সংসদ অধিবেশন শুরু আজ, যোগ দিচ্ছে না বিএনপি
সংসদ রিপোর্টার: আজ শুরু হচ্ছে নবম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন। বছরের প্রথম অধিবেশন হওয়ায় পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৩
প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান সন্ধ্যা ৬টায়
ভাষণ দেবেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী জোট অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে না। স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে বিকাল সাড়ে তিনটায়। সংসদ টিভি অধিবেশনের কার্যক্রম সরাসরি সমপ্রচার করবে। এদিকে সংসদ চলবে আগামী ৮ই মার্চ পর্যন্ত। এর মধ্যে কার্যদিবস হয় ২৭টি। গতকাল সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক মানবজমিনকে জানান, দলের নীতি-নির্ধারকদের পক্ষ থেকে আপাতত সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির সংসদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। এর আগে দলটির পক্ষ থেকে একাধিকবার সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়। চলতি সংসদের ১১টি অধিবেশনের মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ অধিবেশ বর্জন করে বিরোধী দল। টানা ৭৪ দিন সংসদ বর্জনের পর গত বছরের ১৫ই মার্চ বিএনপি দু’দিনের জন্য সংসদে ফিরেছিল। ২৪শে মার্চের পর থেকে আবার তারা সংসদ বর্জন করে। এরপর বিরোধী দল আর সংসদে ফেরেনি। এদিকে বিরোধীদলীয় এমপিদের সামনে সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে আরও ৩৭টি কার্যদিবস রয়েছে। এরই মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ একাধিক সংসদ সদস্যের টানা অনুপস্থিতি ৫৩ দিন পার হয়েছে। ফলে এবারের শীতকালীন অধিবেশন ৩৭ কার্যদিবস চললেই সদস্যপদ হারানোর মতো ৯০ দিনের টানা অনুপস্থিতির রেকর্ড হয়ে যাবে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিধান রয়েছে। সংসদ বর্জন প্রসঙ্গে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিরোধী দল সব সময় সংসদে যেতে প্রস্তুত। তবে সরকারি দল সংসদের পরিবেশ তৈরি করছে না। চাপ বা কৌশলের কাছে আত্মসমর্পণ করে বিএনপি সংসদে যাওয়ার মত দল নয়। বরং আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই বিষয়টি আরও ফলপ্রসূ হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে সংসদে ফেরাতে হলে সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার প্রমাণ রাখতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে গিয়ে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। এখন সরকারকে দেখাতে হবে তারা কতটুকু আন্তরিক। এ সময় তিনি স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, স্পিকার নিজেও অসহায়। কার অঙুলি নির্দেশে সংসদ পরিচালিত হচ্ছে তা কেউ জানে না। এসব দূর করে সরকারি দল আগে পরিবেশ তৈরি করুক তারপর সংসদে যোগ দেয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। সরকার দলীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, সাধারণত শীতকালীন অধিবেশন লম্বা হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কারণ, নতুন বছরের শুরুতে সংসদে প্রেসিডেন্ট ভাষণ দিয়ে থাকেন। ওই ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাই অধিবেশনটিকে অনেকদিন পর্যন্ত টেনে নেয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সব সময় চাই বিরোধী দল সংসদে যোগ দিক। কারণ, জনগণ তাদের নির্বাচিত করেছে সংসদে এসে কথা বলার জন্য। অথচ বিরোধী দল উল্টোটি করছে।
২৭ কার্যদিবসের অধিবেশন
এদিকে চলতি অধিবেশন ২৭ কার্যদিবস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১৬তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রয়োজনে এ সময়সীমা বাড়ানো ও কমানোর ব্যাপারে স্পিকারকে দায়িত্ব দেয় কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন অধিবেশন শুরু হবে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। শেষ হবে রাত সাড়ে আটটায়। এছাড়া প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে ৪০ ঘণ্টা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ মো. আবদুস শহীদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আলহাজ এডভোকেট মো. রহমত আলী, রাশেদ খান মেনন এবং আবদুল মতিন খসরু সভায় অংশ নেন। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া এ কিমটির সদস্য হলেও তিনি বরাবরের মতো গতকালও অনুপস্থিত ছিলেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন।
অধিবেশন মুলতবি হবে দুইবার
এদিকে আজ সংসদ অধিবেশন দুইবার মুলতবি হবে। সংসদীয় ইতিহাসে একইদিনে ২বার মুলতবির ঘটনা বেশ বিরল। বিধি অনুযায়ী বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর অধিবেশন মুলতবি করা হয়। আবার চলতি সংসদের কোন এমপির মৃত্যু হলে তার ওপর আনা শোক প্রস্তাব শেষে মুলতবি করা হয়। সমপ্রতি সরকারদলীয় এমপি আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হলে আগামী অধিবেশনে দুই ইস্যু একই দিনে পড়েছে। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, প্রথমে শোক প্রস্তাব আনা হবে। এরপর ৩০ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হবে। পরে আবার অধিবেশন শুরু হলে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান তার উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন। এরপর ২য় বারের মত মুলতবি করা হবে অধিবেশন।
প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান সন্ধ্যা ৬টায়
