রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে এবার ওষুধ শিল্প by মফিজুল সাদিক
দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতালে
গাড়ি ভাংচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় এবার ধ্বংসের মুখে পড়েছে বাংলাদেশের ওষুধ
শিল্প। দিন দিন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো।
ওষুধ শিল্প মালিকেরা কমিয়ে দিয়েছেন উৎপাদন।
এতে ক্রেতাকে
যেমন বাড়তি দামে ওষুধ কিনতে হচ্ছে, তেমনি বিক্রেতাকেও গুণতে হচ্ছে ক্ষতির
বোঝা। এছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বেচাকেনাও কমে গেছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডির কলাবাগানের ‘লাজ ফার্মা’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা যেখানে চার লাখ টাকার ওষুধ বিক্রি করেন, সেখানে হরতালে তাদের বিক্রি নেমে আসে এর অর্ধেকে।
এ সম্পর্কে লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপক আনোয়ার হুসাইন বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা অন্যান্য দিন গড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার বেচাকেনা করি। কিন্তু হরতালে বেচাকেনা হয় এর অর্ধেক মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ টাকার।”
বেচাকেনা কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হরতালে ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ থাকে। ফলে আমরা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনও পাই না। ওষুধও বিক্রি করতে পারি না। শুধু জরুরি ওষুধগুলো বিক্রি হয় যেগুলো না হলেই না। এছাড়া আমরা দূরের কোনো ক্রেতাকেও পাই না পরিবহনের অভাবে।”
হরতাল সহিংসতায় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা নেমে গেছে অর্ধেকে। আবার ওষুধ আমদানি-রফতানিও করতে পারছে না। ফলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন দিতে পারছে না। এর ওপরে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যদিকে ওষুধবাহী কাভার্ড ভ্যানে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যেমন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাড়া ছিল ১৫ হাজার টাকা। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা।
দেশের অন্যতম ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সলিমুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, “দেশের এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা চলতে পারবো না। এর একটা সমাধান দরকার। আমরা ব্যবসায়ীরা রাজনীতি বুঝি না, বুঝি ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যান্য মাসের তুলনায় গতমাসে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫৫ শতাংশ ওষুধ উৎপাদন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে আমরা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছি না। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারছি না। পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে লাখ লাখ টাকার ওষুধ গুদামজাত হয়ে পড়ে আছে।”
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বাংলানিউজকে বলেন, “দেশে চলমান পরিস্থিতিতে আমরা সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বেচাকেনা কমে গেছে, আমরা সবাই ঘরে বসে আছি। আমরা চাই, একটা ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশ। আমরা নিয়মিতভাবে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছি না। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে হিমিশিম খাচ্ছি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে একটা সমঝোতা চাই।”
রাজধানীর ধানমণ্ডির কলাবাগানের ‘লাজ ফার্মা’র সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন তারা যেখানে চার লাখ টাকার ওষুধ বিক্রি করেন, সেখানে হরতালে তাদের বিক্রি নেমে আসে এর অর্ধেকে।
এ সম্পর্কে লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপক আনোয়ার হুসাইন বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা অন্যান্য দিন গড়ে তিন থেকে চার লাখ টাকার বেচাকেনা করি। কিন্তু হরতালে বেচাকেনা হয় এর অর্ধেক মাত্র দেড় থেকে দুই লাখ টাকার।”
বেচাকেনা কম হওয়ার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “হরতালে ডাক্তারের চেম্বার বন্ধ থাকে। ফলে আমরা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনও পাই না। ওষুধও বিক্রি করতে পারি না। শুধু জরুরি ওষুধগুলো বিক্রি হয় যেগুলো না হলেই না। এছাড়া আমরা দূরের কোনো ক্রেতাকেও পাই না পরিবহনের অভাবে।”
হরতাল সহিংসতায় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা নেমে গেছে অর্ধেকে। আবার ওষুধ আমদানি-রফতানিও করতে পারছে না। ফলে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন দিতে পারছে না। এর ওপরে ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
অন্যদিকে ওষুধবাহী কাভার্ড ভ্যানে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। যেমন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের ভাড়া ছিল ১৫ হাজার টাকা। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ থেকে ২১ হাজার টাকা।
দেশের অন্যতম ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সলিমুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, “দেশের এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরা চলতে পারবো না। এর একটা সমাধান দরকার। আমরা ব্যবসায়ীরা রাজনীতি বুঝি না, বুঝি ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমার প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। অন্যান্য মাসের তুলনায় গতমাসে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৫৫ শতাংশ ওষুধ উৎপাদন করেছি।”
তিনি আরও বলেন, “এমন পরিস্থিতিতে আমরা কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছি না। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে পারছি না। পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে। ফলে লাখ লাখ টাকার ওষুধ গুদামজাত হয়ে পড়ে আছে।”
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইনসেপটা ভ্যাকসিন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বাংলানিউজকে বলেন, “দেশে চলমান পরিস্থিতিতে আমরা সার্বিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বেচাকেনা কমে গেছে, আমরা সবাই ঘরে বসে আছি। আমরা চাই, একটা ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশ। আমরা নিয়মিতভাবে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছি না। ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে হিমিশিম খাচ্ছি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্রেতা ও বিক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন। আমরা বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারি ও বিরোধী দলের মধ্যে একটা সমঝোতা চাই।”
No comments