দেশে ২০১৩ সালে চার হাজার ৭৭৭ নারী নির্যাতনের শিকার by মান্না আতোয়ার
দেশে
নারী নির্যাতনের অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে বেশির ভাগ নারীরা
পারিবারিক ও যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সারাদেশে ২০১৩ সালে ৪
হাজার ৭৭৭ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৮৭ জন
হত্যা(আত্মহত্যা, রহস্যজনক মৃত্যু) ৮১২ জন ধর্ষণ, ৭০৩ জন যৌতুক ও পারিবারিক
সহিংসতার শিকার হয়েছেন। পাশাপাশি ৪৪ জন এসিডদগ্ধ এবং ৭৮ জন গৃহকর্মী
নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘নারীর মানবাধিকার-২০১৩’ এর উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারীরা ঘরেই বেশি নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। এদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত এবং এক-তৃতীয়াংশ ধর্ষণের শিকার হন।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ হ্রাসের আশঙ্কা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দশকে রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর যে পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে তা হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘর্ষ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, ইত্যাদি রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দায়ী করা হয়। এসব সহিংসতা নারীর অংশগ্রহণের পথকে যথেষ্ট সংকুচিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, যেখানে নবম জাতীয় সংসদে নারীদের অংশগ্রহণের হার ছিল ১৯ শতাংশ সেখানে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ৯ শতাংশ।
ঢাকায় হেফাজত ইসলামের সহিংসতা ও তাদের ১৩ দফা দাবির কারণে নারীর পদচারণা, ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষা, নারী বান্ধব শিক্ষানীতি ও নারী নীতি হুমকির মুখে পড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তবে প্রতিবেদনে নারীদের কিছু অর্জনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ৩শ টাকায় ধার্য করা, হিজড়া জনগোষ্ঠী মানুষদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, দারিদ্র্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার উন্নয়নে আইন প্রণীত হওয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষায় ছেলে-মেয়েদের জেন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি সহিংসতায় নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক গার্মেন্ট কর্মী মারা গেছেন। এদের অধিকাংশই নারী। আর এই সহিংসতার পেছনে দায়ী কোন ব্যক্তির সাজা না দেওয়ায় নারীকে অবমাননা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মাহফুজা খানম, সাবেক সিডিও কমিটির সভানেত্রী সালমা খান, ব্র্যাকের পরিচালক শিপ্রা হাফিজা, গণস্বাক্ষর অভিযানের পরিচালক তাসনিম আতহার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে সব ধরনের বৈষম্য, নির্যাতন, মানবাধিকার লক্সঘন এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘নারীর মানবাধিকার-২০১৩’ এর উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নারীরা ঘরেই বেশি নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। এদের মধ্যে ৮৭ শতাংশ বিবাহিত নারী স্বামী কর্তৃক নির্যাতিত এবং এক-তৃতীয়াংশ ধর্ষণের শিকার হন।
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ হ্রাসের আশঙ্কা করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত কয়েক দশকে রাজনৈতিক অঙ্গনে নারীর যে পথচলা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালে তা হুমকির মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে ব্যাপক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, সংঘর্ষ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, ইত্যাদি রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দায়ী করা হয়। এসব সহিংসতা নারীর অংশগ্রহণের পথকে যথেষ্ট সংকুচিত করেছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
এতে বলা হয়, যেখানে নবম জাতীয় সংসদে নারীদের অংশগ্রহণের হার ছিল ১৯ শতাংশ সেখানে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ৯ শতাংশ।
ঢাকায় হেফাজত ইসলামের সহিংসতা ও তাদের ১৩ দফা দাবির কারণে নারীর পদচারণা, ছেলে-মেয়েদের সহশিক্ষা, নারী বান্ধব শিক্ষানীতি ও নারী নীতি হুমকির মুখে পড়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তবে প্রতিবেদনে নারীদের কিছু অর্জনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। এর মধ্যে গার্মেন্টস কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ৩শ টাকায় ধার্য করা, হিজড়া জনগোষ্ঠী মানুষদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া, দারিদ্র্য, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস, প্রতিবন্ধী নারী ও শিশুসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার উন্নয়নে আইন প্রণীত হওয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষায় ছেলে-মেয়েদের জেন্ডার সমতা অর্জিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
পাশাপাশি সহিংসতায় নারীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উল্লেখ করে বলা হয়, রানা প্লাজা ধসে সহস্রাধিক গার্মেন্ট কর্মী মারা গেছেন। এদের অধিকাংশই নারী। আর এই সহিংসতার পেছনে দায়ী কোন ব্যক্তির সাজা না দেওয়ায় নারীকে অবমাননা করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মাহফুজা খানম, সাবেক সিডিও কমিটির সভানেত্রী সালমা খান, ব্র্যাকের পরিচালক শিপ্রা হাফিজা, গণস্বাক্ষর অভিযানের পরিচালক তাসনিম আতহার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বক্তারা নারী-পুরুষের সমান অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে সব ধরনের বৈষম্য, নির্যাতন, মানবাধিকার লক্সঘন এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সব প্রগতিশীল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
No comments