এবার জলাধারের মুখ বন্ধ করে ইটভাটা
জলাধারের মুখ বন্ধ করে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের নাঙ্গলভাঙা জলায় তৈরি করা হচ্ছে ইটভাটা। বালুরচর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল হাসান মজুমদার এক মাস ধরে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি ভরাট করছেন। তাই এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের বড়চর, একবালিয়া, নগরকান্দি, কদমতলী ও শশীরপাড় গ্রাম নিয়ে নাঙ্গলভাঙা জলা। এ জলার পশ্চিম পাশেই বালুতুপা-কনেশতলা সড়ক। সড়কের জলাধারের মুখে একটি সেতু রয়েছে। সেতুসংলগ্ন জলাধারের মুখ বন্ধ করে সেখানে ইটভাটা নির্মাণের জন্য মাটি ভরাটের কাজ চলছে। ফসলিজমি ও জনবসতি এলাকায় ইটভাটা নির্মাণ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে সেই জলায় ইটভাটা করে মাছের আবাসভূমি নষ্ট করা হচ্ছে। এতে আশপাশের লোকজন জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। সেতুর মুখ বন্ধ করায় ভারতীয় সীমান্তের পাহাড়ি ঢল নেমে বর্ষা মৌসুমে পানিবন্দী হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ভুক্তভোগী লোকজন।
১৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে জনৈক মাহফুজুর রহমান পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালকের কাছে ইটভাটা নির্মাণকাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। এর পরও সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
স্মারকলিপিতে মাহফুজুর রহমান উল্লেখ করেন, জনবসতি এলাকায় ইটভাটা হলে কালো ধোঁয়ার কারণে বায়ুদূষণসহ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে।
ইটভাটার স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল হাসান মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। অবস্থানগত ছাড়পত্রের আগে কোনো ধরনের ইটভাটা তৈরি হতে পারে না।’
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে ওই এলাকায় ইটভাটা তৈরির জন্য মাটি ভরাট করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরও তদন্ত করে দেখছে।’
১৯ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর পক্ষে জনৈক মাহফুজুর রহমান পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালকের কাছে ইটভাটা নির্মাণকাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। এর পরও সেখানে মাটি ভরাটের কাজ চলছে।
স্মারকলিপিতে মাহফুজুর রহমান উল্লেখ করেন, জনবসতি এলাকায় ইটভাটা হলে কালো ধোঁয়ার কারণে বায়ুদূষণসহ মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে।
ইটভাটার স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল হাসান মজুমদারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পরিবেশ অধিদপ্তর কুমিল্লার সহকারী পরিচালক শওকত আরা কলি বলেন, ‘বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব। অবস্থানগত ছাড়পত্রের আগে কোনো ধরনের ইটভাটা তৈরি হতে পারে না।’
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোনো ধরনের অনুমোদন না নিয়ে ওই এলাকায় ইটভাটা তৈরির জন্য মাটি ভরাট করা হচ্ছে। বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তরও তদন্ত করে দেখছে।’
No comments