সব অভিযোগ থেকে মুক্ত ফনসেকা
শ্রীলংকার সাবেক সেনাপ্রধান শরৎ ফনসেকাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দ রাজাপাকসে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনেন। বৃহস্পতিবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ফনসেকাকে যাবতীয় অভিযোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি দেয়া হয়েছে। রাজাপাকসে সরকার ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অন্যান্য অভিযোগ এনে তাকে কারাদণ্ড দেয়। অথচ এই ফনসেকা দেশটির তামিল বিদ্রোহীদের দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শুধু কারাদণ্ড নয়, ভোটাধিকারসহ তার যাবতীয় নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়। এরপর ২০১২ সালে ২ বছরের বেশি কারাভোগ করে বের হন তিনি। কিন্তু তারপরও তার নাগরিক অধিকার ফেরত দেয়া হয়নি। ফনসেকার সমর্থকদের অভিযোগ, ২০১০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই ছিল তার অপরাধ।ফনসেকার সেনা জেনারেলের পদমর্যাদা ফিরিয়ে দিয়ে তার ভোট দেয়ার অধিকার ও নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার নাগরিক অধিকারও পুনর্বহাল করা হয়েছে।
তামিল বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের তত্ত্বাবধান করেছিলেন ফনসেকা ও রাজাপাকসে। বিদ্রোহ দমন করা ওই অভিযানে হাজার হাজার বেসামরিক তামিলকে হত্যা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ আছে। বিদ্রোহ দমনের পর প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সঙ্গে ফনসেকার বিরোধ তৈরি হয় এবং ২০১০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাজাপাকসের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন ফনসেকা। এর কিছুদিনের মধ্যেই ফনসেকার কারাবাসের শাস্তি হলে তার রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেয়া হয়। প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় রাজাপাকসে সাবেক এই সেনাপ্রধানকে ক্ষমা করে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা ফনসেকার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোও বাতিল করে দিয়েছেন। ফনসেকার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাটিও তুলে নেয়া হয়েছে। ফলে মামলাটি নিয়ে আপিল করার সিদ্ধান্ত বাদ দিয়েছেন তিনি। শীলংকার রাজনীতির প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে ফনসেকা অন্যতম। সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি সিরিসেনার পক্ষে জোরালো ভূমিকা রাখেন। নির্বাচিত হওয়ার পরই ফনসেকাকে পুনর্বাসিত করার প্রতিশ্র“তি দিয়েছিলেন সিরিসেনা। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর অভিযোগ, ফনসেকা ও রাজাপাকসে উভয়েই তামিল যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করতে চাইলেও তাদের গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু উভয়েই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০০৬ সালে তামিল টাইগারদের এক আÍঘাতী বোমা হামলা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন ফনসেকা। বিবিসি।
No comments