বিশেষ সাক্ষাৎকার-ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে ডিসিসি ভাগ করা হয়েছে by সাদেক হোসেন

ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিদায়ী মেয়র সাদেক হোসেন খোকার জন্ম ১৯৫০ সালে, ঢাকার কলতাবাজারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেন ১৯৭৪ সালে। ছাত্রজীবনে তিনি জড়িয়ে পড়েন বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে। একাত্তরের স্বাধীনতাসংগ্রামে তিনি অংশ নিয়েছেন একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে।


পরবর্তী সময়ে যুক্ত হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৎস্য ও পশুসম্পদমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন সাদেক হোসেন খোকা।
 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ কে এম জাকারিয়া

প্রথম আলো  ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করেছে সরকার। আপনি বিরোধী দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছেন কোন কারণে? আপনার দলের অবস্থান বা রাজনৈতিক বিবেচনাই কি এ ক্ষেত্রে কাজ করছে?
সাদেক হোসেন  ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর দায়িত্ব পালন করেছি প্রায় সাড়ে নয় বছর। এই দীর্ঘ সময়ে ঢাকার মেয়র হিসেবে সব সময়ই দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সিটি করপোরেশনে প্রায় ২৫ জন আওয়ামী লীগদলীয় নির্বাচিত কাউন্সিলর রয়েছেন। এ সময় তাঁদেরও সহযোগিতা পেয়েছি। সিটি করপোরেশনকে একটি অভিন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। স্থানীয় সরকারব্যবস্থার এটাই অনন্য দিক। ঢাকা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরের মধ্যে কোনো বিভক্তি ছিল না—তাঁরা যে দলেরই হোক না কেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। আপনারা দেখবেন, যখন সিটি করপোরেশন ভাগ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন সিটি করপোরেশনের সব কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী—সবাই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে এটাকে বিএনপির ইস্যু বা এ ধরনের রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কোনো সুযোগ নেই। সিটি করপোরেশনের বোর্ড সভায় আওয়ামী লীগ-সমর্থিত কাউন্সিলররাও ঢাকার এই বিভক্তির বিরোধিতা করেছেন।
প্রথম আলো  তাহলে সরকার কি রাজনৈতিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
সাদেক হোসেন  অবশ্যই। সরকার পুরোপুরি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে ঢাকাকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি বলব, এ ক্ষেত্রে সরকারের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি কাজ করেছে। দেখুন, এই যে সরকার ঢাকাকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নিল, এর পক্ষে কিন্তু কেউ অবস্থান নেয়নি। দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের সবাই ঢাকার এই বিভক্তির বিরোধিতা করেছে। যারা সরকারের এই উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন, তাঁরা যে রাজনৈতিকভাবে সরকারের বিরোধী, তা-ও নয়। অনেকেই আছেন, সরকারের প্রতি যাঁদের আস্থা রয়েছে, সমর্থন রয়েছে। আমি মনে করি, সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা হঠকারী সিদ্ধান্ত। এর মধ্য দিয়ে সরকার ক্ষুদ্রতার পরিচয় দিয়েছে।
প্রথম আলো  সবার বিরোধিতার মুখে সরকার এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিতে গেল কেন?
