শেখ জামাল ৩: ১ বিজেএমসি-শীতে জামালের বসন্ত উৎসব
গোটা কুড়ি বাস ভরে সমর্থক এনেছে শেখ জামাল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকের অনেকটা অংশ হলুদ হয়ে থাকল। বসন্তের প্রতীক হলুদ। সেটি রাঙিয়ে দিল শেখ জামাল ফুটবল দলকে। প্রথমবার ফেডারেশন কাপ ঘরে তোলার স্বপ্নপূরণ। হলুদের আবাহন এই শীতে যেন বসন্তের উৎসবে ভাসাল আমিনুলের দলকে।
আবাহনী-মোহামেডানবিহীন ফাইনাল। নেই মুক্তিযোদ্ধাও। ফুটবলে দর্শক-খরার দুর্দিনে কালকের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বেশ জমজমাট। ১৯৮৩ সালের পর ফুটবলে ফেরা বিজেএমসিকে সমর্থন দিতে উপস্থিত কয়েক হাজার লোক। মৌসুমের প্রথম ফাইনালটা ফাইনালের আবহ ধরে রাখল ষোলোআনাই।
২৪তম ফেডারেশন কাপে রোল অব অনারে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন। বিজেএমসি জিতলেও তা-ই হতো। ম্যাচের ধারা অনুযায়ী বিজেএমসিরই জেতা উচিত ছিল। তা হয়নি বলেই দীর্ঘশ্বাসই ঝরল ৬০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে থেকে দারুণ খেলা আলফাজের। হতাশ চোখে দেখতে হলো আমিনুলদের উৎসব।
গত মৌসুমে আবির্ভাবেই শেখ জামাল বাংলাদেশ লিগ জিতেছিল। কিন্তু পাতানো খেলার অভিযোগে জরিমানা দিতে হওয়ায় একটা কলঙ্ক গায়ে লেগে যায়। কালকের পড়ন্ত বিকেলে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়—মাঠের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের স্বস্তিও যেন পেয়েছে জামাল।
কৌশল আর ট্যাকটিকসেই শেষ হাসি জামালের। শেষ দিকে বিজেএমসির রক্ষণ থেকে দীর্ঘদেহী ইকাঙ্গা উঠে গেলেন ওপরে। তাঁকে আটকাতে জামাল নামিয়ে দিয়েছে লম্বা ডিফেন্ডার ভাসানীকে। প্রাণপণে গোল ঠেকানোর লড়াইয়ে এ সময় ভাগ্যকেও পাশে পেয়েছে জামাল। বিজেএমসির সামনে একবার বাধা হয়ে দাঁড়াল ক্রসবার।
কার্ডের খড়্গে ফাইনালে খেলতে পারেনি শেখ জামালের ডিফেন্ডার রায়হান। তাঁর জয়গায় খেলা মিন্টু শেখ দলকে এনে দিয়েছেন প্রথম গোল। তবে রক্ষণটা নড়বড়েই ছিল জামালের। চার গোল করা অ্যালেনও ছিলেন না কার্ডের কারণে। দৌড় এবং বল পায়ে ভীতিকর এই নাইজেরিয়ানের অভাব ভালোই টের পেয়েছে জামাল।
শেখ জামালকে একটু ক্লান্তও লাগছিল। বিরতির সময় কোচ সাইফুল বারী তাই খেলোয়াড়দের বলেছিলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে বেশি দৌড়াতে না পারলে ম্যাচ জিততে পারবে না।’ কোচের নির্দেশ পালন করে ফলও এল। ৫৫ ও ৫৯ মিনিটে দুই গোল—হঠাৎই ম্যাচটা শেখ জামালের হাতে!
