ঐক্যের সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন মন্ত্রীর পদত্যাগ
তিউনিসিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন ঐকমত্যের সরকার গঠনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেছেন সরকারের তিন মন্ত্রী। এ সরকারকে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটির প্রধান ট্রেড ইউনিয়ন জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিসিয়ান ওয়ার্কার্স (জিইউটিটি)। আন্দোলনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবেদিন বেন আলীকে উৎখাতে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে এ ইউনিয়ন।এদিকে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে বেন আলীর দল আরসিডির ছয় সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ করলেও ওই মন্ত্রীদের পক্ষে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানৌছি। ঘানৌছির নেতৃত্বেই নতুন এই সরকার গঠন করা হয়েছে। তাঁর দাবি, বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নের ঘটনায় ওই মন্ত্রীদের কোনো ভূমিকা ছিল না।জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিসিয়ান ওয়ার্কার্সের মুখপাত্র ইফা নাসের গতকাল মঙ্গলবার বলেন, নতুন এই সরকারকে মেনে না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনিয়ন। ইউনিয়নের এক বিশেষ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপর সরকার থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আনোয়ার বেন গুয়েদ্দৌর, আবদেল জলিল বেদাওয়ি ও হোসেন দিমাসাই। তিনজনই ইউজিটিটির সদস্য। জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিসিয়ান ওয়ার্কার্স তাদের ফরাসি ঔপনিবেশিক আমলের ইউজিটিটি নামেই বেশি পরিচিত।প্রায় এক মাসের গণবিক্ষোভের মুখে গত শুক্রবার বেন আলী দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। এরপর দেশে শান্তিশৃংখলা স্থাপন ও নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করার লক্ষ্যে গত সোমবার গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন ঐকমত্যের সরকার। সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি, বিরোধী দলের তিনজন সদস্য এবং বেন আলী সরকারের ছয় মন্ত্রী এই সরকারে স্থান পান। কিন্তু সাবেক মন্ত্রীদের স্থান পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বিক্ষোভকারীরা। গতকালও রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে তারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।তিউনিসিয়ার হিউম্যান রাইটস লিগের প্রেসিডেন্ট মাসুদ রামদানি বলেন, ‘জনগণ যা চেয়েছে, বাস্তবে তা হয়নি। দুর্নীতির প্রতিবাদে ও স্বাধীনতার দাবিতে মানুষ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে। এ ছাড়া তাদের বিক্ষোভ ছিল দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত বেন আলীর দলের শাসনের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা এখন দেখছি, ওই দলের সদস্যরা নতুন সরকারে স্থান পাচ্ছেন।’তবে প্রধানমন্ত্রী ঘানৌছি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নে বেন আলীকে সহয়তাকারীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। তবে ওই মন্ত্রীদের কোনো অপরাধ নেই। তাঁদের সরকারে রাখা হয়েছে, কেননা তাঁদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।’ তিনি কখনো নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেননি বলে দাবি করেন।প্রধানমন্ত্রী ঘানৌছি জানিয়েছেন, লন্ডন-প্রবাসী তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থী দলের নেতা রশিদ ঘানৌছিকে ক্ষমার ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরতে পারবেন না। ১৯৯১ সালে রশিদ ঘানৌছিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।এদিকে বাণিজ্য ও উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনার জন্য মিসরের শারম আল শেখ অবকাশ যাপনকেন্দ্রে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে আরব লিগের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলন। তবে বাণিজ্যিক আলোচনাকে ছাপিয়ে ওই সম্মেলনের আলোচনায় চলে আসবে তিউনিসিয়ার সংকটের বিষয়।সম্মেলনের প্রস্তুতি উপলক্ষে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সভায় কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সাবাহ বলেন, ‘আরব দেশগুলোকে আজ আনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
এরপর সরকার থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন আনোয়ার বেন গুয়েদ্দৌর, আবদেল জলিল বেদাওয়ি ও হোসেন দিমাসাই। তিনজনই ইউজিটিটির সদস্য। জেনারেল ইউনিয়ন অব তিউনিসিয়ান ওয়ার্কার্স তাদের ফরাসি ঔপনিবেশিক আমলের ইউজিটিটি নামেই বেশি পরিচিত।প্রায় এক মাসের গণবিক্ষোভের মুখে গত শুক্রবার বেন আলী দেশ ছেড়ে সৌদি আরবে আশ্রয় নেন। এরপর দেশে শান্তিশৃংখলা স্থাপন ও নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আয়োজন করার লক্ষ্যে গত সোমবার গঠন করা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন ঐকমত্যের সরকার। সুশীল সমাজের কয়েকজন প্রতিনিধি, বিরোধী দলের তিনজন সদস্য এবং বেন আলী সরকারের ছয় মন্ত্রী এই সরকারে স্থান পান। কিন্তু সাবেক মন্ত্রীদের স্থান পাওয়ার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি বিক্ষোভকারীরা। গতকালও রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে তারা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।তিউনিসিয়ার হিউম্যান রাইটস লিগের প্রেসিডেন্ট মাসুদ রামদানি বলেন, ‘জনগণ যা চেয়েছে, বাস্তবে তা হয়নি। দুর্নীতির প্রতিবাদে ও স্বাধীনতার দাবিতে মানুষ দেশজুড়ে বিক্ষোভ করেছে। এ ছাড়া তাদের বিক্ষোভ ছিল দুর্নীতিবাজ হিসেবে পরিচিত বেন আলীর দলের শাসনের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা এখন দেখছি, ওই দলের সদস্যরা নতুন সরকারে স্থান পাচ্ছেন।’তবে প্রধানমন্ত্রী ঘানৌছি বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়নে বেন আলীকে সহয়তাকারীদের অবশ্যই শাস্তি দেওয়া হবে। তবে ওই মন্ত্রীদের কোনো অপরাধ নেই। তাঁদের সরকারে রাখা হয়েছে, কেননা তাঁদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।’ তিনি কখনো নিরাপত্তা বাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেননি বলে দাবি করেন।প্রধানমন্ত্রী ঘানৌছি জানিয়েছেন, লন্ডন-প্রবাসী তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থী দলের নেতা রশিদ ঘানৌছিকে ক্ষমার ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরতে পারবেন না। ১৯৯১ সালে রশিদ ঘানৌছিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।এদিকে বাণিজ্য ও উন্নয়নের বিষয়ে আলোচনার জন্য মিসরের শারম আল শেখ অবকাশ যাপনকেন্দ্রে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে আরব লিগের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর সম্মেলন। তবে বাণিজ্যিক আলোচনাকে ছাপিয়ে ওই সম্মেলনের আলোচনায় চলে আসবে তিউনিসিয়ার সংকটের বিষয়।সম্মেলনের প্রস্তুতি উপলক্ষে গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সভায় কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-সাবাহ বলেন, ‘আরব দেশগুলোকে আজ আনাকাঙ্ক্ষিত রাজনৈতিক ঘটনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।’
No comments