কি ঘটেছিল সে দিন ভূজপুরে? যে কারণে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ by আজগর সালেহী
ভয়ানক এক গ্রাম ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর।
চারিদিকে ভয় আর আতংক। এই বুঝি র্যাব আসছে, আসছে পুলিশ। ছোট বড় সবার
মাঝে র্যাব আতংক বিরাজ করছে। কোথাও কোন শব্দ হওয়া মাত্র ভূঁ দৌড় মারছে
গহিন অরণ্যের দিকে।
খেয়ে না খেয়ে নিঝুম পাহাড়ে দিনাপিত
করছে হাজার হাজার গ্রামবাসী। মহিলারা উদ্দেগ আর উৎকণ্ঠায় রাত কাটাচ্ছে
ঘরে। কাজ কাম সব বন্ধ। কাজিরহাট বাজার সহ পার্শ্ববর্তী বাজার সমূহের দোকান
পাট সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ রয়েছে।
ভূজপুরব্যাপী চলছে প্রসাশনের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ লোকালয় গুলো এখন নিরব নিস্তব্ধ। কোথাও কোন সাড়া শব্দ নেই। চারিদিকে ভয় আর আতংক। সব মিলিয়ে ভয়ানক এলাকার রূপ ধারণ করেছে গোটা ভূজপুর।
বৃহস্পতিবারের অনাকাংখিত ও আলোচিত এই ঘটনা এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি পরিণত হয়েছে। ত্রিমূখী এই সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ৩জন কর্মী মৃত্যু বরণ করেছে। শুক্রবার আছরের নামাজের পর ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাদের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রী এবং সরকার দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীরা ছুটে আসছে ভূজপুরে।
দফায় দফায় পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের যৌথ চিরুনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভূজপুর থানার উপপরিদর্শক (এ.এস.আই) নুরুন্নবী বাদী হয়ে নির্দিষ্ট ১০০ এবং ৭০০০ হাজার অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানাযায়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব টহল দিচ্ছে। উক্ত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এপর্যন্ত প্রায় শতাধিক লোককে আটক করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রমতে, গত বৃহস্পতিবার (১১ই এপ্রিল) জামায়াত শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তিদাবীতে হরতাল চলছিল। ওই দিন সকাল ৮/৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত মুহাম্মদ তকিরহাট থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কর্মী বাহিনীর সমন্বয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও গতবারের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও ফটিকছড়ির ত্রাসক্ষেত শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু তৈয়বের নেতৃত্বে জামায়াত শিবিরের হরতাল বিরোধী একটি মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। মিছিলটি ফটিকছড়ির দক্ষিনাঞ্চল ঘুরে উপজেলা সদরের বিবিরহাট হয়ে ১নং বাগান বাজার ইউনিয়নের দিকে যাওয়ার পক্ষালে ভূজপুর থানার কাজিরহাট বাজার অতিক্রম করছিলো। তখন সময় দেড়টা। স্থানীয় সব মসজিদে জোহরের নামাজ চলছিল। মিছিলটি কাজিরহাট বাজার অতিক্রম করার একেবারে শেষ পর্যায়ে মিছিলের শেষাংশ যখন বাজারের মধ্যবত্তি স্থানে আসে, তখন মিছিলকারীদের বহনকৃত মিনি ট্রাকে অবস্থানকারী ছাত্রলীগের কর্মীরা স্থানীয় এক দোকানীকে লক্ষ করে জামায়াতের দালাল, তুই রাজাকার ইত্যাদী আক্রমানত্বক অতি উৎসাহী কথা বলে।
তখন উপস্থিত জনতা তাদের ধর ধর বলে চিৎকার দিলে বাজারে অবস্থানরত মানুষ একত্রিত হয়ে নারায়ে তকবিরের শ্লোগান দেয়। এসময়, ট্রাক থেকে ছাত্রলীগেরকর্মীরা নেমে উপস্থিত জনতাকে ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং গ্রামবাসী শ্লোগানসহ চারিদিকে ফোন করে দেয়।
এদিকে পিছনে গন্ডগোল হচ্ছে খবর শুনে সামনের গাড়ী বহর পূনরায় ফটিকছড়ির দিকে রওয়ানা হলে সমগ্র বাজারে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীদের ছুড়া ইটের আঘাতে সংলগ্ন কাজিরহাট বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের আয়না ভেঙ্গে যায়। মসজিদে ইটের আঘাতের শব্দ শুনে নামাজরত মুসল্লিদের কেউ ছাত্রলীগের কর্মীরা মসজিদে হামলা হচ্ছে মর্মে প্রচার করলে উত্তেজনা আর তীব্র আকার ধারণ করে। বাজারের মসজিদ থেকে হামলার প্রচারণা শুনে পার্শ্ববর্তী মসজিদ সমূহতেও একই প্রচার করলে গ্রামবাসী মসজিদে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে ছুটে আসে।
