শিক্ষক হত্যা-আমাদের ক্ষমা করবেন স্যার. by ফারজানা সিদ্দিকা
যা আশঙ্কা করেছিলাম, শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। ২৮ নভেম্বর প্রথম আলো পত্রিকার দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় ছাপা হলো ছবিটা। এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। কাঁদছে তাদের প্রিয় শিক্ষককে অকালে হারানোর বেদনায়। এটাই স্বাভাবিক—বাস্তব। এ ধরনের ছবি দেখে ছবির স্থান-কাল-পাত্র সম্বন্ধে অজ্ঞাতজন পাঠকেরও চোখ ভিজে ওঠে। আর চেনা পাঠকের তো কথাই নেই।
খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে চেনা পাঠক সেই ছবি অজস্রবার দেখে নেয়; তারপর খুব যত্নে লুকিয়ে রাখে পত্রিকাটি। যেমন করে লুকাতে হয়মনের যন্ত্রণাও।
স্কুল ইউনিফর্ম পরা, বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ছাত্রীদের কান্নার এমন ছবি ছাপা হওয়ার কথা নয় কোনোভাবেই। ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-ম্যানেজিং কমিটির লোকজন—সবাই অধীর হয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরীক্ষা শেষ হলেই স্কুলের বিশাল সবুজ মাঠে শুরু হবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মহড়া। মহড়ার দিনগুলোতে জিন্নাত স্যার সাধারণত সাদা শার্ট-সাদা প্যান্ট আর মাথায় সাদা ক্যাপ পরে থাকেন, মুখে বাঁশি। ‘আরে, ভয় পাস কেন, পারবি, পারবি’ বলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে উৎসাহ দিতে থাকেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের তৈরি করার পুরো দায়িত্বই থাকে জিন্নাত স্যারের ওপর। অথচ তিনি ওই স্কুলের অঙ্ক আর বিজ্ঞানের শিক্ষক। ক্লাসেও অঙ্ক না পারলে উৎসাহ-ধমক দুটোই চলে হাসিমুখে। ওই স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জিন্নাত স্যারের ক্লাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে মুচকি হেসে উত্তর দেবে, ‘স্যার ধমকান ঠিকই, কিন্তু আমরা ভয় পাই না স্যারকে। শিশুর মতো উচ্ছ্বাস নিয়ে স্যার ক্লাসে পড়ান। মাঝেমধ্যে রাগী শিক্ষক হওয়ার অভিনয় করতে চান, কিন্তু তাতে ব্যর্থ হন প্রতিবারই। বিপুল প্রাণশক্তি নিয়ে ২৫টি বছর তিনি এ ওয়াহেদ স্কুলকে গড়ে তুলতে পরিশ্রম করেছেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই তিনি আছেন। এর আগে এআরএস নামের যে স্কুলে ছিলেন সেখানেও ছিলেন বিপুল জনপ্রিয়। সেই স্কুল ছেড়ে নতুন স্কুল গড়ার কাজে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। নতুন কিছু গড়ে তোলার নেশা ছিল তাঁর রক্তে। ১৯৭১ সালে এমন নেশাতেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন তিনি।
এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের বয়স মাত্র ২৫ বছর। এই তরুণ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৫ বছর ধরেই জড়িয়ে আছেন জিন্নাত স্যার। ওই বিদ্যালয়ে যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছে, তাদেরকে যদি তিনজন শিক্ষকের নাম বলতে বলা হয়, অবধারিতভাবে তিনজনের মধ্যে জিন্নাত স্যারের নামটি উচ্চারিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। বার্ষিক ক্রীড়ার পাশাপাশি এবার এই