ভোটের পর রাজনীতি ছাড়বেন তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী ঘানুচি
নির্বাচনের পর রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানুচি। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট জয়নুল আবেদিন বেন আলীর পতনের পর নির্বাচনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানুচি বলেন, সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সরে যাবেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখনো নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
বিক্ষোভের মুখে ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলী। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বেন আলীর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিরই সরে যাওয়া উচিত।
ঘানুচি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বেন আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। গত শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা ‘সব গণতন্ত্রবিরোধী’ আইন বাতিল করবে।
ঘানুচি বলেন, বেন আলীর অধীনে ‘অন্য সব তিউনিসীয়র মতো তিনিও আতঙ্কিত’ ছিলেন। গত ডিসেম্বরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে কমপক্ষে ৭৪ ব্যক্তি নিহত হয়।
এদিকে গত শুক্রবার নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে তিন দিনের শোক পালন শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিউনিসের কুদস মসজিদের ইমাম নিহত ব্যক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য দোয়া করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘানুচি বেন আলীর আরসিডি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সৎ লোক’ দরকার। তবে ঘানুচি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য অভিজ্ঞ রাজনীতিকের প্রয়োজন।
ইসলামপন্থীদের উত্থানের সম্ভাবনা: দীর্ঘ ২৩ বছর পর বেন আলীর পতনে তিউনিসীয়রা উৎসবে মেতে উঠলেও এ মুক্তির ওপর নতুন আশঙ্কা রেখাপাত করছে। আশঙ্কাটি হলো—ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের উত্থানের সম্ভাবনা ও মানবাধিকারের ওপর তার প্রভাব। প্রধানমন্ত্রী ঘানুচি নতুন নির্বাচনের পর রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তাঁরা কার হাতে পড়তে যাচ্ছেন—এ ব্যাপারে অনিশ্চিত সেখানকার জনগণ।
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রাচীর হিসেবে উপস্থাপন করেছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বেন আলীর সরকার। ইসলামি মৌলবাদীরা তাঁর নির্মম শাসনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল। তবে এখন ধর্মীয় দলগুলো বলছে, নতুন রাজনৈতিক পটভূমিতে তাদেরও ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে।
বেন আলীর শাসনামলে ইসলামপন্থী সংগঠন এন্নাহদাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। লন্ডনে নির্বাসিত হয়েছিলেন সংগঠনটির নেতা রশিদ ঘানুচি। সংগঠনটির সদস্যরা এখন তিউনিসের কেন্দ্রস্থলে প্রতিদিনের বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। দলটি এখন বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
হামিদা রাইদি বলেন, একটি দমনমূলক সরকারের বিনিময়ে তাঁরা অপর একটি দমনমূলক সরকার চান না। ইসলামপন্থী দলগুলো যখন রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে, তখন তারা কী করে, তা তাঁরা দেখেছেন। তিউনিসিয়ার জন্য এটা খারাপ হতে পারে, বিশেষ করে, নারীদের জন্য এটা খারাপ হবে। এদিকে এন্নাহদার কর্মকর্তা হামিদ জেবালি ইসলামপন্থীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামপন্থীদের উত্থান ঘটছে—এ কথা বলার মাধ্যমে মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে ইউরোপ ও আমেরিকার সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনগুলো। হামিদ জেবালি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তালেবান, আল-কায়েদা কিংবা আহমাদিনেজাদ নই।
টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীর্ঘদিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ ঘানুচি বলেন, সম্ভাব্য স্বল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সরে যাবেন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে এখনো নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।
বিক্ষোভের মুখে ১৪ জানুয়ারি সৌদি আরবে পালিয়ে যান বেন আলী। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, বেন আলীর সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তিরই সরে যাওয়া উচিত।
ঘানুচি ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বেন আলীর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। গত শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন। প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভা ‘সব গণতন্ত্রবিরোধী’ আইন বাতিল করবে।
ঘানুচি বলেন, বেন আলীর অধীনে ‘অন্য সব তিউনিসীয়র মতো তিনিও আতঙ্কিত’ ছিলেন। গত ডিসেম্বরে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দেশটিতে কমপক্ষে ৭৪ ব্যক্তি নিহত হয়।
এদিকে গত শুক্রবার নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে তিন দিনের শোক পালন শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, তিউনিসের কুদস মসজিদের ইমাম নিহত ব্যক্তি ও গণতন্ত্রের জন্য দোয়া করেন। প্রধানমন্ত্রী ঘানুচি বেন আলীর আরসিডি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সৎ লোক’ দরকার। তবে ঘানুচি বলেন, গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য অভিজ্ঞ রাজনীতিকের প্রয়োজন।
ইসলামপন্থীদের উত্থানের সম্ভাবনা: দীর্ঘ ২৩ বছর পর বেন আলীর পতনে তিউনিসীয়রা উৎসবে মেতে উঠলেও এ মুক্তির ওপর নতুন আশঙ্কা রেখাপাত করছে। আশঙ্কাটি হলো—ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের উত্থানের সম্ভাবনা ও মানবাধিকারের ওপর তার প্রভাব। প্রধানমন্ত্রী ঘানুচি নতুন নির্বাচনের পর রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে তাঁরা কার হাতে পড়তে যাচ্ছেন—এ ব্যাপারে অনিশ্চিত সেখানকার জনগণ।
সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে নিজেকে প্রাচীর হিসেবে উপস্থাপন করেছিল ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বেন আলীর সরকার। ইসলামি মৌলবাদীরা তাঁর নির্মম শাসনের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল। তবে এখন ধর্মীয় দলগুলো বলছে, নতুন রাজনৈতিক পটভূমিতে তাদেরও ভূমিকা রাখার সুযোগ দিতে হবে।
বেন আলীর শাসনামলে ইসলামপন্থী সংগঠন এন্নাহদাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। লন্ডনে নির্বাসিত হয়েছিলেন সংগঠনটির নেতা রশিদ ঘানুচি। সংগঠনটির সদস্যরা এখন তিউনিসের কেন্দ্রস্থলে প্রতিদিনের বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। দলটি এখন বৈধতা পাওয়ার চেষ্টা করছে।
হামিদা রাইদি বলেন, একটি দমনমূলক সরকারের বিনিময়ে তাঁরা অপর একটি দমনমূলক সরকার চান না। ইসলামপন্থী দলগুলো যখন রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে শুরু করে, তখন তারা কী করে, তা তাঁরা দেখেছেন। তিউনিসিয়ার জন্য এটা খারাপ হতে পারে, বিশেষ করে, নারীদের জন্য এটা খারাপ হবে। এদিকে এন্নাহদার কর্মকর্তা হামিদ জেবালি ইসলামপন্থীদের সম্পর্কে ভ্রান্ত ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য পশ্চিমা গণমাধ্যমকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ইসলামপন্থীদের উত্থান ঘটছে—এ কথা বলার মাধ্যমে মানুষকে আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে ইউরোপ ও আমেরিকার সংবাদপত্র এবং টেলিভিশনগুলো। হামিদ জেবালি বলেন, ‘কিন্তু আমরা তালেবান, আল-কায়েদা কিংবা আহমাদিনেজাদ নই।
No comments