাচল অস্বাভাবিক কমে যায়। তবে ধীরে ধীরে এখন রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে।
No comments