পুলিশ এবং ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে পুলিশ গ্রামবাসীর উপর গুলি ছোটে। গুলির শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আকার ধারণ করে। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের মিছিল বহর বাজারের দক্ষিনে কালাইয়ার টেক থেকে শুরু করে পূর্বভূজপুর বণিক পাড়া পর্যন্ত আসলে সামনের দিক থেকে ফকিরহাট মিরেরখীলবাসী এবং বৈদ্দপাড়ার লোকেরা তাদের ব্যারিকেড দেয়। উপায়ান্তর না দেখে পুলিশ মিছিলকারীদের ঘেরাও করে রক্ষা করার চেষ্টা চালায়। ততক্ষনে চারিদিক থেকে হাজার হাজার গ্রামবাসী এসে পুলিশ এবং মিছিলকারীদের ঘেরাও করে ফেলে। এসয় উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ করে পুলিশ পূনরায় গুলি ছুটলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় হাজার হাজার গ্রামবাসী আক্রমন থেকে বাচানোর জন্য ছাত্রলীগের কর্মীরা দি¹িদিগ পালানোর চেষ্টা করলে তারা জনরোষে পড়ে এবং হামলার শিকার হন।
মিছিলকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে পুলিশ এলোপাতাড়ি করলে বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী এসময় গুলিবিদ্ধ হয়। তখন গ্রামবাসী আরো বেপরোয়া হয়ে পুলিশের ঝড়ের মত গুলি উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের গাড়ীতে আগুন দেয়া শুরু করে। একপর্যায়ে কাজিরহাট এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল, চেয়ারম্যান শফিউল আলম নূরী এবং সংবাদকর্মী আজগর সালেহী ভ্যানগাড়ীতে মাইক নিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান করলে গ্রামবাসীর রোষানলে পড়ে ব্যর্থ হয়ে প্রাণের ভয়ে ফিরে আসে।
সাড়ে চার ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে দেড় শতাধিক গাড়ী এসময় উত্তেজিত গ্রামবাসী জ্বালিয়ে দেয়। নিহত হয় ছাত্রলীগের তিনকর্মী, ২৫/৩০জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধসহ প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ আহত হন। বর্তমানে ভূজপুরের মানুষের মাঝে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ আতংক ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ী ঘর ছেড়ে হাজার হাজার গ্রামবাসী এখন পাহাড়ে পর্বতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছে বলে জানাযায়।
এদিকে, ছাত্রলীগ, জামায়াত এবং গ্রামবাসীর ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পরদিন (শুক্রবার) বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপজেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা সলীমুদ্দীন দৌলতপুরী এবং কাজিরহাট এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, ছাত্রলীগ, জামায়াত এবং গ্রামবাসীর ত্রিমূখী আলোচিত এই সংঘর্ষের সাথে হেফাজতে ইসলাম এবং মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের কোন রকম সম্পৃক্ততা ছিলনা।
ভূজপুরব্যাপী চলছে প্রসাশনের পক্ষ থেকে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজারসহ লোকালয় গুলো এখন নিরব নিস্তব্ধ। কোথাও কোন সাড়া শব্দ নেই। চারিদিকে ভয় আর আতংক। সব মিলিয়ে ভয়ানক এলাকার রূপ ধারণ করেছে গোটা ভূজপুর।
বৃহস্পতিবারের অনাকাংখিত ও আলোচিত এই ঘটনা এখন টক অব দ্যা কান্ট্রি পরিণত হয়েছে। ত্রিমূখী এই সংঘর্ষে ছাত্রলীগের ৩জন কর্মী মৃত্যু বরণ করেছে। শুক্রবার আছরের নামাজের পর ফটিকছড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাদের জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে এমপি-মন্ত্রী এবং সরকার দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীরা ছুটে আসছে ভূজপুরে।