বিজেএমসির বাঙ্গুরা, রশিদরা দ্রুতগতির খেলোয়াড়। এই খেলোয়াড়দের বোঝাপড়ায় মাঝখানে জায়গা পাচ্ছিল না জামাল। অন্য ম্যাচগুলোয় জামালের বল পজেশন ভালো থাকলেও এদিন এই দিকটায় তাঁরা পিছিয়ে।
বিজেএমসি প্রথম গোলটা খেল ক্রস থেকে। ফেমীর ক্রসে বিজেএমসির এক ডিফেন্ডারের গায়ে বল, রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে পারেনি। মিন্টু শেখের ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ। পরপরই প্রতি আক্রমণে ১: ১ অবস্থায় ঠান্ডা মাথায় আলতো টোকায় কেস্তার গোল (২-০)। ৭৩ মিনিটে টুর্নামেন্ট-সেরা ইকাঙ্গার দারুণ ভলিতে ২-১। বাড়তি সময়ে সবুজের গোলে ৩-১।
বিজেএমসির কোচ জাকারিয়া বাবু ভাগ্যকে দুষলেন, ‘দল খুব ভালো খেলেছে। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না।’ শেখ জামালের অধিনায়ক আমিনুল ভুললেন পুরোনো যন্ত্রণা, ‘গত ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর কাছে ৫-৩ গোলে হারের দুঃখ ভুললাম।’ ততক্ষণে শেখ জামাল খেলোয়াড়দের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে দিয়েছেন ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের। শিল্পী বেবি নাজনীন, রিজিয়া পারভীনসহ আরও অনেকেই তখন ওই উৎসবে (খেলা দেখেছেন শেখ জামালের ক্রিকেট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও)।
আর এতেই বেসুরো হয়ে বাজল একটা ঘোষণা। অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে সেরা গোলদাতার (৪ গোল) পুরস্কার যৌথভাবে নিলেন চার আফ্রিকান অ্যালেন (জামাল), রশিদ (বিজেএমসি), লাকি ডিভাইন (রহমতগঞ্জ) ও এমাকো ( শেখ রাসেল)। মৌসুমের শুরুতেই অদৃশ্য স্থানীয় স্ট্রাইকাররা!
শেখ জামাল: আমিনুল, মিন্টু শেখ, ইউসুফ, ইউসেফ ইশা, মিশু, কমল (সবুজ), শরিফ (সোহেল), রাজু, ফেমী (ভাসানী), কেস্তার, থমাস।
বিজেএমসি: হিমেল, শুভ্র, আশরাফুল, সাইফুল (আবদুল্লাহ পারভেজ), বাইবেক, জনি, ইকাঙ্গা, আবুল, রশিদ, আলফাজ, (রনি) বাঙ্গুরা।
২৪তম ফেডারেশন কাপে রোল অব অনারে নতুন এক চ্যাম্পিয়ন। বিজেএমসি জিতলেও তা-ই হতো। ম্যাচের ধারা অনুযায়ী বিজেএমসিরই জেতা উচিত ছিল। তা হয়নি বলেই দীর্ঘশ্বাসই ঝরল ৬০ মিনিট পর্যন্ত মাঠে থেকে দারুণ খেলা আলফাজের। হতাশ চোখে দেখতে হলো আমিনুলদের উৎসব।
গত মৌসুমে আবির্ভাবেই শেখ জামাল বাংলাদেশ লিগ জিতেছিল। কিন্তু পাতানো খেলার অভিযোগে জরিমানা দিতে হওয়ায় একটা কলঙ্ক গায়ে লেগে যায়। কালকের পড়ন্ত বিকেলে মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়—মাঠের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের স্বস্তিও যেন পেয়েছে জামাল।
কৌশল আর ট্যাকটিকসেই শেষ হাসি জামালের। শেষ দিকে বিজেএমসির রক্ষণ থেকে দীর্ঘদেহী ইকাঙ্গা উঠে গেলেন ওপরে। তাঁকে আটকাতে জামাল নামিয়ে দিয়েছে লম্বা ডিফেন্ডার ভাসানীকে। প্রাণপণে গোল ঠেকানোর লড়াইয়ে এ সময় ভাগ্যকেও পাশে পেয়েছে জামাল। বিজেএমসির সামনে একবার বাধা হয়ে দাঁড়াল ক্রসবার।
কার্ডের খড়্গে ফাইনালে খেলতে পারেনি শেখ জামালের ডিফেন্ডার রায়হান। তাঁর জয়গায় খেলা মিন্টু শেখ দলকে এনে দিয়েছেন প্রথম গোল। তবে রক্ষণটা নড়বড়েই ছিল জামালের। চার গোল করা অ্যালেনও ছিলেন না কার্ডের কারণে। দৌড় এবং বল পায়ে ভীতিকর এই নাইজেরিয়ানের অভাব ভালোই টের পেয়েছে জামাল।
শেখ জামালকে একটু ক্লান্তও লাগছিল। বিরতির সময় কোচ সাইফুল বারী তাই খেলোয়াড়দের বলেছিলেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে বেশি দৌড়াতে না পারলে ম্যাচ জিততে পারবে না।’ কোচের নির্দেশ পালন করে ফলও এল। ৫৫ ও ৫৯ মিনিটে দুই গোল—হঠাৎই ম্যাচটা শেখ জামালের হাতে!
