ঢাকায় রাতের বাতি-অন্ধকার ঠেকাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিন
কোনো প্রজ্ঞাপন জারির আগে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সার্বিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। যদি লক্ষ করা না হয় তাহলে প্রজ্ঞাপন বা আদেশ জারির ফল হিতে বিপরীত হয়ে দেখা দিতে পারে। তেমনি একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এক শাখা থেকে আরেক শাখায় প্রেষণে কর্মরত সবাইকে নিজ নিজ শাখায় ফিরে যেতে হবে। সে অনুযায়ী ঢাকা সিটি করপোরেশনও অফিস আদেশ জারি করেছে।
এর পর থেকে দায়িত্ব পালনকারী সুইসম্যানরা যার যার শাখায় ফিরে যেতে শুরু করে। ফলে রাস্তার বাতি জ্বালানোর লোকবল সংকট দেখা দিয়েছে এমনভাবে যে ঢাকা শহরের রাতের বাতি জ্বালানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। ডিসিসির কাঠামো অনুযায়ী ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে একটি করে মোট ১০টি সুইসম্যানের পদ রয়েছে। এর মধ্যে অবসরে যাওয়া এবং মৃত্যুবরণ করার কারণে ছয়টি পদ শূন্য রয়েছে। সাকল্যে এখন বাতি জ্বালানোর লোক রয়েছে চারজন। মাত্র চারজন ঢাকা শহরের ২২ হাজার রাস্তার বাতি জ্বালাতে শুরু করলে তা জ্বালতে জ্বালতে পরদিন পর্যন্ত সময় লাগবে। তাতে দেখা যাবে, রাতের ঢাকা অন্ধকারে এবং দিনের বেলায় রাস্তায় বাতি জ্বলছে। এমন কথাই বলা হয়েছে পত্রিকার প্রতিবেদনে।
সংগত কারণেই এ বিষয়টি ভেবে অফিস আদেশ উচিত ছিল। জরুরি ভিত্তিতে ডিসিসির এই অপরিহার্য কাজটি করার জন্য লোকবল নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ঢাকা সিটি করপোরেশনে এখন কোনো মেয়র নেই। প্রশাসক দিয়ে চলছে কাজ। অধিকন্তু এ সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফলে নিয়োগ নিয়ে তৈরি হতে পারে জটিলতা। সব ধরনের জটিলতা দ্রুত কাটিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুইসম্যান নিয়োগ দেওয়া হোক। দ্বিতীয়ত, ঢাকা শহরের ২২ হাজার বাতি জ্বালাতে লোকসংখ্যা ১০ জনও যথেষ্ট নয়, এটি কোনো হিসাব ছাড়াই বোধগম্য। জনবল কাঠামোতে পরিবর্তন এনে সুইসম্যান পদে আরো অধিক লোক নেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই মহানগরে এখন রাতভর রাস্তায় গাড়ি চলাচল করে। বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় সারা রাত লোকজনের যাতায়াত থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নির্ভর করার মতো অবস্থায় পৌঁছেনি। ছিনতাই, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সাধারণত অন্ধকারেই সুযোগ গ্রহণ করে সাধারণ জনগণের সর্বনাশ ডেকে আনে। এ বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে। মোদ্দা কথা, প্রায় দেড় কোটি মানুষের এই শহর রাতে আলোকিত রাখতে কর্তৃপক্ষকে যেকোনো জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
সংগত কারণেই এ বিষয়টি ভেবে অফিস আদেশ উচিত ছিল। জরুরি ভিত্তিতে ডিসিসির এই অপরিহার্য কাজটি করার জন্য লোকবল নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। উল্লেখ্য, ঢাকা সিটি করপোরেশনে এখন কোনো মেয়র নেই। প্রশাসক দিয়ে চলছে কাজ। অধিকন্তু এ সিটি করপোরেশনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ফলে নিয়োগ নিয়ে তৈরি হতে পারে জটিলতা। সব ধরনের জটিলতা দ্রুত কাটিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুইসম্যান নিয়োগ দেওয়া হোক। দ্বিতীয়ত, ঢাকা শহরের ২২ হাজার বাতি জ্বালাতে লোকসংখ্যা ১০ জনও যথেষ্ট নয়, এটি কোনো হিসাব ছাড়াই বোধগম্য। জনবল কাঠামোতে পরিবর্তন এনে সুইসম্যান পদে আরো অধিক লোক নেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এই মহানগরে এখন রাতভর রাস্তায় গাড়ি চলাচল করে। বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় সারা রাত লোকজনের যাতায়াত থাকে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নির্ভর করার মতো অবস্থায় পৌঁছেনি। ছিনতাই, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সাধারণত অন্ধকারেই সুযোগ গ্রহণ করে সাধারণ জনগণের সর্বনাশ ডেকে আনে। এ বিষয়টিও কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে। মোদ্দা কথা, প্রায় দেড় কোটি মানুষের এই শহর রাতে আলোকিত রাখতে কর্তৃপক্ষকে যেকোনো জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে।
No comments