চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিল টুয়েন্টে
ইন্টার মিলান আর এফসি টুয়েন্টের মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল। চ্যাম্পিয়নস লিগ শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এখন ইন্টারের মাথায়। আর ডাচ চ্যাম্পিয়ন এফসি টুয়েন্টে চ্যাম্পিয়নস লিগের আঙিনা পা পড়ল এবারই প্রথম। তবে অভিষেকেই ডাচ দলটি বুঝিয়ে দিল ‘দুধভাত’ হতে তারা আসেনি। রুখে দিল তারা ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলানকে (২-২)।
১৯৬৪ ও ’৬৫ সালে টানা দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ইন্টারের সামনে ওই কীর্তিরই পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সুযোগ এবার। কিন্তু টুয়েন্টে প্রথম ম্যাচেই ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ওই সম্ভাবনাকে ফেলে দিল প্রশ্নের মুখে। শুধু তো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাই নয়, হোসে মরিনহোর হাত ধরে ‘নেরাজ্জুরি’রা ইতালির ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জিতেছে গত মৌসুমে।
মরিনহো ঠিকানা বদলে চলে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ইন্টারের দায়িত্ব নিয়েছেন লিভারপুলের রাফায়েল বেনিতেজ। এই ড্র মরিনহোর জাগিয়ে তোলা জীগিষার ক্ষয়িষ্ণু চেহারা তুলে ধরছে এমন বলা যাচ্ছে না। বলা যাচ্ছে না ডাচ প্লে-মেকার ওয়েসলি স্নাইডারের পারফরম্যান্সের কারণে।
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ মাঠে গড়ানোর আগে স্নাইডার বলেছিলেন, ‘এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হব।’ এই প্রতিশ্রুতির অনুবাদ মাঠেও করেছেন স্নাইডার। ১৩ মিনিটে দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়েও দিয়েছিলেন। তবে ইন্টারের অন্য খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসের অনুবাদ তেমন করে করতে পারেননি। ভাগ্যও সহায় ছিল না ইন্টারের। বরং দুর্ভাগ্য যেন তাদের পরাজয়েরই আয়োজন সাজিয়ে রেখেছিল! ২০ মিনিটে ইয়ানসেনের ফ্রি-কিকে সমতা আনে টুয়েন্টে। এরপর ডিয়েগো মিলিতোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ইন্টার। ৪১ মিনিটে স্যামুয়েল ইতোর গোল তাদের আরও অমঙ্গলের আশঙ্কাকে সরিয়ে দেয় দূরে।
দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়া ইন্টার জয়ও পেতে পারত। কিন্তু তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কওতিনহোর ১২ গজি শটটা গোলে ঢুকতে গিয়েও ঢোকেনি। ফিরে আসে তাঁরই স্বদেশি ডগলাসের গায়ে লেগে। আর গোটা দুই সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন আত্মঘাতী গোলের যন্ত্রণা ভুলতে মরিয়া হয়ে ওঠা মিলিতো।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্রটাকেই নিয়তি বলে মানতে হয়েছে ইন্টারকে। তবে কোচ বেনিতেজ অখুশি নন, ‘ম্যাচটা তো আমরাই নিয়ন্ত্রণ করেছি।’ প্রথম ম্যাচ শেষে ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় সবার পাশেই ১টি করে পয়েন্ট। এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে টটেনহাম হটস্পার ও ভেরডার ব্রেমেনও ড্র করেছে ২-২ গোলে।
তবে টটেনহাম কোচ হ্যারি রেডনাপের এই ড্র নিয়ে আক্ষেপ থাকতেই পারে। পাসানেন ও পিটার ক্রাউচের গোলে ২০ মিনিটের মধ্যেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহাম। কিন্তু আলমেইদা (৪৩) ও মারিনের (৪৭) গোলে সমতায় ফেরে ব্রেমেন।
স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ২০০৮-এর চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ড্রর পর দল নির্বাচন নিয়ে খুব সমালোচিত হয়েছেন ম্যানইউ কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। গত শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে খেলা মাত্র একজন খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন ফার্গুসন। সমালোচনা হচ্ছে এটা নিয়েই।