পুনর্মিলনীকে ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে স্কুলের সবার মধ্যে। রেজিস্ট্রেশন চলছে, চিঠি দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জানানো হচ্ছে, বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে, অনুষ্ঠানে কী কী করা হবে তারও তালিকা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে শিক্ষক থাকায় ১৮ ডিসেম্বরের পুনর্মিলনী ঘিরে তাঁর বুকের ভেতর কেমন তোলপাড় হচ্ছিল—তা আর জানা যাবে না। প্রাক্তন সব শিক্ষার্থীর মুখ তিনি চেনেন। সেই মুখের দিকে তাকিয়ে কোন ক্লাসের কোন পরীক্ষায় অঙ্কে কে কত পেয়েছিল, সব তিনি বলে দিতে পারতেন হয়তো। শিক্ষার্থীরা সেদিন হয়তো সবার আগে তাঁকেই ঘিরে ধরত; টুপ টুপ করে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে জিজ্ঞেস করত, ‘স্যার, ভালো আছেন?’ জিন্নাত স্যার হয়তো স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হেসে হেসে জবাব দিতেন।
মাত্র পঁচিশে পা দেওয়া কোনো স্কুলের পুনর্মিলনীর ছবি নামকরা জাতীয় পত্রিকায় তেমন একটা ছাপে না। কিন্তু ছাপা হলো দুঃসংবাদ হিসেবে। ছাপা হলো শিক্ষার্থীদের কান্নারত ছবি। প্রথমবারের মতো বড় করে পত্রিকায় এলো স্কুলটির নাম। প্রিয় বিদ্যাঙ্গনের এমন ছবি কোনো শিক্ষার্থীরই কি কাম্য? আমাদের জিন্নাত স্যার যে মাঠে শীতের সকালে বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে গত ২৫টি বছর সবাইকে জমায়েত করতেন, সেই মাঠেই তাঁরই জন্য, তাঁকে ঘিরেই জমায়েত হয়েছে সবাই। এবার আর বাঁশি বাজাতে হবে না তাঁকে। বাঁশি না বাজিয়েই, ১৯৭১ সালের মতো অস্ত্র হাতে না নিয়েই তিনি জানিয়ে দিতে পেরেছেন, আর কোনো দিন কাউকে ডাক দেবেন না তিনি; দেশকে স্বাধীন করার ডাক নয়, অঙ্ক-বিজ্ঞান শেখানোর ডাক নয়, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ডাক নয়, বাবা হিসেবে মেয়েকে রক্ষার ডাক নয়। সব ডাকের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন জিন্নাত স্যার।
আমি জানি না, আগামী দিনগুলোতে জিন্নাত স্যারের কন্যাসন্তানটির নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব কে বহন করবে? নিরাপত্তার অভাবে বাবাকে হারিয়ে সন্ত্রাসের কাছেই পরাজিত হবে কি না ওর শিক্ষাজীবন? যদিও স্যারের হত্যাকারীদের স্যারেরই জীবনের বিনিময়ে দারুণ দক্ষতায় গ্রেপ্তার করেছে বরিশালের পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু আমাদের সতর্কতার সঙ্গেই মনে রাখতে হয়, গ্রেপ্তার মানেই বিচার নয়—নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া নয়। এ দেশে এমনই দক্ষতায় হত্যাকারীরা খুব সহজেই জামিনও পেয়ে যায়।
১৮ ডিসেম্বরের পুনর্মিলনী ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের। আমার ডিজিটাল ক্যামেরার মেমরিকার্ড খালি করে রেখেছি পুনর্মিলনিতে গিয়ে অনেক ছবি তুলব বলে। ‘ডিজিটাল’ শব্দে এখন মনে হলো, ইভ টিজিংয়ের কারণে এ যাবৎ এ দেশে কতটি মৃত্যু ঘটল, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এর হিসেব কি সরকারি কোনো ডিজিটাল তথ্যভান্ডারে পাওয়া যাবে কোনো দিন? না কি সেই তথ্যভান্ডারে কেবল মিলবে অর্জনের গলাভরা তালিকা?
