ফিরছেন নতুন এক শাহরিয়ার
আইসিএল থেকে ফেরার পর এ বছর জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে দেশের মাটিতে একটা টেস্ট খেলেছেন। তবে জাতীয় দলের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডেটা তিনি খেলেছেন আইসিএলে যাওয়ারও আগে, ২০০৮-এর ১২ জুন ভারতের বিপক্ষে ঢাকার কিটপ্লাই কাপে। শাহরিয়ার নাফীস তাই নিজেই মানছেন, এবারের ফেরাটা তাঁর জন্য নতুন।
দুই বছর অনেক সময়। আরও অনেক কিছুর মতো সময়ের স্রোত বদলে দিয়েছে শাহরিয়ারকেও। গত কয়েক দিনের অনুশীলনে বদলটা ধরতে পেরেছেন কোচ জেমি সিডন্স। আইসিএলে চলে যাওয়া শাহরিয়ারকে ‘ফর্মহীন’ ব্যাটসম্যান মনে হলেও নতুন শাহরিয়ারকে নতুন লাগছে কোচের চোখেও। ‘আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে ওর টেকনিক। আগে কিছু শট খেলতে ওর সমস্যা হতো, কোনো কোনো শট হয়তো ঠিকভাবে খেলতেই পারত না। এখন সেসব সমস্যা আর নেই’—কাল অনুশীলনের ফাঁকে বলে গেলেন সিডন্স।
নিজের ব্যাটিংয়ে নতুনত্ব উপলব্ধি করছেন শাহরিয়ারও। তবে বদলে যাওয়া এই ব্যাটিংয়ের পেছনে খুব বড় কোনো রহস্য নেই। বাংলাদেশের কোচ হওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের সিডন্স যে ‘কমন’ ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিলেন, সেই ব্যাকলিফট বদলানোটাই কাজ করেছে এর পেছনে। ‘সিডন্স কোচ হয়ে আসার পর প্রথমেই আমার ব্যাকলিফটের সমস্যার কথা বলেন। আরও অনেক ব্যাটসম্যানকেই তখন তিনি ব্যাকলিফট বদলাতে বলেছিলেন। আইসিএল থেকে ফেরার পরের সময়টায় আমি একটু একটু করে ব্যাটিংয়ে সে পরিবর্তনটা এনেছি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শ্যাডো করে করে নতুন ব্যাকলিফট প্র্যাকটিস করেছি। নতুন ব্যাকলিফটে শট খেলার জন্য আরও বেশি সময় পাচ্ছি। এটাই ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে’—বললেন শাহরিয়ার।
পরিবর্তনগুলো নির্দিষ্ট করে বললেনও জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার, ‘আমি যখন টেস্ট দলে ফিরি, কোচ তখন আমার পুল-কাট শট নিয়ে কিছু কাজ করেছেন। ব্যাকলিফট বদলানোয় পুল-কাট করাটাও আমার জন্য এখন সহজ। এবার সেন্টার উইকেটে যে বিগ হিটিং প্র্যাকটিস করলাম, তাতেও কাজে দিয়েছে পরিবর্তনটা। বেশি সময় পাওয়ায় বড় শটগুলোতে বল এখন আরও দূরে নিতে পারব আশা করি।’
শাহরিয়ারের এবারের ফেরা আরও একটা আশার মোড়কে মোড়া। দলে নিজের জায়গাটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি, ‘তামিমের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে দলে। তামিম যেহেতু নেই, ওপেনিংয়ে যেকোনো ব্যাটসম্যানেরই দায়িত্ব হবে দলকে একটা ভালো শুরু এনে দেওয়ার। আমারও সেই চেষ্টা থাকবে। চেষ্টা করব সেরা খেলা খেলে দলে নিজের অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার। পারফর্ম করার তাড়নাও আছে ভেতরে।’ লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকায় দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা ফিকেই হয়ে গিয়েছিল শাহরিয়ারের জন্য। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডের দলে ফেরায় সে স্বপ্ন আবার প্রাণ পেয়েছে। কিন্তু শাহরিয়ার বলছেন, ‘বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ এসেছে কথাটা সত্যি। তবে আমার টার্গেট ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো, এই সিরিজে ভালো খেললেই পরের সিরিজে সুযোগ পাব। ওই সিরিজে ভালো খেললে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা থাকবে।’
জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও মাঝে দেশের মাটিতে ‘এ’ দলের হয়ে সিরিজ খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে। শাহরিয়ারের আত্মবিশ্বাসের পারদ ওপরের দিকে ঠেলে দিয়েছে ওই ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই বলছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলার সুযোগটাও বেশি থাকবে। চেষ্টা করব “এ” দলের হয়ে মাস ছয়েক আগে যে ক্রিকেট খেলেছি সেটা খেলতে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ “এ” দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। আমার লক্ষ্য ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭-এ যেমন খেলেছি, সেই পারফরম্যান্স আবার ফিরিয়ে আনা।’
বোঝাই যাচ্ছে, জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটাকে ভালোভাবেই নিচ্ছেন শাহরিয়ার। কিন্তু তাঁর এই ফেরাটা যে তামিম ইকবালের হাতে অস্ত্রোপচারের ‘সৌজন্যে’! সুস্থ হয়ে ফিরলে ওপেনিংয়ে তামিমই তো প্রথম পছন্দ! এই জায়গায় শাহরিয়ার বাস্তববিবর্জিত নন, ‘আমি আমার খেলাটা খেলতে চাই। যদি আরও ভালো কোনো খেলোয়াড় চলে আসে তাহলে যেকোনো খেলোয়াড়কেই জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তিত না আমি। জায়গা ছেড়ে দিলে যদি দলের লাভ হয়, আমার কোনো সমস্যা নেই।’
এবারের ফেরা বা ব্যাটিং টেকনিকের মতো ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাও হয়তো নতুন ঠেকবে শাহরিয়ারের কাছে। যাঁদের দেখে গিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমে, তাঁদের অনেকেই যে এখন নেই! শাহরিয়ার এই বাস্তবতাও মেনে নিয়ে বললেন, ‘আসলে কারও জন্যই কিছু থেমে থাকে না। দলের পরিবেশ তার নিজস্ব গতিতে বদলায়। আমি নতুন করে দলে ফিরেছি, আমারই দায়িত্ব দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।’
ডেসিংরুমে মানিয়ে নেওয়ার ‘ব্যাকলিফট’টা নিজেই ঠিক করে নিলেন শাহরিয়ার নাফীস।
দুই বছর অনেক সময়। আরও অনেক কিছুর মতো সময়ের স্রোত বদলে দিয়েছে শাহরিয়ারকেও। গত কয়েক দিনের অনুশীলনে বদলটা ধরতে পেরেছেন কোচ জেমি সিডন্স। আইসিএলে চলে যাওয়া শাহরিয়ারকে ‘ফর্মহীন’ ব্যাটসম্যান মনে হলেও নতুন শাহরিয়ারকে নতুন লাগছে কোচের চোখেও। ‘আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে ওর টেকনিক। আগে কিছু শট খেলতে ওর সমস্যা হতো, কোনো কোনো শট হয়তো ঠিকভাবে খেলতেই পারত না। এখন সেসব সমস্যা আর নেই’—কাল অনুশীলনের ফাঁকে বলে গেলেন সিডন্স।
নিজের ব্যাটিংয়ে নতুনত্ব উপলব্ধি করছেন শাহরিয়ারও। তবে বদলে যাওয়া এই ব্যাটিংয়ের পেছনে খুব বড় কোনো রহস্য নেই। বাংলাদেশের কোচ হওয়ার পর ব্যাটসম্যানদের সিডন্স যে ‘কমন’ ব্যবস্থাপত্র দিয়েছিলেন, সেই ব্যাকলিফট বদলানোটাই কাজ করেছে এর পেছনে। ‘সিডন্স কোচ হয়ে আসার পর প্রথমেই আমার ব্যাকলিফটের সমস্যার কথা বলেন। আরও অনেক ব্যাটসম্যানকেই তখন তিনি ব্যাকলিফট বদলাতে বলেছিলেন। আইসিএল থেকে ফেরার পরের সময়টায় আমি একটু একটু করে ব্যাটিংয়ে সে পরিবর্তনটা এনেছি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শ্যাডো করে করে নতুন ব্যাকলিফট প্র্যাকটিস করেছি। নতুন ব্যাকলিফটে শট খেলার জন্য আরও বেশি সময় পাচ্ছি। এটাই ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে’—বললেন শাহরিয়ার।
