মোহামেডানের হতাশার ‘দুই’
দরজার সামনে ক্ষুব্ধ সমর্থকদের দীর্ঘ সারি। মোহামেডানের খেলোয়াড়েরা তার কেবলই আগে ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়েছেন। এক সমর্থক জোর করে দরজা খুলে শুরু করল গালাগালি। টানা দুই ম্যাচে মোহামেডানের পরাজয় ‘মেনে নিতে না পেরে’ই এমন একটা দৃশ্যের জন্ম দিল ওই সমর্থক।
কিন্তু এটাই বাস্তবতা, বাংলাদেশ লিগে হ্যাটট্রিক রানার্সআপরা আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হারের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। উল্টো কাল হেরেছে ব্রাদার্সের কাছে (০-২)। এর আগে পরপর দুই পরাজয় নিয়ে সাদা-কালোরা (কাল অবশ্য খেলেছে সবুজ জার্সি পরে) মাঠ ছেড়েছে কিনা, গবেষণার বিষয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন অসহায় অবস্থায় মোহামেডানকে কেউ দেখেনি। খর্বশক্তির দলের পক্ষে মোহামেডানের চিরন্তন রূপে দেখা দেওয়াও কঠিন।
অখ্যাত তরুণদের নিয়ে গড়া হয়েছে যে দল, প্রথম তিন ম্যাচে জয়ই তাদের বড় সাফল্য বলে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু এখন আর টানা জিতে যাওয়ার দল মোহামেডান নয়, সেই সত্যটাই বেরিয়ে পড়ল। প্রথম গোল খাওয়ার ঠিক আগে স্ট্রাইকার রিদন ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে মেরে ব্রাদার্সের প্রথম জয়ের পথটা সহজ করে দিলেন। রিদনের ওই মিসই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওটা গোল হলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত।
এমনিতেই ফেডারেশন কাপে দারুণ খেলা ব্রাদার্সের সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। চার ম্যাচে তিন ড্র আর এক পরাজয় নিয়ে কাল খেলতে নামা গোপীবাগের দলটির কাছে আশীর্বাদ হয়ে এল ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার এভারটনের ফর্মে ফেরা। এই তরুণই গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। দুটি গোলেরই উৎস তিনি। এলোমেলো মোহামেডান রক্ষণ গোল করাতে সাহায্য করেছে এভারটনকে।
প্রথম গোলটা করিয়েছেন স্বদেশি ড্যানিলোকে দিয়ে। ৫০ মিনিটে এভারটনের মাপা ফ্রি-কিক ড্যানিলোর হেডে মোহামেডানের জালে। বাংলাদেশ লিগে কালই প্রথম খেলতে নামা মোহামেডানের ঘানাইয়ান গোলরক্ষক মোহাম্মেদ আল হাসান বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি। ৮৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে এভারটনের বক্সের ফেলা বল গড়ানো শটে জালে পাঠান মাত্রই বদলি হিসেবে মাঠে নামা তরু।
এতেই বৃথা হয়ে গেল মোহামেডানের সব লড়াই। নাম ছাড়া মোহামেডানের খেলায় তেমন ধার ছিল না। জয়ের জন্য খুনে মানসিকতা না থাকলে একটা দল জেতেই বা কী করে! এমেকার মতো স্ট্রাইকারকে অনায়াসে আটকে ফেলেছেন ইউসুফের মতো ডিফেন্ডার। তিনটি পাস ঠিকভাবে খেলতে পারেনি মোহামেডান। অভাব ছিল দলীয় সমন্বয়ের।
মোহামেডান কোচ শফিকুল ইসলাম আর কী বলবেন, গোল মিসকেই দায়ী করলেন পরাজয়ের কারণ হিসেবে, ‘সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি আমরা। প্রতিপক্ষ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিতে গেছে।’ ব্রাদার্স কোচ ওয়াসিম ইকবাল বললেন, ‘প্রয়োজনীয় এই জয়ে দলীয় সংহতি বাড়বে এবং আশা করি, সামনের দিকে জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে আমাদের।’
পাঁচ ম্যাচে মোহামেডানের পয়েন্ট থাকল ৯-ই। ব্রাদার্সের ৬। আবাহনীর ১০। এক ম্যাচ কম খেলে শেখ রাসলের ১০, মুক্তিযোদ্ধা ৯, শেখ জামাল ৫।
