নিহত ব্যক্তি আসলেই কি ওসামা ছিলেন?
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন কমান্ডো অভিযানে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার সত্যতা নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বিতর্ক উসকে দিয়েছে মার্কিন বিশেষ বাহিনীর তৎকালীন প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল উইলিয়াম ম্যাকরাভেনের একটি ই-মেইল বার্তা। চলতি সপ্তাহে ওই ই-মেইল বার্তা প্রকাশ পেয়েছে। জুডিশিয়াল ওয়াচ নামের একটি রক্ষণশীল রাজনৈতিক গ্রুপ বার্তাটি প্রকাশ করেছে। তারা ওই অভিযানের ছবি প্রকাশে ওবামা প্রশাসনকে চাপ দিতে জোরেশোরে প্রচারণা শুরু করেছে। ২০১১ সালের ১৩ মের ওই ই-মেইল বার্তায় ম্যাকরাভেন বিশেষ ওই অভিযানে অংশ নেওয়া সব কমান্ডোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা যেন অভিযানের সময় তোলা সব ছবি ধ্বংস করে ফেলেন। ম্যাকরাভেন লিখেছেন, ‘বিশেষ একটি বিষয়ের ওপর আমি জোর দিচ্ছি, তা হচ্ছে ছবিগুলো—বিশেষ করে ওসামার দেহাবশেষের সব ছবি সিআইএর কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এর পরও আপনাদের কাছে কিছু থাকলে, সেগুলো অবিলম্বে ধ্বংস করে ফেলুন অথবা সম্পাদনা করুন।’ জুডিশিয়াল ওয়াচ তথ্য অধিকার আইনের আওতায় মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাছে ২০১১ সালের ২ মে অ্যাবোটাবাদে মার্কিন অভিযানের সময় ধারণ করা ছবি এবং ভিডিওচিত্র চেয়ে একটি আবেদন করে।
এর ১১ দিনের মাথায় ওই ই-মেইল বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল। ওই অভিযানে নিহত ব্যক্তি সত্যিই ওসামা ছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে তারা। ওই অভিযানের পর মার্কিন প্রশাসন বলেছিল, তারা দুটি কারণে ওসামার মরদেহ সাগরে দাফন করেছে। প্রথমত, মুসলিম প্রথা অনুসারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মরদেহ দাফন করতে তারা কোনো দেশ পায়নি। দ্বিতীয়ত, ভূখণ্ডে দাফন করা হলে, সেই কবর তাঁর অনুসারীদের কাছে একটা তীর্থস্থানে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। পরে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘোষণা দিয়েছিলেন, একই কারণে তিনি অভিযানের ছবি প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এসব ঘোষণার পর গুজব রটে, অভিযানে নিহত ব্যক্তি আসলে ওসামা নন। কিডনি জটিলতায় ওসামার আগেই মৃত্যু হয়েছিল। আর চলতি সপ্তাহে অ্যাডমিরাল ম্যাকরাভেনের ই-মেইল বার্তা প্রকাশের পর ওই গুজব আরও জোরালো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন কর্মকর্তারা এক বিবৃতিতে বলেন, ওসামার নিহত হওয়ার ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের পাশাপাশি একজন নারী তাঁকে শনাক্ত করেন। ওই নারী ওসামার স্ত্রী বলে ধারণা করা হয়। ডন।
No comments