ইজতেমা বিশ্বমানবতার কল্যাণ ও শান্তির প্রেরণা -আখেরি মোনাজাত
আখেরি
মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শুরু থেকে
বিশ্ব ইজতেমা একবারেই অনুষ্ঠিত হলেও এবার ৪৫তম ইজতেমা প্রথমবারের মতো দুই
পর্বে হচ্ছে। প্রথম পর্বে ঢাকার অদূরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে দেশের ৩৩
জেলার মুসল্লিদের সঙ্গে বিদেশ থেকে আসা মুসল্লিসহ কয়েক লাখ ধর্মপ্রাণ
মুসলমান সমবেত হয়েছেন। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া ইজতেমার প্রথম
দিনে লাখো মুসল্লি সমবেত হন ইজতেমা ময়দানে। পবিত্র হজের পর মুসলিম
সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাবেশ এই ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতে বিশ্বের সব
মুসলমানের শান্তি, সমৃদ্ধি ও ইসলামধর্মের মূল আদর্শ বজায় রাখতে মহান
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন সমবেত মুসল্লিরা।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও আগে থেকেই সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। প্রথম দিন ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন জুমার নামাজ পড়তে সেখানে আশপাশ এলাকা থেকে বহু মুসল্লি যোগ দেওয়ায় ইজতেমা প্রাঙ্গণ কানায় কানায় ভরে গেলে মূল ময়দান ছাড়িয়ে আশপাশ এলাকায় বিস্তৃত হয় জামাত। নামাজ শেষে তাঁদের অনেকে ফিরে এলেও আজ আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে সারা দেশ থেকে আরও অনেকে এই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে ২৮ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। বাকি জেলাগুলোর মুসল্লিরা এ পর্বে ইজতেমায় সমবেত হবেন।
১৯৬৬ সালে তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে এই সমাবেশে দেশ-বিদেশের মুসলমানদের অংশগ্রহণ এবং এর আকার বৃদ্ধি ইসলামের বিশ্বভ্রাতৃত্বের অনন্য দিকটি তুলে ধরছে। এবার ইজতেমার প্রথম দিনে ৯৫টি দেশ থেকে যোগ দিয়েছেন নয় হাজার মুসল্লি। অন্যবারের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক বেশি। বোঝা যায়, বিশ্বব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ইজতেমার গুরুত্ব বাড়ছে। অনেক আলেমও এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। তাঁদের বয়ানে তাঁরা ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী ও মানবিক আদর্শের দিকগুলো তুলে ধরেছেন।
তুরাগ নদের তীরে এই ইজতেমায় প্রতিবছর এত মানুষের সমাবেশ ঘটে যে স্বাভাবিক কারণেই সমাবেশস্থলে মুসল্লিদের কিছু সমস্যা ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এবারও এ ধরনের কিছু সমস্যা লক্ষ করা গেছে। পর্যাপ্ত খাওয়ার পানি, পয়োনিষ্কাশন বা খাবারের আয়োজনের ক্ষেত্রে সমস্যা লক্ষ করা গেছে। ভবিষ্যতে এর আয়তন আরও বাড়লেও মুসল্লিরা যাতে খুব একটা কষ্টে না পড়েন, সে জন্য ইজতেমার ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো মুসলমান সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশ্বমানবতার শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণ কামনা করবেন এবং অন্তরের পরিশুদ্ধি লাভের জন্য প্রার্থনা করবেন। বিশ্ব ইজতেমার এই সমাবেশ মানবতার শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রেরণা জোগাবে সেটাই প্রত্যাশা।
শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও আগে থেকেই সেখানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে। প্রথম দিন ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিন জুমার নামাজ পড়তে সেখানে আশপাশ এলাকা থেকে বহু মুসল্লি যোগ দেওয়ায় ইজতেমা প্রাঙ্গণ কানায় কানায় ভরে গেলে মূল ময়দান ছাড়িয়ে আশপাশ এলাকায় বিস্তৃত হয় জামাত। নামাজ শেষে তাঁদের অনেকে ফিরে এলেও আজ আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে সারা দেশ থেকে আরও অনেকে এই সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পর চার দিন বিরতি দিয়ে ২৮ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। বাকি জেলাগুলোর মুসল্লিরা এ পর্বে ইজতেমায় সমবেত হবেন।
১৯৬৬ সালে তুরাগ নদের তীরে ইজতেমা স্থানান্তরিত হওয়ার পর থেকে পর্যায়ক্রমে এই সমাবেশে দেশ-বিদেশের মুসলমানদের অংশগ্রহণ এবং এর আকার বৃদ্ধি ইসলামের বিশ্বভ্রাতৃত্বের অনন্য দিকটি তুলে ধরছে। এবার ইজতেমার প্রথম দিনে ৯৫টি দেশ থেকে যোগ দিয়েছেন নয় হাজার মুসল্লি। অন্যবারের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক বেশি। বোঝা যায়, বিশ্বব্যাপী ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে ইজতেমার গুরুত্ব বাড়ছে। অনেক আলেমও এসেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। তাঁদের বয়ানে তাঁরা ইসলামের প্রকৃত মর্মবাণী ও মানবিক আদর্শের দিকগুলো তুলে ধরেছেন।
তুরাগ নদের তীরে এই ইজতেমায় প্রতিবছর এত মানুষের সমাবেশ ঘটে যে স্বাভাবিক কারণেই সমাবেশস্থলে মুসল্লিদের কিছু সমস্যা ও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়। এবারও এ ধরনের কিছু সমস্যা লক্ষ করা গেছে। পর্যাপ্ত খাওয়ার পানি, পয়োনিষ্কাশন বা খাবারের আয়োজনের ক্ষেত্রে সমস্যা লক্ষ করা গেছে। ভবিষ্যতে এর আয়তন আরও বাড়লেও মুসল্লিরা যাতে খুব একটা কষ্টে না পড়েন, সে জন্য ইজতেমার ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার দিকে নজর দেওয়া উচিত।
আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো মুসলমান সৃষ্টিকর্তার কাছে বিশ্বমানবতার শান্তি, সম্প্রীতি ও কল্যাণ কামনা করবেন এবং অন্তরের পরিশুদ্ধি লাভের জন্য প্রার্থনা করবেন। বিশ্ব ইজতেমার এই সমাবেশ মানবতার শান্তি ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রেরণা জোগাবে সেটাই প্রত্যাশা।
No comments