উস্টারকে তুলে সাকিবের চোখ লন্ডনে
এ যেন নতুন এক রূপকথা। মাঠে পারফরম্যান্স ছিল না, তহবিলের অভাবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক দিতেই কষ্ট হতো। হার আর আর্থিক টানাটানির ধকল সইতে না পেরে পাঁচ বছরের বাঁধন কেটে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন বিক্রম সোলাঙ্কি।
কিন্তু এমন সংকট থেকেই ঘুরে দাঁড়াল উস্টারশায়ার। শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই জয়, একটি ড্র! শেষ ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে উঠে এল কাউন্টির প্রথম বিভাগে। আর এই রূপকথার জন্য খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে গিয়ে ক্লাবের ক্রিকেট পরিচালক স্টিভ রোডস বলছিলেন, ‘সাকিব বলছিল, সবাই এখানে এসেছে পরিশ্রম করতে ও উন্নতি করতে। কৃতিত্ব ওদের এই মানসিকতারই।’
ক্রিকইনফোয় ছাপা হওয়া ভদ্রলোকের কথাটা শুনে ফোনের ওপাশে মৃদু হাসি ছড়িয়ে পড়ল সাকিব আল হাসানের মুখে, ‘কথাটা আমি বলেছি ঠিকই; কিন্তু দলের সবাই আসলেই তাই মনে করত। এ দলটার সবার ব্যক্তিগত উন্নতি করার প্রবল লক্ষ্য ছিল। সে কারণেই আমরা মৌসুমের শেষ দিকে দল হিসেবেই দারুণ উন্নতি করেছি। এমন লড়াকু একটা দলের সঙ্গে খেলে ফেরার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম।’
না, সাকিব এখনো দেশে ফেরেননি। আগামীকাল দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। এর আগে উস্টারশায়ারের বাসায় বসে একটু ফিরে দেখতে হচ্ছে প্রথম কাউন্টি মৌসুম। ফিরে দেখতে গিয়ে চাইলে সাকিব তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেন। নিজে ব্যাটে-বলে, বিশেষ করে বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন, দলের নাটকীয় বিভাগ উন্নয়নের কারিগরদের একজন ছিলেন; তৃপ্তির ঢেকুর তিনি তুলবেন না, কে তুলবেন!
কিন্তু সাকিব সব সময়ের মতোই বিনয়ী, ‘হ্যাঁ, আমার পারফরম্যান্স নিয়ে এখানে কর্মকর্তারা, খেলোয়াড়েরা সবাই খুব আলোচনা করছে। অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা তো আমি একা করিনি। এটা আমাদের দলীয় জয়।’
যতই ‘দলীয় জয়’ বলুন, অন্যদের কৃতিত্ব দিন; সাকিব আসলেই আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছেন। সাকিব সেটা উস্টার কর্মকর্তাদের আচার-ব্যবহারেই বুঝতে পারছেন। পরশু শেষ ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে সাকিবের সঙ্গে ক্লাবটির চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সম্পর্ক শেষ করতে চাইছে না উস্টার।
রোডসও বলছিলেন, তাঁদের অর্থের যে টানাটানি, নতুন তারকা তাঁরা খুঁজতে যাবেন না। এই দল নিয়েই প্রথম বিভাগে খেলতে চান। সাকিবও বললেন, ‘ওরা চুক্তি বাড়ানোর জন্য কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে। ওরা দ্রুতই নতুন চুক্তি করতে চায়। কিন্তু আমি একটু সময় নিতে চাইছি।’
কেন? তাহলে উস্টারে খেলাটা কি উপভোগ করেননি? ‘উপভোগ না করলে আমার মতো ছেলে এই দুই-আড়াই মাস একা একা দেশের বাইরে থাকতে পারে! ৩০-৩৫ দিন হলেই আমার খারাপ লাগে। এবার সেটা লাগেনি, কারণ এখানে খুব উপভোগ করেছি’—সাকিব উস্টারের পক্ষেই বললেন।
তাহলে কেন ভাবছেন? এবার আসল কারণটা বেরিয়ে এল, ‘শহরটা ভালো, ক্লাবটাও ভালো লেগেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এখানে আমার পরিচিত বাঙালিরা তেমন নেই। লন্ডনের দিকে কোনো ক্লাব হলে খুব ভালো হতো। দেখি লন্ডনভিত্তিক কোনো ক্লাব থেকে ভালো প্রস্তাব পেলে চলে যেতে পারি।’
সে লন্ডনেই যান আর উস্টারে থাকুন; সাকিব তার মানে কাউন্টিতে মজে গেছেন। কাউন্টিতে নিয়মিতই খেলতে চান, ‘নিয়মিত তো খেলতে চাই-ই। এখন বুঝতে পারছি, এখানে আরও লম্বা সময় থাকাটাও মানিয়ে নিতে হবে। এক সতীর্থ বলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কাউন্টি খেলো। হা হা হা।’