সাদেক হোসেন  আসলে ঢাকা সিটি করপোরেশনের নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাকে মেয়র পদ থেকে সরানোর আর কোনো পথ ছিল না। আবার সরকার রাজনৈতিক কারণে এখন নতুন নির্বাচন দিতেও রাজি নয়। বলা যায়, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে ঢাকাকে বিভক্ত করার মতো একটি দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রথম আলো  সরকার তো বলছে, ঢাকার নাগরিকসেবার মান বাড়াতে ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বিভক্ত করা হচ্ছে।
সাদেক হোসেন  দেখুন, আমার আগে যিনি মেয়র ছিলেন, মোহাম্মদ হানিফ, তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ঢাকা শহরের সেবা নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি নগর সরকারের পক্ষে কথা বলে গেছেন। আমি দীর্ঘদিন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে কাজ করেছি; আমিও মনে করি, একটি একক শক্তিশালী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঢাকাবাসীর নাগরিকসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব। নগরবাসীকে সেবা প্রদান করে, এমন প্রায় ৫৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো এই সেবাপ্রতিষ্ঠানগুলো একটি মাত্র কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হওয়া উচিত। ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি স্টাডি হয়েছিল। বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলাপ করে একটি সুপারিশ তৈরি করা হয়েছিল। সুপারিশে ঢাকার সব সেবা সংস্থাকে একটি ছাতার নিচে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল। এককেন্দ্রিক একটি শক্তিশালী সিটি করপোরেশনের কথা বলা হয়েছিল। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধাবধায়ক সরকারের আমলে তা অনুমোদিতও হয়েছিল। সে ধরনের কিছু না করে ঢাকাকে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত সরকারের একগুঁয়েমি ছাড়া আর কিছু নয়। ঢাকাকে ভাগ করার কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই।
প্রথম আলো  ঢাকা সিটি করপোরেশনের এই বিভক্তির ফলে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
সাদেক হোসেন  প্রথমেই যে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে বা দেবে তা হচ্ছে, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা। নগরবাসীকে সেবা দেওয়ার চেয়ে নিজেদের নিয়ে শঙ্কায় পড়বেন। সিটি করপোরেশনে বিভক্তির কারণে সরকারের প্রশাসনিক ব্যয় বাড়বে। নতুন ভবন বানাতে হবে। বর্তমানে সায়েদাবাদে সিটি করপোরেশনের একটি মেকানিক্যাল বিভাগ আছে। এখন সিটি করপোরেশন বিভক্ত হওয়ার পর এ ধরনের দুটি বিভাগ করতে হবে। এ জন্য জায়গা খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। যানবাহন ও সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে জটিলতা হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে যে ধারাবাহিকতা ছিল, তা নষ্ট হবে। আর ঢাকাকে ভাগ করার মতো কোনো প্রাকৃতিক লাইন বা সীমানা নেই। কোনো খাল বা নদী ধরে একে বিভক্ত করার সুযোগ নেই। হঠাৎ করে আজকের এই ঢাকা গড়ে ওঠেনি। ঐতিহ্য ও ইতিহাস—সবকিছু মিলিয়েই ঢাকা। ঢাকার এই বিভক্তি তাই ঢাকাবাসীর জন্য কষ্টদায়ক। সবচেয়ে বড় কথা, একক শক্তিশালী সিটি করপোরেশনের পরিবর্তে এটি ভাগ কারায় জটিলতা যেমন বাড়বে, তেমনই নাগরিকসেবার মানও কমবে।
প্রথম আলো  আপনি তো ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিভক্তির বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামলেন। কোন বিবেচনা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিলেন?
সাদেক হোসেন  ঢাকাকে বিভক্ত করার ঘোষণা আসার পর সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখেছি। বিদগ্ধ লোকজনের মন্তব্য পড়েছি, পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মত দেখেছি। বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকীয় কলাম পড়েছি। সবকিছু মিলিয়েই আমার মনে হয়েছে, ঢাকাবাসীর স্বার্থে আমার আইনি লড়াই করা উচিত। ড. কামাল হোসেনের মতো বিশিষ্ট আইনজীবী আমার পক্ষে লড়ছেন। হাইকোর্ট থেকে সিটি করপোরেশনের বিভক্তির ব্যাপারে সরকারের ওপর রুল জারি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে হবে। আমরা স্থিতাবস্থা চেয়েছিলাম, কিন্তু তা পাইনি; বেঞ্চ এ ব্যাপারে বিভক্ত ছিল। অন্য বেঞ্চে তা নিষ্পত্তি হবে।
প্রথম আলো  আইনি লড়াইয়ে জয়ের ব্যাপারে আপনি কতটুকু আশাবাদী?
সাদেক হোসেন  প্রবীণ আইনজীবীদের সঙ্গে আমি বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। আমি আশাবাদী। কারণ, এই বিভক্তির মাধ্যমে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। সংবিধানে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা। এটাকে বিভক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। সরকার অবশ্য বলছে যে প্রশাসনিক কারণে করা হচ্ছে। সেটা করতে হলেও কমিশন গঠন করে তাদের সুপারিশ নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। কোনো ধরনের স্টাডি বা সমীক্ষা ছাড়া, নাগরিকদের মতামত না নিয়ে, বিশেষজ্ঞদের সব যুক্তি উপেক্ষা করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
প্রথম আলো  আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজনৈতিক কর্মসূচিও তো চলছে।
সাদেক হোসেন  সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর ফোরাম বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল হয়েছে। বিভিন্ন দল রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েছে। নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকেও নানা কিছু করা হচ্ছে। আশা করি, নগরবাসী ঢাকার বিভক্তি রোধে এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা সরকারকে জানিয়ে দেবে।
প্রথম আলো  আপনার দল বিএনপি ঢাকাকে বিভক্ত করার প্রতিবাদে রাজধানীতে হরতাল ডেকেছে। আপনার দল ভবিষ্যতে যদি ক্ষমতায় আসে, তবে কি ঢাকা সিটি করপোরেশনকে আবার এক করবে?
