গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে যৌথভাবে কাজ করেছে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তান
২০০৯ সালের গ্রীষ্মকালে মার্কিন বিশেষ বাহিনী গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে মিলে কাজ করেছে। গতকাল শনিবার পাকিস্তানের দ্য ডন পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। পত্রিকাটির দাবি, উইকিলিকসের কাছ থেকে তারা এ নথি পেয়েছে।
এর এক দিন আগে ফাঁস হওয়া আরেকটি গোপন মার্কিন কূটনৈতিক নথির বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান উপজাতীয় এলাকায় মার্কিন মানবহীন বিমান বা ড্রোন হামলাকে কেবল সমর্থনই দেননি, এ হামলা চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে এক যৌথ অভিযানে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সেনারাও অংশ নেন। প্রতিবেদনে পাকিস্তানের তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যান প্যাটারসনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এভাবে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মিলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সমন্বয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
২০০৯ সালের নভেম্বরে লেখা প্যাটারসনের ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকায় (এফএটিএ) এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
এফএটিএ জঙ্গিদের বৈশ্বিক আস্তানা হিসেবে মনে করা হয়। সেখানে একদিকে যেমন আল-কায়েদার জঙ্গিরা রয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর জঙ্গিরাও এসে শেকড় গেড়েছে। সীমান্ত পার হয়ে এসব জঙ্গি আফগানিস্তানে গিয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে থাকে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে যৌথ গোয়েন্দা-কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সেনা সদর দপ্তর সংশ্লিষ্ট ছিল। এ ব্যাপারে প্যাটারসন লেখেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও শত্রুপক্ষের অবস্থানের ব্যাপারে মার্কিন সেনাদের সহায়তা নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান।’ তারবার্তায় তিনি গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয়ে একাধিক কেন্দ্র চালু করার কথাও উল্লেখ করেন। এসব কূটনৈতিক তথ্যের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার দ্য ডন-এ মার্কিন কূটনীতির গোপন তারবার্তার যে তথ্য প্রকাশিত হয়, এতে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত পাকিস্তানি তালেবান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটির ওপর নজরদারি চালিয়ে যেতে এবং ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের তৎকালীন প্রধান অ্যাডমিরাল উইলিয়াম জে ফলনকে অনুরোধ করেন। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই তথ্যের সত্যতা নাকচ করেছে।
এর এক দিন আগে ফাঁস হওয়া আরেকটি গোপন মার্কিন কূটনৈতিক নথির বরাত দিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের প্রভাবশালী সেনাপ্রধান উপজাতীয় এলাকায় মার্কিন মানবহীন বিমান বা ড্রোন হামলাকে কেবল সমর্থনই দেননি, এ হামলা চালিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানান। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই সমর্থন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে এক যৌথ অভিযানে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ সেনারাও অংশ নেন। প্রতিবেদনে পাকিস্তানের তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যান প্যাটারসনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘এভাবে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে মিলে আমরা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও সমন্বয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
২০০৯ সালের নভেম্বরে লেখা প্যাটারসনের ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রশাসিত উপজাতীয় এলাকায় (এফএটিএ) এসব অভিযান যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল অপারেশনস ফোর্সকে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।
এফএটিএ জঙ্গিদের বৈশ্বিক আস্তানা হিসেবে মনে করা হয়। সেখানে একদিকে যেমন আল-কায়েদার জঙ্গিরা রয়েছে, আফগানিস্তানের বিভিন্ন গোষ্ঠীর জঙ্গিরাও এসে শেকড় গেড়েছে। সীমান্ত পার হয়ে এসব জঙ্গি আফগানিস্তানে গিয়ে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটোর সেনাদের ওপর হামলা চালিয়ে থাকে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে যৌথ গোয়েন্দা-কার্যক্রম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সেনা সদর দপ্তর সংশ্লিষ্ট ছিল। এ ব্যাপারে প্যাটারসন লেখেন, ‘গোয়েন্দা তথ্য, নজরদারি ও শত্রুপক্ষের অবস্থানের ব্যাপারে মার্কিন সেনাদের সহায়তা নিতে শুরু করেছে পাকিস্তান।’ তারবার্তায় তিনি গোয়েন্দা তথ্য সমন্বয়ে একাধিক কেন্দ্র চালু করার কথাও উল্লেখ করেন। এসব কূটনৈতিক তথ্যের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার দ্য ডন-এ মার্কিন কূটনীতির গোপন তারবার্তার যে তথ্য প্রকাশিত হয়, এতে উল্লেখ করা হয়, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক কায়ানি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পৃক্ত পাকিস্তানি তালেবান জঙ্গিদের শক্ত ঘাঁটির ওপর নজরদারি চালিয়ে যেতে এবং ড্রোন হামলা অব্যাহত রাখতে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের তৎকালীন প্রধান অ্যাডমিরাল উইলিয়াম জে ফলনকে অনুরোধ করেন। তবে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই তথ্যের সত্যতা নাকচ করেছে।
No comments