পরিবর্তনগুলো নির্দিষ্ট করে বললেনও জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার শাহরিয়ার, ‘আমি যখন টেস্ট দলে ফিরি, কোচ তখন আমার পুল-কাট শট নিয়ে কিছু কাজ করেছেন। ব্যাকলিফট বদলানোয় পুল-কাট করাটাও আমার জন্য এখন সহজ। এবার সেন্টার উইকেটে যে বিগ হিটিং প্র্যাকটিস করলাম, তাতেও কাজে দিয়েছে পরিবর্তনটা। বেশি সময় পাওয়ায় বড় শটগুলোতে বল এখন আরও দূরে নিতে পারব আশা করি।’
শাহরিয়ারের এবারের ফেরা আরও একটা আশার মোড়কে মোড়া। দলে নিজের জায়গাটা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান তিনি, ‘তামিমের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে দলে। তামিম যেহেতু নেই, ওপেনিংয়ে যেকোনো ব্যাটসম্যানেরই দায়িত্ব হবে দলকে একটা ভালো শুরু এনে দেওয়ার। আমারও সেই চেষ্টা থাকবে। চেষ্টা করব সেরা খেলা খেলে দলে নিজের অবস্থান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার। পারফর্ম করার তাড়নাও আছে ভেতরে।’ লম্বা সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকায় দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্নটা ফিকেই হয়ে গিয়েছিল শাহরিয়ারের জন্য। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ওয়ানডের দলে ফেরায় সে স্বপ্ন আবার প্রাণ পেয়েছে। কিন্তু শাহরিয়ার বলছেন, ‘বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ এসেছে কথাটা সত্যি। তবে আমার টার্গেট ম্যাচ ধরে ধরে এগোনো, এই সিরিজে ভালো খেললেই পরের সিরিজে সুযোগ পাব। ওই সিরিজে ভালো খেললে বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা থাকবে।’
জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও মাঝে দেশের মাটিতে ‘এ’ দলের হয়ে সিরিজ খেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে। শাহরিয়ারের আত্মবিশ্বাসের পারদ ওপরের দিকে ঠেলে দিয়েছে ওই ম্যাচগুলোর পারফরম্যান্স। সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই বলছেন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে খেলার সুযোগটাও বেশি থাকবে। চেষ্টা করব “এ” দলের হয়ে মাস ছয়েক আগে যে ক্রিকেট খেলেছি সেটা খেলতে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ “এ” দলের বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। আমার লক্ষ্য ২০০৫, ২০০৬ ও ২০০৭-এ যেমন খেলেছি, সেই পারফরম্যান্স আবার ফিরিয়ে আনা।’
বোঝাই যাচ্ছে, জাতীয় দলে জায়গা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জটাকে ভালোভাবেই নিচ্ছেন শাহরিয়ার। কিন্তু তাঁর এই ফেরাটা যে তামিম ইকবালের হাতে অস্ত্রোপচারের ‘সৌজন্যে’! সুস্থ হয়ে ফিরলে ওপেনিংয়ে তামিমই তো প্রথম পছন্দ! এই জায়গায় শাহরিয়ার বাস্তববিবর্জিত নন, ‘আমি আমার খেলাটা খেলতে চাই। যদি আরও ভালো কোনো খেলোয়াড় চলে আসে তাহলে যেকোনো খেলোয়াড়কেই জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তিত না আমি। জায়গা ছেড়ে দিলে যদি দলের লাভ হয়, আমার কোনো সমস্যা নেই।’
এবারের ফেরা বা ব্যাটিং টেকনিকের মতো ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাও হয়তো নতুন ঠেকবে শাহরিয়ারের কাছে। যাঁদের দেখে গিয়েছিলেন ড্রেসিংরুমে, তাঁদের অনেকেই যে এখন নেই! শাহরিয়ার এই বাস্তবতাও মেনে নিয়ে বললেন, ‘আসলে কারও জন্যই কিছু থেমে থাকে না। দলের পরিবেশ তার নিজস্ব গতিতে বদলায়। আমি নতুন করে দলে ফিরেছি, আমারই দায়িত্ব দলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।’
ডেসিংরুমে মানিয়ে নেওয়ার ‘ব্যাকলিফট’টা নিজেই ঠিক করে নিলেন শাহরিয়ার নাফীস।
No comments