সবচেয়ে বেশি বেকার গাজায়
হামাসনিয়ন্ত্রিত গাজায় কর্মক্ষম প্রায় অর্ধেক মানুষই বেকার। বিশ্বে বেকারত্বের হার সেখানেই সবচেয়ে বেশি। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে।
গাজায় ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধের পঞ্চম বছরে গত বছরের শেষ ছয় মাসে বেকারত্বের এ হার ছিল ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৯ সালে গাজায় একই সময় বেকারত্বের হার ছিল ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বর্তমানে গাজার জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই শরণার্থী।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় প্রকৃত মজুরি এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে গেছে। গাজার সব ধরনের পণ্য রপ্তানির ওপর অবরোধ থাকায় বেসরকারি বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে অপহরণ করার পর গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এর এক বছর পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাস গাজা থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফাতাহকে হটিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ আরও জোরদার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার বেসরকারি উদ্যোগ যখন প্রবল প্রতিবন্ধতার সম্মুখীন, তখন হামাসনিয়ন্ত্রিত সরকারি খাতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। এ সময় সরকার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।
ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র ক্রিস গানেস বলেন, ২০০৭ সাল থেকে হামাস প্রশাসন সরকারি কর্মসংস্থান এক-পঞ্চমাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, হামাস প্রশাসনকে দুর্বল করাটাই যদি অবরোধের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে সে লক্ষ্য যে ব্যর্থ হয়েছে, তা কর্মসংস্থানের হারই বলে দিচ্ছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধসহ হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই গাজায় অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের ভাষ্য, এ ধরনের পদক্ষেপ গাজার মানুষের ওপর শাস্তি প্রয়োগেরই নামান্তর।
গত বছর গাজা অভিমুখী একটি ত্রাণবাহী জাহাজের বহরে অভিযান চালায় ইসরায়েল। এ সময় তুরস্কের নয়জন কর্মীকে হত্যা করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজার ওপর অবরোধ কিছুটা শিথিল করে ইসরায়েল।
চলতি বছর গণঅভ্যুত্থানে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি গাজার সঙ্গে থাকা সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করে। মিসর তার রাফা সীমান্ত খুলে দেয়। এতে গাজার অধিবাসীরা মিসরে যাতায়াত করতে পারছে। তবে বাণিজ্যিক যোগাযোগের ওপর অবরোধ এখনো বহাল রয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগাল পালমোর বলেন, ‘আমাদের অবস্থান গাজার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বা হামাসের নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে নয়। বরং আমরা চাই, হামাস আমাদের স্বীকৃতি দিক।’ তবে ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হামাস ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
গাজায় ইসরায়েলের আরোপিত অবরোধের পঞ্চম বছরে গত বছরের শেষ ছয় মাসে বেকারত্বের এ হার ছিল ৪৫ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০৯ সালে গাজায় একই সময় বেকারত্বের হার ছিল ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বর্তমানে গাজার জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই শরণার্থী।
ইউএনআরডব্লিউএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় প্রকৃত মজুরি এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে গেছে। গাজার সব ধরনের পণ্য রপ্তানির ওপর অবরোধ থাকায় বেসরকারি বাণিজ্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
২০০৬ সালে ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতকে অপহরণ করার পর গাজার ওপর অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। এর এক বছর পর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাস গাজা থেকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ফাতাহকে হটিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর ইসরায়েল গাজার ওপর অবরোধ আরও জোরদার করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার বেসরকারি উদ্যোগ যখন প্রবল প্রতিবন্ধতার সম্মুখীন, তখন হামাসনিয়ন্ত্রিত সরকারি খাতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। এ সময় সরকার হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।
ইউএনআরডব্লিউএর মুখপাত্র ক্রিস গানেস বলেন, ২০০৭ সাল থেকে হামাস প্রশাসন সরকারি কর্মসংস্থান এক-পঞ্চমাংশ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন, হামাস প্রশাসনকে দুর্বল করাটাই যদি অবরোধের লক্ষ্য হয়ে থাকে, তবে সে লক্ষ্য যে ব্যর্থ হয়েছে, তা কর্মসংস্থানের হারই বলে দিচ্ছে।
ইসরায়েল দাবি করেছে, অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধসহ হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেই গাজায় অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের ভাষ্য, এ ধরনের পদক্ষেপ গাজার মানুষের ওপর শাস্তি প্রয়োগেরই নামান্তর।
গত বছর গাজা অভিমুখী একটি ত্রাণবাহী জাহাজের বহরে অভিযান চালায় ইসরায়েল। এ সময় তুরস্কের নয়জন কর্মীকে হত্যা করা হয়। এরপর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজার ওপর অবরোধ কিছুটা শিথিল করে ইসরায়েল।
চলতি বছর গণঅভ্যুত্থানে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশটি গাজার সঙ্গে থাকা সীমান্তে কড়াকড়ি শিথিল করে। মিসর তার রাফা সীমান্ত খুলে দেয়। এতে গাজার অধিবাসীরা মিসরে যাতায়াত করতে পারছে। তবে বাণিজ্যিক যোগাযোগের ওপর অবরোধ এখনো বহাল রয়েছে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগাল পালমোর বলেন, ‘আমাদের অবস্থান গাজার অর্থনৈতিক অগ্রগতি বা হামাসের নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে নয়। বরং আমরা চাই, হামাস আমাদের স্বীকৃতি দিক।’ তবে ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে জয়ী হামাস ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে।
No comments