দফায় দফায় পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের যৌথ চিরুনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভূজপুর থানার উপপরিদর্শক (এ.এস.আই) নুরুন্নবী বাদী হয়ে নির্দিষ্ট ১০০ এবং ৭০০০ হাজার অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে একটি বিশ্বস্তসূত্রে জানাযায়।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব টহল দিচ্ছে। উক্ত সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে এপর্যন্ত প্রায় শতাধিক লোককে আটক করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রমতে, গত বৃহস্পতিবার (১১ই এপ্রিল) জামায়াত শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তিদাবীতে হরতাল চলছিল। ওই দিন সকাল ৮/৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিনাঞ্চল আওয়ামীলীগ অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে ব্যাপক পরিচিত মুহাম্মদ তকিরহাট থেকে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের কর্মী বাহিনীর সমন্বয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ও গতবারের সংসদ নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এটিএম পেয়ারুল ইসলাম ও ফটিকছড়ির ত্রাসক্ষেত শীর্ষ সন্ত্রাসী আবু তৈয়বের নেতৃত্বে জামায়াত শিবিরের হরতাল বিরোধী একটি মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা বের করে। মিছিলটি ফটিকছড়ির দক্ষিনাঞ্চল ঘুরে উপজেলা সদরের বিবিরহাট হয়ে ১নং বাগান বাজার ইউনিয়নের দিকে যাওয়ার পক্ষালে ভূজপুর থানার কাজিরহাট বাজার অতিক্রম করছিলো। তখন সময় দেড়টা। স্থানীয় সব মসজিদে জোহরের নামাজ চলছিল। মিছিলটি কাজিরহাট বাজার অতিক্রম করার একেবারে শেষ পর্যায়ে মিছিলের শেষাংশ যখন বাজারের মধ্যবত্তি স্থানে আসে, তখন মিছিলকারীদের বহনকৃত মিনি ট্রাকে অবস্থানকারী ছাত্রলীগের কর্মীরা স্থানীয় এক দোকানীকে লক্ষ করে জামায়াতের দালাল, তুই রাজাকার ইত্যাদী আক্রমানত্বক অতি উৎসাহী কথা বলে।
তখন উপস্থিত জনতা তাদের ধর ধর বলে চিৎকার দিলে বাজারে অবস্থানরত মানুষ একত্রিত হয়ে নারায়ে তকবিরের শ্লোগান দেয়। এসময়, ট্রাক থেকে ছাত্রলীগেরকর্মীরা নেমে উপস্থিত জনতাকে ধাওয়া করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং গ্রামবাসী শ্লোগানসহ চারিদিকে ফোন করে দেয়।
এদিকে পিছনে গন্ডগোল হচ্ছে খবর শুনে সামনের গাড়ী বহর পূনরায় ফটিকছড়ির দিকে রওয়ানা হলে সমগ্র বাজারে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীদের ছুড়া ইটের আঘাতে সংলগ্ন কাজিরহাট বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের আয়না ভেঙ্গে যায়। মসজিদে ইটের আঘাতের শব্দ শুনে নামাজরত মুসল্লিদের কেউ ছাত্রলীগের কর্মীরা মসজিদে হামলা হচ্ছে মর্মে প্রচার করলে উত্তেজনা আর তীব্র আকার ধারণ করে। বাজারের মসজিদ থেকে হামলার প্রচারণা শুনে পার্শ্ববর্তী মসজিদ সমূহতেও একই প্রচার করলে গ্রামবাসী মসজিদে হামলাকারীদের প্রতিহত করতে ছুটে আসে।
পুলিশ এবং ছাত্রলীগের কর্মীদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে পুলিশ গ্রামবাসীর উপর গুলি ছোটে। গুলির শব্দ পেয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম আকার ধারণ করে। ইতিমধ্যে ছাত্রলীগের মিছিল বহর বাজারের দক্ষিনে কালাইয়ার টেক থেকে শুরু করে পূর্বভূজপুর বণিক পাড়া পর্যন্ত আসলে সামনের দিক থেকে ফকিরহাট মিরেরখীলবাসী এবং বৈদ্দপাড়ার লোকেরা তাদের ব্যারিকেড দেয়। উপায়ান্তর না দেখে পুলিশ মিছিলকারীদের ঘেরাও করে রক্ষা করার চেষ্টা চালায়। ততক্ষনে চারিদিক থেকে হাজার হাজার গ্রামবাসী এসে পুলিশ এবং মিছিলকারীদের ঘেরাও করে ফেলে। এসয় উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ করে পুলিশ পূনরায় গুলি ছুটলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশের সংখ্যা কম থাকায় হাজার হাজার গ্রামবাসী আক্রমন থেকে বাচানোর জন্য ছাত্রলীগের কর্মীরা দি¹িদিগ পালানোর চেষ্টা করলে তারা জনরোষে পড়ে এবং হামলার শিকার হন।
মিছিলকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে পুলিশ এলোপাতাড়ি করলে বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী এসময় গুলিবিদ্ধ হয়। তখন গ্রামবাসী আরো বেপরোয়া হয়ে পুলিশের ঝড়ের মত গুলি উপেক্ষা করে ছাত্রলীগের গাড়ীতে আগুন দেয়া শুরু করে। একপর্যায়ে কাজিরহাট এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল, চেয়ারম্যান শফিউল আলম নূরী এবং সংবাদকর্মী আজগর সালেহী ভ্যানগাড়ীতে মাইক নিয়ে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান করলে গ্রামবাসীর রোষানলে পড়ে ব্যর্থ হয়ে প্রাণের ভয়ে ফিরে আসে।
সাড়ে চার ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষে দেড় শতাধিক গাড়ী এসময় উত্তেজিত গ্রামবাসী জ্বালিয়ে দেয়। নিহত হয় ছাত্রলীগের তিনকর্মী, ২৫/৩০জন গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধসহ প্রায় দেড়শতাধিক মানুষ আহত হন। বর্তমানে ভূজপুরের মানুষের মাঝে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ আতংক ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ী ঘর ছেড়ে হাজার হাজার গ্রামবাসী এখন পাহাড়ে পর্বতে নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান করছে বলে জানাযায়।
এদিকে, ছাত্রলীগ, জামায়াত এবং গ্রামবাসীর ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে পরদিন (শুক্রবার) বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক এবং হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপজেলা জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা সলীমুদ্দীন দৌলতপুরী এবং কাজিরহাট এমদাদুল ইসলাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা বলেন, ছাত্রলীগ, জামায়াত এবং গ্রামবাসীর ত্রিমূখী আলোচিত এই সংঘর্ষের সাথে হেফাজতে ইসলাম এবং মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের কোন রকম সম্পৃক্ততা ছিলনা।
পুরুষ শূন্য ভূজপুর, চলছে চিরুনী অভিযানঃ
বৃহস্পতিবার উপজেলার ভূজপুরে ছাত্রলীগ, পুলিশ এবং জনতার ত্রিমূখী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় ৪হাজার অজ্ঞাতনামা লোককে আসামী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ধারা জারি বলবত রয়েছে। ভূজপুর জোড়ে আতংক আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পুলিশ, বিজিবি আর র্যাবের চিরুনী অভিযান চলছে। গতকালের সংঘর্ষে কমপক্ষে দেড়শতাধিক ছাত্রলীগ এবং সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে ৫জন, নিখোজ রয়েছে ছাত্রলীগের ১০-১২ জনকর্মী।
সর্বশেষ পরিস্থিতি হিসেবে জানাযায়, এখনো ভূজপুরে শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ বিজিবি এবং র্যাব মোতায়েন রয়েছে সংঘর্ষ কবলিত এলাকায়। শুক্রবার রাতে যৌথ বাহিনী ভূজপুরের বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে চিরুনী অভিযান চালিয়েছে এবং তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ভূজপুরের আজিমপুর, মিরেরখীল, চৌধুরীবাড়ি, ব্যাপারী পাড়া, মির্জারহাট প্রবৃত এলাকা থেকে ৩৫জন সাধারণ জনগণ, ছাত্র, শিশু-কিশোরকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয়, স্থানীয়, সাপ্তাহিক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীরা আলোচিত এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে ছুটে চলছে ভূজপুরে। ঘটনা চলাকালে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নির্বিচারে গুলি বর্ষণের কারণে সংবাদকর্মীরা সামনে অগ্রসর হতে পারেনি। শুক্রবার বিকাল ২টার সময় স্থানীয় ভূজপুর থানা পুলিশ ১৪৪ ধারা বলবতের পূণরায় ঘোষণা দেন। তারা বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারী থাকবে।
অপর দিকে, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির গণ গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে ভূজপুরের সব পুরুষ। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উদ্যোগ উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মাঝে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। ভূজপুর জোড়ে আসছে আসছে রব উঠেগেছে।