ব্রাদার্স: মিতুল, অপু, ইউসুফ, ড্যানিলো (কবির), আশরাফুল, লিটন (তপু), ইমরোজ, আজুবুজু, ফয়সাল (তরু), এভারটন, রিচার্ড।
মোহামেডান: মোহাম্মেদ, আরাফাত রনি, লিটন, আমানি, শরিফ, আনোয়ার (রনি ইসলাম), রিদন (শরিফুল), ইসমাইল, ইয়াসিন (সোহেল), রমজান, এমেকা।
কিন্তু এটাই বাস্তবতা, বাংলাদেশ লিগে হ্যাটট্রিক রানার্সআপরা আগের ম্যাচে রহমতগঞ্জের কাছে হারের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। উল্টো কাল হেরেছে ব্রাদার্সের কাছে (০-২)। এর আগে পরপর দুই পরাজয় নিয়ে সাদা-কালোরা (কাল অবশ্য খেলেছে সবুজ জার্সি পরে) মাঠ ছেড়েছে কিনা, গবেষণার বিষয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন অসহায় অবস্থায় মোহামেডানকে কেউ দেখেনি। খর্বশক্তির দলের পক্ষে মোহামেডানের চিরন্তন রূপে দেখা দেওয়াও কঠিন।
অখ্যাত তরুণদের নিয়ে গড়া হয়েছে যে দল, প্রথম তিন ম্যাচে জয়ই তাদের বড় সাফল্য বলে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু এখন আর টানা জিতে যাওয়ার দল মোহামেডান নয়, সেই সত্যটাই বেরিয়ে পড়ল। প্রথম গোল খাওয়ার ঠিক আগে স্ট্রাইকার রিদন ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বাইরে মেরে ব্রাদার্সের প্রথম জয়ের পথটা সহজ করে দিলেন। রিদনের ওই মিসই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওটা গোল হলে গল্পটা অন্য রকমও হতে পারত।
এমনিতেই ফেডারেশন কাপে দারুণ খেলা ব্রাদার্সের সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। চার ম্যাচে তিন ড্র আর এক পরাজয় নিয়ে কাল খেলতে নামা গোপীবাগের দলটির কাছে আশীর্বাদ হয়ে এল ব্রাজিলিয়ান প্লে-মেকার এভারটনের ফর্মে ফেরা। এই তরুণই গড়ে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। দুটি গোলেরই উৎস তিনি। এলোমেলো মোহামেডান রক্ষণ গোল করাতে সাহায্য করেছে এভারটনকে।
প্রথম গোলটা করিয়েছেন স্বদেশি ড্যানিলোকে দিয়ে। ৫০ মিনিটে এভারটনের মাপা ফ্রি-কিক ড্যানিলোর হেডে মোহামেডানের জালে। বাংলাদেশ লিগে কালই প্রথম খেলতে নামা মোহামেডানের ঘানাইয়ান গোলরক্ষক মোহাম্মেদ আল হাসান বাঁ দিকে ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি। ৮৭ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে এভারটনের বক্সের ফেলা বল গড়ানো শটে জালে পাঠান মাত্রই বদলি হিসেবে মাঠে নামা তরু।
এতেই বৃথা হয়ে গেল মোহামেডানের সব লড়াই। নাম ছাড়া মোহামেডানের খেলায় তেমন ধার ছিল না। জয়ের জন্য খুনে মানসিকতা না থাকলে একটা দল জেতেই বা কী করে! এমেকার মতো স্ট্রাইকারকে অনায়াসে আটকে ফেলেছেন ইউসুফের মতো ডিফেন্ডার। তিনটি পাস ঠিকভাবে খেলতে পারেনি মোহামেডান। অভাব ছিল দলীয় সমন্বয়ের।
মোহামেডান কোচ শফিকুল ইসলাম আর কী বলবেন, গোল মিসকেই দায়ী করলেন পরাজয়ের কারণ হিসেবে, ‘সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি আমরা। প্রতিপক্ষ সুযোগ কাজে লাগিয়ে জিতে গেছে।’ ব্রাদার্স কোচ ওয়াসিম ইকবাল বললেন, ‘প্রয়োজনীয় এই জয়ে দলীয় সংহতি বাড়বে এবং আশা করি, সামনের দিকে জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে আমাদের।’
পাঁচ ম্যাচে মোহামেডানের পয়েন্ট থাকল ৯-ই। ব্রাদার্সের ৬। আবাহনীর ১০। এক ম্যাচ কম খেলে শেখ রাসলের ১০, মুক্তিযোদ্ধা ৯, শেখ জামাল ৫।
ব্রাদার্স: মিতুল, অপু, ইউসুফ, ড্যানিলো (কবির), আশরাফুল, লিটন (তপু), ইমরোজ, আজুবুজু, ফয়সাল (তরু), এভারটন, রিচার্ড।
মোহামেডান: মোহাম্মেদ, আরাফাত রনি, লিটন, আমানি, শরিফ, আনোয়ার (রনি ইসলাম), রিদন (শরিফুল), ইসমাইল, ইয়াসিন (সোহেল), রমজান, এমেকা।
No comments