সাদেক হোসেন  বিএনপি ঢাকাকে এভাবে বিভক্তির বিরুদ্ধে। দলের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে হরতাল ডাকা হয়েছে। ঢাকাকে বিভক্ত করার প্রতিবাদে বিএনপি যখন হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়েছে, তখন নিশ্চয় ভবিষ্যতে দল কখনো সুযোগ পেলে ঢাকাকে এক করবে। একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকার একটি ইমেজ রয়েছে। আমি মনে করি, দল ঢাকার অখণ্ডতার বিষয়টি সে জায়গা থেকেই দেখছে।
প্রথম আলো  দীর্ঘদিন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেন। নাগরিকসেবার মান বাড়াতে কী করা উচিত? আপনার অভিজ্ঞতা কী বলে?
সাদেক হোসেন  প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিটি করপোরেশনকে শক্তিশালী করতে হবে। এর ক্ষমতা বাড়াতে হবে। দেখুন, এখন যে আইন আছে, তাতে একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ দিতেও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। যেমন—আমরা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু কমিউনিটি সেন্টার করেছি নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার ইচ্ছে থেকে। সেখানে একজন কেয়ারটেকার নিয়োগ দিতেও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি লাগে। এ কারণে স্থাপনা নির্মাণ করেও দেখা যাচ্ছে, একে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ঢাকা একটি বড় ও জনবহুল শহর। এখানে ভবিষ্যতের বিষয়টি মাথায় রেখে কিছু করতে হলে চিন্তাভাবনা করেই এগোনো উচিত। বিশ্বে ঢাকার মতো আরও অনেক শহর রয়েছে। আমি মনে করি, একটি কমিশন গঠন করে অন্যান্য শহরের অভিজ্ঞতা এবং ওই শহরগুলো ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনিক কাজ কীভাবে পরিচালিত হয়, তা বিবেচনায় নিয়ে তৈরি করা একটি সুপারিশের ভিত্তিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। যে সরকার বা যারাই ক্ষমতায় থাক, এভাবে কার্যকর পরিকল্পনার ভিত্তিতে এগোনো গেলে ঢাকাবাসীর নাগরিকসেবার মান বাড়ানো সম্ভব হবে।
প্রথম আলো  আপনার দল যদি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসে, তবে কি তারা এ প্রক্রিয়া বিবেচনায় নেবে?
সাদেক হোসেন  আমি আমার দলকে বোঝানোর চেষ্টা করব। সেবা বাড়াতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। আমি আশা করি, দলের নীতিনির্ধারকেরা এ ব্যাপারে দ্বিমত করবেন না।
প্রথম আলো  এত দিন দায়িত্ব পালনের পর নিজের কাজকে যদি মূল্যায়ন করতে বলি, মানে ঢাকার মেয়র হিসেবে নিজেকে কি সফল মনে করেন?
সাদেক হোসেন  সাফল্য আর ব্যর্থতার বিষয়টি আপেক্ষিক। কেউ ভিন্নভাবেও দেখতে পারেন। আসলে নগরবাসীই বিষয়টি বিচার করবেন। সীমিত সম্পদ ও ক্ষমতা নিয়ে বিভিন্ন সরকারের সময়ে আমাকে কাজ করতে হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। শতভাগ সফল নিশ্চয়ই হতে পারিনি। সেই দুঃখ ও বেদনাবোধ থেকেই যাবে। তবে যেখান থেকে এবং যে পরিস্থিতিতে কাজ করেছি, সেদিক থেকে দেখলে আমি সিটি করপোরেশনের ইমেজ ও আস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করে গেছি। একসময় যে সিটি করপোরেশন ছিল ‘ফাইভ স্টার’ বা ‘সেভেন স্টার’ ধরনের বাহিনীর দখলে, সেই সিটি করপোরেশনকে জনগণের সংস্থায় পরিণত করেছি। জনগণ এখন সিটি করপোরেশনকে নিজেদের প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখে।
প্রথম আলো  ধন্যবাদ।
সাদেক হোসেন  আপনাকেও ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.