এব্যাপারে ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবারের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের আংশিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ভূজপুর এর মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল। বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রিনিক মিডিয়ার সংবাদে স্থানীয় মাদ্রাসাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। বলা হয়, স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক, হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা যৌথভাবে ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল জানান, বৃহস্পতিবারের এই নারকীয় ঘটনাকে নৃংসংষ বলে আাখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের নূন্যতম সম্পর্ক ছিল না। বরং আমি নিজে জীবন বাজি রেখে প্ররিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এবং উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করেছি।
মামলায় ৪হাজার অজ্ঞাতনামা লোককে আসামী করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ধারা জারি বলবত রয়েছে। ভূজপুর জোড়ে আতংক আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। পুলিশ, বিজিবি আর র্যাবের চিরুনী অভিযান চলছে। গতকালের সংঘর্ষে কমপক্ষে দেড়শতাধিক ছাত্রলীগ এবং সাধারণ মানুষ আহত হয়েছে, নিহত হয়েছে ৫জন, নিখোজ রয়েছে ছাত্রলীগের ১০-১২ জনকর্মী।
সর্বশেষ পরিস্থিতি হিসেবে জানাযায়, এখনো ভূজপুরে শতাধিক অতিরিক্ত পুলিশ বিজিবি এবং র্যাব মোতায়েন রয়েছে সংঘর্ষ কবলিত এলাকায়। শুক্রবার রাতে যৌথ বাহিনী ভূজপুরের বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে চিরুনী অভিযান চালিয়েছে এবং তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ভূজপুরের আজিমপুর, মিরেরখীল, চৌধুরীবাড়ি, ব্যাপারী পাড়া, মির্জারহাট প্রবৃত এলাকা থেকে ৩৫জন সাধারণ জনগণ, ছাত্র, শিশু-কিশোরকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল থেকে জাতীয়, স্থানীয়, সাপ্তাহিক ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকর্মীরা আলোচিত এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহে ছুটে চলছে ভূজপুরে। ঘটনা চলাকালে পুলিশ ও ছাত্রলীগের নির্বিচারে গুলি বর্ষণের কারণে সংবাদকর্মীরা সামনে অগ্রসর হতে পারেনি। শুক্রবার বিকাল ২টার সময় স্থানীয় ভূজপুর থানা পুলিশ ১৪৪ ধারা বলবতের পূণরায় ঘোষণা দেন। তারা বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারী থাকবে।
অপর দিকে, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির গণ গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়ী ছেড়ে পালিয়েছে ভূজপুরের সব পুরুষ। এলাকার সর্বস্তরের মানুষের মাঝে উদ্যোগ উৎকন্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। সময় বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মাঝে দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে। ভূজপুর জোড়ে আসছে আসছে রব উঠেগেছে।
এব্যাপারে ভূজপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবারের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের আংশিক প্রতিবাদ জানিয়েছেন আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ভূজপুর এর মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল। বেশ কিছু দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং ইলেক্ট্রিনিক মিডিয়ার সংবাদে স্থানীয় মাদ্রাসাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করা হয়। বলা হয়, স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক, হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা যৌথভাবে ছাত্রলীগের কর্মীদের উপর হামলা করা হয়। মুহতামিম মাওলানা জুনাইদ বিন জালাল জানান, বৃহস্পতিবারের এই নারকীয় ঘটনাকে নৃংসংষ বলে আাখ্যায়িত করে তিনি বলেন, এই ঘটনার সাথে আমাদের মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের নূন্যতম সম্পর্ক ছিল না। বরং আমি নিজে জীবন বাজি রেখে প্ররিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে এবং উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করতে চেষ্টা করেছি।
No comments