১০ মাসে বাণিজ্য ঘাটতি ৪৫০ কোটি ডলার
চলতি ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বৈদেশিক পণ্যবাণিজ্যে বাংলাদেশের ঘাটতি ৪৫০ ডলার অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে এ হিসাব পাওয়া গেছে।
অবশ্য গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়কালে বাণিজ্য-ঘাটতি ছিল ৪৪৯ কোটি ডলার। ফলে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অতি সামান্য বেড়েছে।
অবশ্য একই সময়কালে সেবা-বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এই ঘাটতি ছিল ১৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুত করা লেনদেনের ভারসাম্য সারণি থেকে দেখা যায় যে আলোচ্য সময়কালে পণ্য রপ্তানি বাবদ বাংলাদেশের আয় হয়েছে এক হাজার ২৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মানে সার্বিকভাবে রপ্তানি সামান্য বেড়েছে।
কিন্তু প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতের (ওভেন ও নিট মিলিয়ে) মোট রপ্তানি ১০ মাসে দাঁড়িয়েছে ৯৯৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ফলে পোশাক খাতের মোট রপ্তানি কমেছে পৌনে দুই শতাংশ।
আলোচ্য সময়কালে আমদানি বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৯৩৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। অবশ্য এটি সিঅ্যান্ডএফ হিসাব।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে এফওবি হিসাব দেওয়া হয়, যেখানে বিমা ও জাহাজীকরণের ব্যয় বাদ দেওয়া হয়। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছে এক হাজার ৭৪৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়কালে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৩২ কোটি ২০ লাখ ডলার। তার মানে আমদানি ব্যয় দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে বাণিজ্য-ঘাটতি বাড়লেও চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ২৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারে উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের ১০ মাসে এর পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এটি ছিল তার আগের অর্থবছর ২০০৭-০৮-এর ৬৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।
চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত মানে নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর আর কোনো অর্থবছরেই বাংলাদেশকে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়নি। বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্তাবস্থা বেড়েছে।
তবে আলোচ্য সময়কালে আর্থিক হিসাবের ভারসাম্যে ৪৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়কালে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচ্য সময়কালে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এর পরিমাণ ছিল ৮৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মানে হলো, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ কমে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সার্বিকভাবে লেনদেনের ভারসাম্যে ২৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৩২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
অবশ্য গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে অর্থাৎ জুলাই-এপ্রিল সময়কালে বাণিজ্য-ঘাটতি ছিল ৪৪৯ কোটি ডলার। ফলে পণ্যবাণিজ্যে ঘাটতি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অতি সামান্য বেড়েছে।
অবশ্য একই সময়কালে সেবা-বাণিজ্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৪৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এই ঘাটতি ছিল ১৪২ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তুত করা লেনদেনের ভারসাম্য সারণি থেকে দেখা যায় যে আলোচ্য সময়কালে পণ্য রপ্তানি বাবদ বাংলাদেশের আয় হয়েছে এক হাজার ২৯৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ২৮৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এর মানে সার্বিকভাবে রপ্তানি সামান্য বেড়েছে।
কিন্তু প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতের (ওভেন ও নিট মিলিয়ে) মোট রপ্তানি ১০ মাসে দাঁড়িয়েছে ৯৯৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার। ফলে পোশাক খাতের মোট রপ্তানি কমেছে পৌনে দুই শতাংশ।
আলোচ্য সময়কালে আমদানি বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৯৩৮ কোটি ৮৮ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের ১০ মাসে আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৯২৩ কোটি ডলার। অবশ্য এটি সিঅ্যান্ডএফ হিসাব।
লেনদেনের ভারসাম্য সারণিতে এফওবি হিসাব দেওয়া হয়, যেখানে বিমা ও জাহাজীকরণের ব্যয় বাদ দেওয়া হয়। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে আমদানি বাবদ ব্যয় করতে হয়েছে এক হাজার ৭৪৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়কালে এই ব্যয়ের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৩২ কোটি ২০ লাখ ডলার। তার মানে আমদানি ব্যয় দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায় যে বাণিজ্য-ঘাটতি বাড়লেও চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্তাবস্থা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ২৮৩ কোটি ৪০ লাখ ডলারে উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের ১০ মাসে এর পরিমাণ ছিল ১২০ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে গত ২০০৮-০৯ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ২৫৩ কোটি ৬০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দেয়। এটি ছিল তার আগের অর্থবছর ২০০৭-০৮-এর ৬৮ কোটি ডলারের সমপরিমাণ উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি।
চলতি হিসাবে মূলত কোনো দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেনের হিসাব প্রতিফলিত হয়। নিয়মিত আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত মানে নিয়মিত লেনদেনের ক্ষেত্রে দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায় যে ২০০৪-০৫ অর্থবছরের পর আর কোনো অর্থবছরেই বাংলাদেশকে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ঘাটতির সম্মুখীন হতে হয়নি। বরং প্রতিবছরই উদ্বৃত্তাবস্থা বেড়েছে।
তবে আলোচ্য সময়কালে আর্থিক হিসাবের ভারসাম্যে ৪৬ কোটি ১০ লাখ ডলারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়কালে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচ্য সময়কালে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ১০ লাখ ডলার, যেখানে গত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে এর পরিমাণ ছিল ৮৪ কোটি ১০ লাখ ডলার। এর মানে হলো, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ কমে যাচ্ছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সার্বিকভাবে লেনদেনের ভারসাম্যে ২৪২ কোটি ৭০ লাখ ডলারের উদ্বৃত্ত দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৩২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
No comments