তবে ম্যানইউ কোচ সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘আমি শক্তিশালী দলই নামিয়েছি। বুঝতে হবে এই দলটির ৬ জনই চেলসির বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ড কাপে ছিল।’ এ সব নিয়ে চিন্তা না করলেও ফার্গুসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে ইকুয়েডরিয়ান উইঙ্গার আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়ার চোট। বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেল ভেঙে গেছে তাঁর। এ মৌসুমেই নাকি আর মাঠে নামা হবে না তাঁর।
১৯৬৪ ও ’৬৫ সালে টানা দুবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী ইন্টারের সামনে ওই কীর্তিরই পুনরাবৃত্তি ঘটানোর সুযোগ এবার। কিন্তু টুয়েন্টে প্রথম ম্যাচেই ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের ওই সম্ভাবনাকে ফেলে দিল প্রশ্নের মুখে। শুধু তো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাই নয়, হোসে মরিনহোর হাত ধরে ‘নেরাজ্জুরি’রা ইতালির ইতিহাসে প্রথম ট্রেবল জিতেছে গত মৌসুমে।
মরিনহো ঠিকানা বদলে চলে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদে। ইন্টারের দায়িত্ব নিয়েছেন লিভারপুলের রাফায়েল বেনিতেজ। এই ড্র মরিনহোর জাগিয়ে তোলা জীগিষার ক্ষয়িষ্ণু চেহারা তুলে ধরছে এমন বলা যাচ্ছে না। বলা যাচ্ছে না ডাচ প্লে-মেকার ওয়েসলি স্নাইডারের পারফরম্যান্সের কারণে।
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগ মাঠে গড়ানোর আগে স্নাইডার বলেছিলেন, ‘এবারও আমরা চ্যাম্পিয়ন হব।’ এই প্রতিশ্রুতির অনুবাদ মাঠেও করেছেন স্নাইডার। ১৩ মিনিটে দারুণ এক গোল করে দলকে এগিয়েও দিয়েছিলেন। তবে ইন্টারের অন্য খেলোয়াড়েরা আত্মবিশ্বাসের অনুবাদ তেমন করে করতে পারেননি। ভাগ্যও সহায় ছিল না ইন্টারের। বরং দুর্ভাগ্য যেন তাদের পরাজয়েরই আয়োজন সাজিয়ে রেখেছিল! ২০ মিনিটে ইয়ানসেনের ফ্রি-কিকে সমতা আনে টুয়েন্টে। এরপর ডিয়েগো মিলিতোর আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে ইন্টার। ৪১ মিনিটে স্যামুয়েল ইতোর গোল তাদের আরও অমঙ্গলের আশঙ্কাকে সরিয়ে দেয় দূরে।
দ্বিতীয়ার্ধে নতুন উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়া ইন্টার জয়ও পেতে পারত। কিন্তু তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড কওতিনহোর ১২ গজি শটটা গোলে ঢুকতে গিয়েও ঢোকেনি। ফিরে আসে তাঁরই স্বদেশি ডগলাসের গায়ে লেগে। আর গোটা দুই সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন আত্মঘাতী গোলের যন্ত্রণা ভুলতে মরিয়া হয়ে ওঠা মিলিতো।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ড্রটাকেই নিয়তি বলে মানতে হয়েছে ইন্টারকে। তবে কোচ বেনিতেজ অখুশি নন, ‘ম্যাচটা তো আমরাই নিয়ন্ত্রণ করেছি।’ প্রথম ম্যাচ শেষে ‘এ’ গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় সবার পাশেই ১টি করে পয়েন্ট। এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে টটেনহাম হটস্পার ও ভেরডার ব্রেমেনও ড্র করেছে ২-২ গোলে।
তবে টটেনহাম কোচ হ্যারি রেডনাপের এই ড্র নিয়ে আক্ষেপ থাকতেই পারে। পাসানেন ও পিটার ক্রাউচের গোলে ২০ মিনিটের মধ্যেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল টটেনহাম। কিন্তু আলমেইদা (৪৩) ও মারিনের (৪৭) গোলে সমতায় ফেরে ব্রেমেন।
স্কটিশ ক্লাব রেঞ্জার্সের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে ২০০৮-এর চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এই ড্রর পর দল নির্বাচন নিয়ে খুব সমালোচিত হয়েছেন ম্যানইউ কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। গত শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এভারটনের বিপক্ষে খেলা মাত্র একজন খেলোয়াড়কে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন ফার্গুসন। সমালোচনা হচ্ছে এটা নিয়েই।
তবে ম্যানইউ কোচ সমালোচনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না, ‘আমি শক্তিশালী দলই নামিয়েছি। বুঝতে হবে এই দলটির ৬ জনই চেলসির বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ড কাপে ছিল।’ এ সব নিয়ে চিন্তা না করলেও ফার্গুসনের কপালে ভাঁজ ফেলেছে ইকুয়েডরিয়ান উইঙ্গার আন্তোনিও ভ্যালেন্সিয়ার চোট। বাঁ পায়ের অ্যাঙ্কেল ভেঙে গেছে তাঁর। এ মৌসুমেই নাকি আর মাঠে নামা হবে না তাঁর।
No comments