এ দেশের জন্যই তো যুদ্ধ করেছিলেন জিন্নাত স্যার। আমাদের ক্ষমা করবেন স্যার। এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তির পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে চেয়ে গর্বিত শিক্ষক হওয়ার মতো সুযোগ আমরা আপনাকে দিতে পারিনি।
ফারজানা সিদ্দিকা: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়।
স্কুল ইউনিফর্ম পরা, বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা ছাত্রীদের কান্নার এমন ছবি ছাপা হওয়ার কথা নয় কোনোভাবেই। ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-ম্যানেজিং কমিটির লোকজন—সবাই অধীর হয়ে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পরীক্ষা শেষ হলেই স্কুলের বিশাল সবুজ মাঠে শুরু হবে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মহড়া। মহড়ার দিনগুলোতে জিন্নাত স্যার সাধারণত সাদা শার্ট-সাদা প্যান্ট আর মাথায় সাদা ক্যাপ পরে থাকেন, মুখে বাঁশি। ‘আরে, ভয় পাস কেন, পারবি, পারবি’ বলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে উৎসাহ দিতে থাকেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের তৈরি করার পুরো দায়িত্বই থাকে জিন্নাত স্যারের ওপর। অথচ তিনি ওই স্কুলের অঙ্ক আর বিজ্ঞানের শিক্ষক। ক্লাসেও অঙ্ক না পারলে উৎসাহ-ধমক দুটোই চলে হাসিমুখে। ওই স্কুলের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে জিন্নাত স্যারের ক্লাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে মুচকি হেসে উত্তর দেবে, ‘স্যার ধমকান ঠিকই, কিন্তু আমরা ভয় পাই না স্যারকে। শিশুর মতো উচ্ছ্বাস নিয়ে স্যার ক্লাসে পড়ান। মাঝেমধ্যে রাগী শিক্ষক হওয়ার অভিনয় করতে চান, কিন্তু তাতে ব্যর্থ হন প্রতিবারই। বিপুল প্রাণশক্তি নিয়ে ২৫টি বছর তিনি এ ওয়াহেদ স্কুলকে গড়ে তুলতে পরিশ্রম করেছেন। স্কুলটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই তিনি আছেন। এর আগে এআরএস নামের যে স্কুলে ছিলেন সেখানেও ছিলেন বিপুল জনপ্রিয়। সেই স্কুল ছেড়ে নতুন স্কুল গড়ার কাজে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন। নতুন কিছু গড়ে তোলার নেশা ছিল তাঁর রক্তে। ১৯৭১ সালে এমন নেশাতেই মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলেন তিনি।
এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের বয়স মাত্র ২৫ বছর। এই তরুণ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২৫ বছর ধরেই জড়িয়ে আছেন জিন্নাত স্যার। ওই বিদ্যালয়ে যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেছে, তাদেরকে যদি তিনজন শিক্ষকের নাম বলতে বলা হয়, অবধারিতভাবে তিনজনের মধ্যে জিন্নাত স্যারের নামটি উচ্চারিত হবে। ১৮ ডিসেম্বর এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। বার্ষিক ক্রীড়ার পাশাপাশি এবার এই পুনর্মিলনীকে ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা ছড়িয়ে আছে স্কুলের সবার মধ্যে। রেজিস্ট্রেশন চলছে, চিঠি দিয়ে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জানানো হচ্ছে, বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে, অনুষ্ঠানে কী কী করা হবে তারও তালিকা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে শিক্ষক থাকায় ১৮ ডিসেম্বরের পুনর্মিলনী ঘিরে তাঁর বুকের ভেতর কেমন তোলপাড় হচ্ছিল—তা আর জানা যাবে না। প্রাক্তন সব শিক্ষার্থীর মুখ তিনি চেনেন। সেই মুখের দিকে তাকিয়ে কোন ক্লাসের কোন পরীক্ষায় অঙ্কে কে কত পেয়েছিল, সব তিনি বলে দিতে পারতেন হয়তো। শিক্ষার্থীরা সেদিন হয়তো সবার আগে তাঁকেই ঘিরে ধরত; টুপ টুপ করে পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে জিজ্ঞেস করত, ‘স্যার, ভালো আছেন?’ জিন্নাত স্যার হয়তো স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে হেসে হেসে জবাব দিতেন।
মাত্র পঁচিশে পা দেওয়া কোনো স্কুলের পুনর্মিলনীর ছবি নামকরা জাতীয় পত্রিকায় তেমন একটা ছাপে না। কিন্তু ছাপা হলো দুঃসংবাদ হিসেবে। ছাপা হলো শিক্ষার্থীদের কান্নারত ছবি। প্রথমবারের মতো বড় করে পত্রিকায় এলো স্কুলটির নাম। প্রিয় বিদ্যাঙ্গনের এমন ছবি কোনো শিক্ষার্থীরই কি কাম্য? আমাদের জিন্নাত স্যার যে মাঠে শীতের সকালে বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে গত ২৫টি বছর সবাইকে জমায়েত করতেন, সেই মাঠেই তাঁরই জন্য, তাঁকে ঘিরেই জমায়েত হয়েছে সবাই। এবার আর বাঁশি বাজাতে হবে না তাঁকে। বাঁশি না বাজিয়েই, ১৯৭১ সালের মতো অস্ত্র হাতে না নিয়েই তিনি জানিয়ে দিতে পেরেছেন, আর কোনো দিন কাউকে ডাক দেবেন না তিনি; দেশকে স্বাধীন করার ডাক নয়, অঙ্ক-বিজ্ঞান শেখানোর ডাক নয়, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ডাক নয়, বাবা হিসেবে মেয়েকে রক্ষার ডাক নয়। সব ডাকের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন জিন্নাত স্যার।
আমি জানি না, আগামী দিনগুলোতে জিন্নাত স্যারের কন্যাসন্তানটির নিরাপত্তার দায়-দায়িত্ব কে বহন করবে? নিরাপত্তার অভাবে বাবাকে হারিয়ে সন্ত্রাসের কাছেই পরাজিত হবে কি না ওর শিক্ষাজীবন? যদিও স্যারের হত্যাকারীদের স্যারেরই জীবনের বিনিময়ে দারুণ দক্ষতায় গ্রেপ্তার করেছে বরিশালের পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু আমাদের সতর্কতার সঙ্গেই মনে রাখতে হয়, গ্রেপ্তার মানেই বিচার নয়—নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া নয়। এ দেশে এমনই দক্ষতায় হত্যাকারীরা খুব সহজেই জামিনও পেয়ে যায়।
১৮ ডিসেম্বরের পুনর্মিলনী ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল আমাদের। আমার ডিজিটাল ক্যামেরার মেমরিকার্ড খালি করে রেখেছি পুনর্মিলনিতে গিয়ে অনেক ছবি তুলব বলে। ‘ডিজিটাল’ শব্দে এখন মনে হলো, ইভ টিজিংয়ের কারণে এ যাবৎ এ দেশে কতটি মৃত্যু ঘটল, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এর হিসেব কি সরকারি কোনো ডিজিটাল তথ্যভান্ডারে পাওয়া যাবে কোনো দিন? না কি সেই তথ্যভান্ডারে কেবল মিলবে অর্জনের গলাভরা তালিকা?
এ দেশের জন্যই তো যুদ্ধ করেছিলেন জিন্নাত স্যার। আমাদের ক্ষমা করবেন স্যার। এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়ের ২৫ বছর পূর্তির পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে চেয়ে গর্বিত শিক্ষক হওয়ার মতো সুযোগ আমরা আপনাকে দিতে পারিনি।
ফারজানা সিদ্দিকা: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট। প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ ওয়াহেদ বালিকা বিদ্যালয়।
No comments