এনএসজির সদস্যপদে ভারতকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের
নিউক্লিয়ার সাপ্লাইয়ার্স গ্রুপের (এনএসজি) সদস্যপদ পেতে ভারতকে সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান বলেছে, ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্ত ‘দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপদ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে’।
জানা গেছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এনএসজির সদস্যপদ পেতে ভারতের প্রতি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কনফারেন্স অন ডিজআর্মামেন্টে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি জামির আকরাম চলতি সপ্তাহে বলেন, এনএসজির সদস্যপদ পেলে ভারতের পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি, পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো ও সরবরাহ করার সামর্থ্য বেড়ে যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানও তার অস্ত্র বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। যা দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান নিরাপদ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
আকরাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্টের সদস্যপদ পেতে ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনেরও বিরোধিতা করে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ভারতের সঙ্গে তুলনা করে পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ২০০৯ সালে নয়াদিল্লির তৈরি পারমাণবিক সাবমেরিনের ব্যাপারেও সচেতন রয়েছে।
প্রতিরক্ষা-বিষয়ক বিশ্লেষক হাসান-আসকারি রিজভি বলেন, ভারত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। তখন নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের পারমাণবিক প্রযুক্তিতে বাধার সৃষ্টি করবে—পাকিস্তান হয়তো এই ভেবে ভয় পাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত যদি সত্যিই সেই সক্ষমতা অর্জন করে, তাহলে ইসলামাবাদের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি (তা বেসামরিক ব্যবহারের জন্য হলেও) চালিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।
অন্য বিশ্লেষকদের মত, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান বিক্রম সুদ বলেন, পাকিস্তান ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির অজুহাত দেখিয়ে তার অস্ত্রের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ করতে চায়। এর মাধ্যমে দেশটি নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করারও সুযোগ খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা এক প্রকার ব্ল্যাকমেইল। এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির আওতায় থাকব। এতে অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিও অনুসরণ করা হবে।’
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
জানা গেছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এনএসজির সদস্যপদ পেতে ভারতের প্রতি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কনফারেন্স অন ডিজআর্মামেন্টে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি জামির আকরাম চলতি সপ্তাহে বলেন, এনএসজির সদস্যপদ পেলে ভারতের পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি, পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানো ও সরবরাহ করার সামর্থ্য বেড়ে যাবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানও তার অস্ত্র বাড়ানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। যা দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান নিরাপদ পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
আকরাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি ও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল পাকিস্তানের ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণবিষয়ক সংস্থা মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম, অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ ও ওয়াসেনার অ্যারেঞ্জমেন্টের সদস্যপদ পেতে ভারতের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনেরও বিরোধিতা করে পাকিস্তান। দেশটির সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব ভারতের সঙ্গে তুলনা করে পারমাণবিক ওয়ারহেডের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং ২০০৯ সালে নয়াদিল্লির তৈরি পারমাণবিক সাবমেরিনের ব্যাপারেও সচেতন রয়েছে।
প্রতিরক্ষা-বিষয়ক বিশ্লেষক হাসান-আসকারি রিজভি বলেন, ভারত বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে। তখন নয়াদিল্লি ইসলামাবাদের পারমাণবিক প্রযুক্তিতে বাধার সৃষ্টি করবে—পাকিস্তান হয়তো এই ভেবে ভয় পাচ্ছে। তিনি বলেন, ভারত যদি সত্যিই সেই সক্ষমতা অর্জন করে, তাহলে ইসলামাবাদের জন্য পারমাণবিক কর্মসূচি (তা বেসামরিক ব্যবহারের জন্য হলেও) চালিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণভাবে অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে।
অন্য বিশ্লেষকদের মত, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পারমাণবিক অস্ত্রের উৎপাদন বাড়ানোর মতো অবস্থায় নেই। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইংয়ের (র) সাবেক প্রধান বিক্রম সুদ বলেন, পাকিস্তান ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির মধ্যে বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা চুক্তির অজুহাত দেখিয়ে তার অস্ত্রের ভান্ডার আরও সমৃদ্ধ করতে চায়। এর মাধ্যমে দেশটি নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করারও সুযোগ খুঁজছে। তিনি আরও বলেন, ‘এটা এক প্রকার ব্ল্যাকমেইল। এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদ পাওয়ার ব্যাপারে আমরা আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির আওতায় থাকব। এতে অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিও অনুসরণ করা হবে।’
দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।
No comments