নারায়ণগঞ্জ সয়লাব ভারতীয় লবণে by তানভীর হোসেন
দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি লবণের মোকাম
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ সয়লাব হয়ে গেছে ভারতীয় লবণে। ভারত থেকে লবণ আমদানির
সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকরা এ অপকর্মে মেতে উঠেছেন।
দেশে
উৎপাদিত ক্রুড (অপরিশোধিত) লবণের তুলনায় ভারতীয় ক্রুড লবণের মূল্য কম
হওয়ায় মিল মালিকরা ঝুঁকছেন ভারতীয় লবণের দিকে। এতে করে চরম ক্ষতির সম্মুখীন
হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে প্রান্তিক চাষীদের মধ্যে।
অপরদিকে ভারতীয় লবণে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি মোকাম সয়লাব হয়ে পড়ায় প্রান্তিক চাষীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। অসাধু ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের কারসাজিতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
নারায়ণগঞ্জের মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সারাদেশে লবণের যে কয়েকটি বৃহৎ পাইকারি মোকাম রয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ অন্যতম। এ মোকাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। একসময় নারায়ণগঞ্জে ৪০টি লবণ মিল ছিলো। বর্তমানে তার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া লবণ ব্যবসায়ী রয়েছেন ৩০ জনের মতো। অন্যান্য মোকামের মতো নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জেও ক্রুড লবণের সরবরাহ আসে কক্সবাজার জেলা থেকে।
জানা গেছে, গত বছর সারাদেশে লবণের চাহিদা ছিলো ১৬ লাখ মেট্রিক টন। আর দেশে উৎপাদিত হয়েছিলো ১২ লাখ মেট্রিক টন লবণ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় সরকার ভারত থেকে লবণ আমদানির সুযোগ দেয় মিল মালিকদের। শর্ত ছিলো, কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেদের নামে যে পরিমাণ লবণ আমদানি করবে, এর বাইরে বিক্রি করতে পারবে না। নিজ প্রতিষ্ঠান থেকেই তা পরিশোধনের পরে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু ভারত থেকে লবণ আমদানির সুযোগ পেয়ে অনেক লবণ কারখানার মালিকরা সেই সুযোগে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে বেশি পরিমাণে ভারতীয় ক্রুড লবণ আমদানি করে তা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন। এদিকে চলতি বছরে লবণ উৎপাদন বেশি হওয়ায় সরকার ভারতীয় লবণ আমদানি নিষিদ্ধ করলেও একটি চক্র ভারতীয় ক্রুড লবণে বাজার সয়লাব করে ফেলছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিতাইগঞ্জের পাইকারি মোকামে বর্তমানে বিপুল পরিমাণে ভারতীয় ক্রুড লবণ আসছে। সড়কপথে ট্রাকে ও নদীপথে বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব অনুমোদনহীন ভারতীয় ক্রুড লবণ আসছে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আড়ৎদাররা মিল মালিকদের কাছে যে মূল্যে দেশীয় লবণ বিক্রি করেন মেঘনা গ্রুপের ভারতীয় লবণ তার থেকে কম মূল্যে বিক্রি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ভারতীয় লবণে নারায়ণগঞ্জের বাজার সয়লাব হয়ে পড়ায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কক্সবাজারের প্রান্তিক চাষীরা।
কক্সবাজারের লবণ চাষী সমিতির সহ সভাপতি মোঃ আজম বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় লবণে বাজার সয়লাব হয়ে পড়ায় তারা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন। উৎপাদিত লবণ মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করতে না পারলে তারা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা লবণ আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় লবণের কারণে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি প্রান্তিক চাষীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে।