তা-ই যদি করে ফেলেন সাকিব! ‘দূর! আগে জাতীয় দল, তারপর দুনিয়ার সবকিছু। জীবনটা কি খালি টাকা-পয়সার জন্য নাকি?’—একেবারে আদি ও অকৃত্রিম সাকিবই বেরিয়ে এলেন।
কিন্তু এমন সংকট থেকেই ঘুরে দাঁড়াল উস্টারশায়ার। শেষ চার ম্যাচের তিনটিতেই জয়, একটি ড্র! শেষ ম্যাচে সাসেক্সের বিপক্ষে নাটকীয় জয়ে উঠে এল কাউন্টির প্রথম বিভাগে। আর এই রূপকথার জন্য খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে গিয়ে ক্লাবের ক্রিকেট পরিচালক স্টিভ রোডস বলছিলেন, ‘সাকিব বলছিল, সবাই এখানে এসেছে পরিশ্রম করতে ও উন্নতি করতে। কৃতিত্ব ওদের এই মানসিকতারই।’
ক্রিকইনফোয় ছাপা হওয়া ভদ্রলোকের কথাটা শুনে ফোনের ওপাশে মৃদু হাসি ছড়িয়ে পড়ল সাকিব আল হাসানের মুখে, ‘কথাটা আমি বলেছি ঠিকই; কিন্তু দলের সবাই আসলেই তাই মনে করত। এ দলটার সবার ব্যক্তিগত উন্নতি করার প্রবল লক্ষ্য ছিল। সে কারণেই আমরা মৌসুমের শেষ দিকে দল হিসেবেই দারুণ উন্নতি করেছি। এমন লড়াকু একটা দলের সঙ্গে খেলে ফেরার অভিজ্ঞতাই অন্যরকম।’
না, সাকিব এখনো দেশে ফেরেননি। আগামীকাল দেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন। এর আগে উস্টারশায়ারের বাসায় বসে একটু ফিরে দেখতে হচ্ছে প্রথম কাউন্টি মৌসুম। ফিরে দেখতে গিয়ে চাইলে সাকিব তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে পারেন। নিজে ব্যাটে-বলে, বিশেষ করে বল হাতে দারুণ সময় কাটিয়েছেন, দলের নাটকীয় বিভাগ উন্নয়নের কারিগরদের একজন ছিলেন; তৃপ্তির ঢেকুর তিনি তুলবেন না, কে তুলবেন!
কিন্তু সাকিব সব সময়ের মতোই বিনয়ী, ‘হ্যাঁ, আমার পারফরম্যান্স নিয়ে এখানে কর্মকর্তারা, খেলোয়াড়েরা সবাই খুব আলোচনা করছে। অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটা তো আমি একা করিনি। এটা আমাদের দলীয় জয়।’
যতই ‘দলীয় জয়’ বলুন, অন্যদের কৃতিত্ব দিন; সাকিব আসলেই আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছেন। সাকিব সেটা উস্টার কর্মকর্তাদের আচার-ব্যবহারেই বুঝতে পারছেন। পরশু শেষ ম্যাচের সঙ্গে সঙ্গে সাকিবের সঙ্গে ক্লাবটির চুক্তি শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু সম্পর্ক শেষ করতে চাইছে না উস্টার।
রোডসও বলছিলেন, তাঁদের অর্থের যে টানাটানি, নতুন তারকা তাঁরা খুঁজতে যাবেন না। এই দল নিয়েই প্রথম বিভাগে খেলতে চান। সাকিবও বললেন, ‘ওরা চুক্তি বাড়ানোর জন্য কথাবার্তা শুরু করে দিয়েছে। ওরা দ্রুতই নতুন চুক্তি করতে চায়। কিন্তু আমি একটু সময় নিতে চাইছি।’
কেন? তাহলে উস্টারে খেলাটা কি উপভোগ করেননি? ‘উপভোগ না করলে আমার মতো ছেলে এই দুই-আড়াই মাস একা একা দেশের বাইরে থাকতে পারে! ৩০-৩৫ দিন হলেই আমার খারাপ লাগে। এবার সেটা লাগেনি, কারণ এখানে খুব উপভোগ করেছি’—সাকিব উস্টারের পক্ষেই বললেন।
তাহলে কেন ভাবছেন? এবার আসল কারণটা বেরিয়ে এল, ‘শহরটা ভালো, ক্লাবটাও ভালো লেগেছে। কিন্তু সমস্যা হলো, এখানে আমার পরিচিত বাঙালিরা তেমন নেই। লন্ডনের দিকে কোনো ক্লাব হলে খুব ভালো হতো। দেখি লন্ডনভিত্তিক কোনো ক্লাব থেকে ভালো প্রস্তাব পেলে চলে যেতে পারি।’
সে লন্ডনেই যান আর উস্টারে থাকুন; সাকিব তার মানে কাউন্টিতে মজে গেছেন। কাউন্টিতে নিয়মিতই খেলতে চান, ‘নিয়মিত তো খেলতে চাই-ই। এখন বুঝতে পারছি, এখানে আরও লম্বা সময় থাকাটাও মানিয়ে নিতে হবে। এক সতীর্থ বলে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে কাউন্টি খেলো। হা হা হা।’
তা-ই যদি করে ফেলেন সাকিব! ‘দূর! আগে জাতীয় দল, তারপর দুনিয়ার সবকিছু। জীবনটা কি খালি টাকা-পয়সার জন্য নাকি?’—একেবারে আদি ও অকৃত্রিম সাকিবই বেরিয়ে এলেন।
No comments