ভারতের সাবেক ১৬ প্রধান বিচারপতির অর্ধেকই দুর্নীতিগ্রস্ত
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের সাবেক ১৬ জন প্রধান বিচারপতির অর্ধেকই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন বলে দাবি করেছেন ভারতের সাবেক আইন ও বিচারমন্ত্রী শান্তিভূষণ। শান্তিভূষণ মোরারজি দেশাইয়ের আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা এক হলফনামায় বিশিষ্ট আইনজীবী শান্তিভূষণ জানান, সাবেক ১৬ জন প্রধান বিচারপতির মধ্যে আটজন নিশ্চিতভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। ছেলে প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলায় অংশ নিতে গিয়ে তিনি এ হলফনামা জমা দেন।
জানা গেছে, শান্তিভূষণ আটজন দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক প্রধান বিচারপতির নাম একটি সিলকরা খামে আদালতে পেশ করেন। তিনি হলফনামায় বলেছেন, দুজন সাবেক প্রধান বিচারপতি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে তাঁদের ঠিক আগের প্রধান বিচারপতিরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। তাঁদের নামও শান্তিভূষণ আট দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান বিচারপতির তালিকায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, শান্তিভূষণের আবেদন গৃহীত হলে বিচার বিভাগের একটি নোংরা চিত্র প্রকাশ্যে এসে পড়বে।
উল্লেখ্য, ৮২ বছরের এই প্রবীণ আইনজীবী ও তাঁর আইনজীবী ছেলে প্রশান্তভূষণ বহু দিন ধরেই দুর্নীতিমুক্ত বিচারব্যবস্থার দাবিতে প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার দুর্নীতি নিয়ে প্রশান্ত তেহেলকা ম্যাগাজিনে একটি নিবন্ধও লিখেছিলেন। এই নিবন্ধে তিনি প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়া ও কেজি বাল সুব্রমনিয়ম সম্পর্কে দুর্নীতির আভাস দিয়েছিলেন। সেই লেখা নিয়েই মানহানির মামলা চলছে।
শান্তিভূষণ হলফনামায় যে ১৬ জন প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা হলেন বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র, বিচারপতি কে এন সিং, বিচারপতি এম এইচ কানিয়া, বিচারপতি এল এম শর্মা, বিচারপতি এম এন ভেঙ্কটচালিয়া, বিচারপতি এ এম আহমাদি, বিচারপতি জে এস ভার্মা, বিচারপতি এম এম পুঞ্চি, বিচারপতি এ এস আনন্দ, বিচারপতি এসবি ভারুচা, বিচারপতি বি এন কিরপাল, বিচারপতি জে বি পাঠক, বিচারপতি রাজেন্দ্র বাবু, বিচারপতি আর সি লাহোটি, বিচারপতি ভি এন খারে এবং বিচারপতি ওয়াই কে সবরওয়াল। তবে এঁদের মধ্যে কোন আটজন দুর্নীতিগ্রস্ত তা গোপন খামে আদালতকে জানানো হয়েছে।
আদালতে এই তালিকা জমা দিয়ে শান্তিভূষণ বলেছেন, ‘এতে যদি আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে, তবে তা আমি মাথা পেতে নেব। আমাকে যদি জেলে যেতে হয় তাতেও আমি রাজি। আমি মনে করি দেশের মানুষকে পরিচ্ছন্ন এবং সৎ আইনব্যবস্থা দিতে গিয়ে যদি কিছু সময় জেলে কাটাতে হয়, সেটা আমার গর্বের বিষয়।’
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা এক হলফনামায় বিশিষ্ট আইনজীবী শান্তিভূষণ জানান, সাবেক ১৬ জন প্রধান বিচারপতির মধ্যে আটজন নিশ্চিতভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। ছেলে প্রশান্ত ভূষণের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলায় অংশ নিতে গিয়ে তিনি এ হলফনামা জমা দেন।
জানা গেছে, শান্তিভূষণ আটজন দুর্নীতিগ্রস্ত সাবেক প্রধান বিচারপতির নাম একটি সিলকরা খামে আদালতে পেশ করেন। তিনি হলফনামায় বলেছেন, দুজন সাবেক প্রধান বিচারপতি তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে জানিয়েছেন যে তাঁদের ঠিক আগের প্রধান বিচারপতিরা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলেন। তাঁদের নামও শান্তিভূষণ আট দুর্নীতিগ্রস্ত প্রধান বিচারপতির তালিকায় দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, শান্তিভূষণের আবেদন গৃহীত হলে বিচার বিভাগের একটি নোংরা চিত্র প্রকাশ্যে এসে পড়বে।
উল্লেখ্য, ৮২ বছরের এই প্রবীণ আইনজীবী ও তাঁর আইনজীবী ছেলে প্রশান্তভূষণ বহু দিন ধরেই দুর্নীতিমুক্ত বিচারব্যবস্থার দাবিতে প্রচারাভিযান চালিয়ে আসছেন। ভারতীয় বিচারব্যবস্থার দুর্নীতি নিয়ে প্রশান্ত তেহেলকা ম্যাগাজিনে একটি নিবন্ধও লিখেছিলেন। এই নিবন্ধে তিনি প্রধান বিচারপতি এস এইচ কাপাডিয়া ও কেজি বাল সুব্রমনিয়ম সম্পর্কে দুর্নীতির আভাস দিয়েছিলেন। সেই লেখা নিয়েই মানহানির মামলা চলছে।
শান্তিভূষণ হলফনামায় যে ১৬ জন প্রধান বিচারপতির নাম উল্লেখ করেছেন তাঁরা হলেন বিচারপতি রঙ্গনাথ মিশ্র, বিচারপতি কে এন সিং, বিচারপতি এম এইচ কানিয়া, বিচারপতি এল এম শর্মা, বিচারপতি এম এন ভেঙ্কটচালিয়া, বিচারপতি এ এম আহমাদি, বিচারপতি জে এস ভার্মা, বিচারপতি এম এম পুঞ্চি, বিচারপতি এ এস আনন্দ, বিচারপতি এসবি ভারুচা, বিচারপতি বি এন কিরপাল, বিচারপতি জে বি পাঠক, বিচারপতি রাজেন্দ্র বাবু, বিচারপতি আর সি লাহোটি, বিচারপতি ভি এন খারে এবং বিচারপতি ওয়াই কে সবরওয়াল। তবে এঁদের মধ্যে কোন আটজন দুর্নীতিগ্রস্ত তা গোপন খামে আদালতকে জানানো হয়েছে।
আদালতে এই তালিকা জমা দিয়ে শান্তিভূষণ বলেছেন, ‘এতে যদি আমার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে, তবে তা আমি মাথা পেতে নেব। আমাকে যদি জেলে যেতে হয় তাতেও আমি রাজি। আমি মনে করি দেশের মানুষকে পরিচ্ছন্ন এবং সৎ আইনব্যবস্থা দিতে গিয়ে যদি কিছু সময় জেলে কাটাতে হয়, সেটা আমার গর্বের বিষয়।’
No comments