নারায়ণগঞ্জ লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল বাংলানিউজকে জানান, মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে ফাঁক-ফোকর দিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করছে। ভারতীয় লবণ বৈধ না অবৈধ তা মিল মালিকরা জানছেন না। তারা কম দামে যা পাচ্ছেন, তাই কিনে নিচ্ছেন।
অপরদিকে ভারতীয় লবণে নারায়ণগঞ্জের পাইকারি মোকাম সয়লাব হয়ে পড়ায় প্রান্তিক চাষীরা যেমন ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। অসাধু ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের কারসাজিতে সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব।
নারায়ণগঞ্জের মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সারাদেশে লবণের যে কয়েকটি বৃহৎ পাইকারি মোকাম রয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ অন্যতম। এ মোকাম থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লবণ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। একসময় নারায়ণগঞ্জে ৪০টি লবণ মিল ছিলো। বর্তমানে তার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এছাড়া লবণ ব্যবসায়ী রয়েছেন ৩০ জনের মতো। অন্যান্য মোকামের মতো নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জেও ক্রুড লবণের সরবরাহ আসে কক্সবাজার জেলা থেকে।
জানা গেছে, গত বছর সারাদেশে লবণের চাহিদা ছিলো ১৬ লাখ মেট্রিক টন। আর দেশে উৎপাদিত হয়েছিলো ১২ লাখ মেট্রিক টন লবণ। চাহিদার তুলনায় উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় সরকার ভারত থেকে লবণ আমদানির সুযোগ দেয় মিল মালিকদের। শর্ত ছিলো, কোনো প্রতিষ্ঠান নিজেদের নামে যে পরিমাণ লবণ আমদানি করবে, এর বাইরে বিক্রি করতে পারবে না। নিজ প্রতিষ্ঠান থেকেই তা পরিশোধনের পরে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু ভারত থেকে লবণ আমদানির সুযোগ পেয়ে অনেক লবণ কারখানার মালিকরা সেই সুযোগে নিজ প্রতিষ্ঠানের নামে বেশি পরিমাণে ভারতীয় ক্রুড লবণ আমদানি করে তা অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে দেন। এদিকে চলতি বছরে লবণ উৎপাদন বেশি হওয়ায় সরকার ভারতীয় লবণ আমদানি নিষিদ্ধ করলেও একটি চক্র ভারতীয় ক্রুড লবণে বাজার সয়লাব করে ফেলছে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিতাইগঞ্জের পাইকারি মোকামে বর্তমানে বিপুল পরিমাণে ভারতীয় ক্রুড লবণ আসছে। সড়কপথে ট্রাকে ও নদীপথে বাল্কহেডের মাধ্যমে এসব অনুমোদনহীন ভারতীয় ক্রুড লবণ আসছে।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আড়ৎদাররা মিল মালিকদের কাছে যে মূল্যে দেশীয় লবণ বিক্রি করেন মেঘনা গ্রুপের ভারতীয় লবণ তার থেকে কম মূল্যে বিক্রি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন প্রান্তিক চাষী ও ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ভারতীয় লবণে নারায়ণগঞ্জের বাজার সয়লাব হয়ে পড়ায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কক্সবাজারের প্রান্তিক চাষীরা।
কক্সবাজারের লবণ চাষী সমিতির সহ সভাপতি মোঃ আজম বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় লবণে বাজার সয়লাব হয়ে পড়ায় তারা চরম ক্ষতির সম্মুখিন হওয়ার আশঙ্কা করছেন। উৎপাদিত লবণ মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করতে না পারলে তারা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা লবণ আড়ৎদার মালিক সমিতির সভাপতি মামুনুর রশিদ বাংলানিউজকে জানান, ভারতীয় লবণের কারণে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনি প্রান্তিক চাষীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এর প্রভাব পড়তে পারে দেশের অর্থনীতিতে।
নারায়ণগঞ্জ লবণ মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বাবুল বাংলানিউজকে জানান, মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে ফাঁক-ফোকর দিয়ে অনেকেই অনেক কিছু করছে। ভারতীয় লবণ বৈধ না অবৈধ তা মিল মালিকরা জানছেন না। তারা কম দামে যা পাচ্ছেন, তাই কিনে নিচ্ছেন।
No comments