চরাচর-বিশ্ব মানবাধিকার দিবস : নিশ্চিত হোক মৌলিক অধিকার by তামান্না ইসলাম অলি
আজ ১০ ডিসেম্বর। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ এ দিনটির ঘোষণা দেয়। এ দিবসটির মাধ্যমে বিশ্বের প্রতিটি দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক ও মানবতাবিরোধী কাজ থেকে সবাইকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়।
সব ধরনের বৈষম্য বিলোপ এবং সর্বজনীন মানবাধিকারই এ দিনটির মূল প্রতিপাদ্য। ৪ ডিসেম্বর ১৯৫০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৩১৭তম পূর্ণ অধিবেশনে সদস্য দেশসহ আগ্রহী সংস্থাগুলোকে নিজেদের মতো করে দিনটি উদ্যাপন করতে বলা হয়। জাতিসংঘও এদিনে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদ্যাপন করে।
জাতিসংঘ এবারের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উৎসর্গ করেছে পাকিস্তানের সংগ্রামী নারী মালালা ইউসুফজাইকে। 'মালালার পক্ষে সোচ্চার হও-কন্যাশিশুদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হও'- এটাই এবারের স্লোগান। ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আজ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাকিস্তানসহ অন্যান্য সদস্য দেশের প্রধান ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মালালাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। মেয়েদের পড়াশোনার অধিকার নিশ্চিত করার ঘোষণাও দেবে জাতিসংঘ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও উদ্যাপন করা হয় মানবাধিকার দিবস। সারা দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো দিনব্যাপী আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠানের। কিন্তু এদিনের কার্যক্রম শুধু মানববন্ধন, সভা ও সেমিনারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। পেঁৗছায় না সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে। মানবাধিকার প্রত্যেক মানুষেরই জন্মগতভাবে পাওয়া এবং সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত।
দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়াটা যদি দোষের না হয় তাহলে তার অন্য কোনো দুর্ভোগের জন্য সে দায়ী নয়। মূলত দায়ী আমাদের মূল সমাজকাঠামো। অন্যান্য দেশের বঞ্চিত মানুষের ক্ষেত্রেও এ কথা সত্য। শুধু মুখেই কল্যাণ রাষ্ট্রের কথা বলা হয়। বাস্তবে রাষ্ট্র কতটুকু মানুষবান্ধব, তা প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে আজ ঘটা করে মানবাধিকার দিবস পালনের দরকার হচ্ছে।
অবশ্য মানবাধিকার রক্ষার দায় শুধু রাষ্ট্র বা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটাও খুব নৈতিক নয়। যার অধিকার তাকেও সোচ্চার হতে হবে। সে যদি বুঝতে না পারে সে বঞ্চিত হচ্ছে, তাহলে তার মানবাধিকার রক্ষা করা খুব কঠিন। কখনো অধিকার আদায়েরও দরকার হতে পারে। কিন্তু তার আগে তার অধিকার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। দুঃখজনক হচ্ছে, আমাদের দেশসহ বেশির ভাগ কম আয়ের দেশের মানুষ তার মৌলিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতন নয়। তাই তাদের নির্যাতিত হওয়াটা অনেকটা নিয়মের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজকের এই দিনে বেশ জোরেশোরে বলতেই হচ্ছে 'মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই নিশ্চিত হবে মানবাধিকার।'
তামান্না ইসলাম অলি
জাতিসংঘ এবারের বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উৎসর্গ করেছে পাকিস্তানের সংগ্রামী নারী মালালা ইউসুফজাইকে। 'মালালার পক্ষে সোচ্চার হও-কন্যাশিশুদের শিক্ষার অধিকারের পক্ষে সোচ্চার হও'- এটাই এবারের স্লোগান। ইউনেস্কোর সদর দপ্তরে আজ বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাকিস্তানসহ অন্যান্য সদস্য দেশের প্রধান ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে মালালাকে সম্মাননা দেওয়া হবে। মেয়েদের পড়াশোনার অধিকার নিশ্চিত করার ঘোষণাও দেবে জাতিসংঘ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও উদ্যাপন করা হয় মানবাধিকার দিবস। সারা দেশের মানবাধিকার সংস্থাগুলো দিনব্যাপী আয়োজন করে নানা অনুষ্ঠানের। কিন্তু এদিনের কার্যক্রম শুধু মানববন্ধন, সভা ও সেমিনারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। পেঁৗছায় না সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে। মানবাধিকার প্রত্যেক মানুষেরই জন্মগতভাবে পাওয়া এবং সংবিধান দ্বারা স্বীকৃত।
দরিদ্র হয়ে জন্ম নেওয়াটা যদি দোষের না হয় তাহলে তার অন্য কোনো দুর্ভোগের জন্য সে দায়ী নয়। মূলত দায়ী আমাদের মূল সমাজকাঠামো। অন্যান্য দেশের বঞ্চিত মানুষের ক্ষেত্রেও এ কথা সত্য। শুধু মুখেই কল্যাণ রাষ্ট্রের কথা বলা হয়। বাস্তবে রাষ্ট্র কতটুকু মানুষবান্ধব, তা প্রশ্নবিদ্ধ। যে কারণে আজ ঘটা করে মানবাধিকার দিবস পালনের দরকার হচ্ছে।
অবশ্য মানবাধিকার রক্ষার দায় শুধু রাষ্ট্র বা অন্যের ওপর চাপিয়ে দেওয়াটাও খুব নৈতিক নয়। যার অধিকার তাকেও সোচ্চার হতে হবে। সে যদি বুঝতে না পারে সে বঞ্চিত হচ্ছে, তাহলে তার মানবাধিকার রক্ষা করা খুব কঠিন। কখনো অধিকার আদায়েরও দরকার হতে পারে। কিন্তু তার আগে তার অধিকার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে। দুঃখজনক হচ্ছে, আমাদের দেশসহ বেশির ভাগ কম আয়ের দেশের মানুষ তার মৌলিক অধিকারের ব্যাপারে সচেতন নয়। তাই তাদের নির্যাতিত হওয়াটা অনেকটা নিয়মের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আজকের এই দিনে বেশ জোরেশোরে বলতেই হচ্ছে 'মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই নিশ্চিত হবে মানবাধিকার।'
তামান্না ইসলাম অলি
No comments