ভাষণ দেবেন। বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রধান বিরোধী জোট অধিবেশনে যোগ দিচ্ছে না। স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে বিকাল সাড়ে তিনটায়। সংসদ টিভি অধিবেশনের কার্যক্রম সরাসরি সমপ্রচার করবে। এদিকে সংসদ চলবে আগামী ৮ই মার্চ পর্যন্ত। এর মধ্যে কার্যদিবস হয় ২৭টি। গতকাল সংসদ ভবনে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক মানবজমিনকে জানান, দলের নীতি-নির্ধারকদের পক্ষ থেকে আপাতত সংসদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে বিএনপির সংসদীয় দলের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। এর আগে দলটির পক্ষ থেকে একাধিকবার সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হয়। চলতি সংসদের ১১টি অধিবেশনের মধ্যে দ্বিতীয়, তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ অধিবেশ বর্জন করে বিরোধী দল। টানা ৭৪ দিন সংসদ বর্জনের পর গত বছরের ১৫ই মার্চ বিএনপি দু’দিনের জন্য সংসদে ফিরেছিল। ২৪শে মার্চের পর থেকে আবার তারা সংসদ বর্জন করে। এরপর বিরোধী দল আর সংসদে ফেরেনি। এদিকে বিরোধীদলীয় এমপিদের সামনে সংসদ সদস্য পদ টিকিয়ে রাখতে আরও ৩৭টি কার্যদিবস রয়েছে। এরই মধ্যে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ একাধিক সংসদ সদস্যের টানা অনুপস্থিতি ৫৩ দিন পার হয়েছে। ফলে এবারের শীতকালীন অধিবেশন ৩৭ কার্যদিবস চললেই সদস্যপদ হারানোর মতো ৯০ দিনের টানা অনুপস্থিতির রেকর্ড হয়ে যাবে। সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী টানা ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্য পদ বাতিলের বিধান রয়েছে। সংসদ বর্জন প্রসঙ্গে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিরোধী দল সব সময় সংসদে যেতে প্রস্তুত। তবে সরকারি দল সংসদের পরিবেশ তৈরি করছে না। চাপ বা কৌশলের কাছে আত্মসমর্পণ করে বিএনপি সংসদে যাওয়ার মত দল নয়। বরং আমাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করলেই বিষয়টি আরও ফলপ্রসূ হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলকে সংসদে ফেরাতে হলে সরকারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার প্রমাণ রাখতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে গিয়ে তার আন্তরিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। এখন সরকারকে দেখাতে হবে তারা কতটুকু আন্তরিক। এ সময় তিনি স্পিকার এডভোকেট আবদুল হামিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, স্পিকার নিজেও অসহায়। কার অঙুলি নির্দেশে সংসদ পরিচালিত হচ্ছে তা কেউ জানে না। এসব দূর করে সরকারি দল আগে পরিবেশ তৈরি করুক তারপর সংসদে যোগ দেয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। সরকার দলীয় চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ বলেন, সাধারণত শীতকালীন অধিবেশন লম্বা হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কারণ, নতুন বছরের শুরুতে সংসদে প্রেসিডেন্ট ভাষণ দিয়ে থাকেন। ওই ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। তাই অধিবেশনটিকে অনেকদিন পর্যন্ত টেনে নেয়া হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা সব সময় চাই বিরোধী দল সংসদে যোগ দিক। কারণ, জনগণ তাদের নির্বাচিত করেছে সংসদে এসে কথা বলার জন্য। অথচ বিরোধী দল উল্টোটি করছে।
২৭ কার্যদিবসের অধিবেশন
এদিকে চলতি অধিবেশন ২৭ কার্যদিবস করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সংসদের কার্য উপদেষ্টা কমিটির ১৬তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রয়োজনে এ সময়সীমা বাড়ানো ও কমানোর ব্যাপারে স্পিকারকে দায়িত্ব দেয় কমিটি। কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতিদিন অধিবেশন শুরু হবে বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে। শেষ হবে রাত সাড়ে আটটায়। এছাড়া প্রেসিডেন্টের ভাষণ সম্পর্কে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে ৪০ ঘণ্টা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, চিফ হুইপ মো. আবদুস শহীদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, তোফায়েল আহমেদ, মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, আলহাজ এডভোকেট মো. রহমত আলী, রাশেদ খান মেনন এবং আবদুল মতিন খসরু সভায় অংশ নেন। বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া এ কিমটির সদস্য হলেও তিনি বরাবরের মতো গতকালও অনুপস্থিত ছিলেন। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন।
অধিবেশন মুলতবি হবে দুইবার
এদিকে আজ সংসদ অধিবেশন দুইবার মুলতবি হবে। সংসদীয় ইতিহাসে একইদিনে ২বার মুলতবির ঘটনা বেশ বিরল। বিধি অনুযায়ী বছরের শুরুতে প্রেসিডেন্টের ভাষণের পর অধিবেশন মুলতবি করা হয়। আবার চলতি সংসদের কোন এমপির মৃত্যু হলে তার ওপর আনা শোক প্রস্তাব শেষে মুলতবি করা হয়। সমপ্রতি সরকারদলীয় এমপি আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হলে আগামী অধিবেশনে দুই ইস্যু একই দিনে পড়েছে। সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, প্রথমে শোক প্রস্তাব আনা হবে। এরপর ৩০ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করা হবে। পরে আবার অধিবেশন শুরু হলে প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান তার উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন। এরপর ২য় বারের মত মুলতবি করা হবে অধিবেশন।
No comments