বিজেএমসির বাঙ্গুরা, রশিদরা দ্রুতগতির খেলোয়াড়। এই খেলোয়াড়দের বোঝাপড়ায় মাঝখানে জায়গা পাচ্ছিল না জামাল। অন্য ম্যাচগুলোয় জামালের বল পজেশন ভালো থাকলেও এদিন এই দিকটায় তাঁরা পিছিয়ে।
বিজেএমসি প্রথম গোলটা খেল ক্রস থেকে। ফেমীর ক্রসে বিজেএমসির এক ডিফেন্ডারের গায়ে বল, রক্ষণ বল ক্লিয়ার করতে পারেনি। মিন্টু শেখের ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ। পরপরই প্রতি আক্রমণে ১: ১ অবস্থায় ঠান্ডা মাথায় আলতো টোকায় কেস্তার গোল (২-০)। ৭৩ মিনিটে টুর্নামেন্ট-সেরা ইকাঙ্গার দারুণ ভলিতে ২-১। বাড়তি সময়ে সবুজের গোলে ৩-১।
বিজেএমসির কোচ জাকারিয়া বাবু ভাগ্যকে দুষলেন, ‘দল খুব ভালো খেলেছে। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গে ছিল না।’ শেখ জামালের অধিনায়ক আমিনুল ভুললেন পুরোনো যন্ত্রণা, ‘গত ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর কাছে ৫-৩ গোলে হারের দুঃখ ভুললাম।’ ততক্ষণে শেখ জামাল খেলোয়াড়দের জন্য ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে দিয়েছেন ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের। শিল্পী বেবি নাজনীন, রিজিয়া পারভীনসহ আরও অনেকেই তখন ওই উৎসবে (খেলা দেখেছেন শেখ জামালের ক্রিকেট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও)।
আর এতেই বেসুরো হয়ে বাজল একটা ঘোষণা। অর্থমন্ত্রীর হাত থেকে সেরা গোলদাতার (৪ গোল) পুরস্কার যৌথভাবে নিলেন চার আফ্রিকান অ্যালেন (জামাল), রশিদ (বিজেএমসি), লাকি ডিভাইন (রহমতগঞ্জ) ও এমাকো ( শেখ রাসেল)। মৌসুমের শুরুতেই অদৃশ্য স্থানীয় স্ট্রাইকাররা!
শেখ জামাল: আমিনুল, মিন্টু শেখ, ইউসুফ, ইউসেফ ইশা, মিশু, কমল (সবুজ), শরিফ (সোহেল), রাজু, ফেমী (ভাসানী), কেস্তার, থমাস।
বিজেএমসি: হিমেল, শুভ্র, আশরাফুল, সাইফুল (আবদুল্লাহ পারভেজ), বাইবেক, জনি, ইকাঙ্গা, আবুল, রশিদ, আলফাজ, (রনি) বাঙ্গুরা।
No comments