পুরো ঘটনার রহস্য উন্মোচন করুন- অপহরণ ও প্রত্যাবর্তন
চট্টগ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরী অপহূত হওয়ার ছয় দিন পর অবশেষে ফিরে এসেছেন—এটা স্বস্তির খবর। কিন্তু তাঁকে ঘিরে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সবার জন্য ভীষণভাবে উদ্বেগজনক।
প্রথমত বলা দরকার, মৃদুল চৌধুরী প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছেন—এতে আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের কোনো কৃতিত্ব নেই। সকাল ১০টায় দোকানে যাওয়ার পথে প্রকাশ্য দিনের আলোয় তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় কিছু লোক, তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে। তারপর ছয় দিন ধরে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে গেছে, অত্যাচার করেছে। তাঁর অপহরণের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর কোনো হদিস বের করতে পারেনি। মৃদুল চৌধুরীর অপহরণের পর তাঁর ভাই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন; অপহরণের সঙ্গে র্যাব-পুলিশ জড়িত বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। কিন্তু র্যাব ও পুলিশ কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেই দায় সারতে চেয়েছে। কারা তাঁকে অপহরণ করে কোথায় নিয়ে গিয়ে কী করল, সে বিষয়ে তদন্ত-অনুসন্ধান চালানো, তাঁকে উদ্ধার করা ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালানো যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোরই দায়িত্ব—এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে?
স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরী গত বছরের অক্টোবর মাসে ৮০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে র্যাবের একজন মেজরসহ তিন ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাঁর অপহরণের সঙ্গে সেই মামলার সম্পর্ক রয়েছে কি না, তার উত্তর পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রকাশ্য দিবালোকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে যারা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, এ দেশের আইন প্রয়োগ ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা তাঁকে জিপে করে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে আনা-নেওয়া করেছে, তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে—তারা কারা? কী উদ্দেশ্যে তারা এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল আর কেনই বা অবশেষে তাঁকে ছেড়ে দিল? তারা যে র্যাব কিংবা পুলিশের কেউ নয়—এটুকু বলে দিলেই কি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারীদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?
পুরো ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। সেই তাগিদ অনুভব করা উচিত সবার আগে র্যাব-পুলিশের, কেননা সন্দেহের তির তাদের দিকেই। এই সন্দেহ নিরসন করতে হবে আইন প্রয়োগ ব্যবস্থার ওপর জনসাধারণের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে। ঘটনার সুষ্ঠু ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে অপহরণকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করার সামর্থ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেই সামর্থ্যের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তৎপরতা প্রয়োজন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য বিচ্ছিন্নভাবে এর সঙ্গে জড়িত হয়ে থাকলে তার দায় পুরো সংস্থার ঘাড়ে যাতে না বর্তায়, সেটা নিশ্চিত করতে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এটা করা দরকার।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরী গত বছরের অক্টোবর মাসে ৮০ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে র্যাবের একজন মেজরসহ তিন ব্যক্তিকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তাঁর অপহরণের সঙ্গে সেই মামলার সম্পর্ক রয়েছে কি না, তার উত্তর পাওয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রকাশ্য দিবালোকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে যারা তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল, এ দেশের আইন প্রয়োগ ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যারা তাঁকে জিপে করে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে আনা-নেওয়া করেছে, তাঁর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে—তারা কারা? কী উদ্দেশ্যে তারা এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছিল আর কেনই বা অবশেষে তাঁকে ছেড়ে দিল? তারা যে র্যাব কিংবা পুলিশের কেউ নয়—এটুকু বলে দিলেই কি রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারীদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়?
পুরো ঘটনাটির রহস্য উদ্ঘাটন করতে হবে। সেই তাগিদ অনুভব করা উচিত সবার আগে র্যাব-পুলিশের, কেননা সন্দেহের তির তাদের দিকেই। এই সন্দেহ নিরসন করতে হবে আইন প্রয়োগ ব্যবস্থার ওপর জনসাধারণের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে। ঘটনার সুষ্ঠু ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে অপহরণকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করার সামর্থ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর রয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং সেই সামর্থ্যের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তৎপরতা প্রয়োজন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কিছু সদস্য বিচ্ছিন্নভাবে এর সঙ্গে জড়িত হয়ে থাকলে তার দায় পুরো সংস্থার ঘাড়ে যাতে না বর্তায়, সেটা নিশ্চিত করতে তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এটা করা দরকার।
No comments