ফেবারিট তকমা ঘুচল স্পেনের?
১০ বছর ধরে স্পেন জাতীয় দলে খেলছেন ইকার ক্যাসিয়াস, রিয়াল মাদ্রিদের মূল দলে ১১ বছর। কিন্তু ফুটবলের সবচেয়ে বড় সত্যিটাই যেন ভুলে গেছেন স্পেন অধিনায়ক, না হলে সুইজারল্যান্ডের কাছে হারের পর কীভাবে বললেন, ‘আমি বুঝতে পারছি না, কীভাবে কী হয়ে হয়ে গেল। পুরো ম্যাচেই আমরা ওদের চেয়ে ভালো খেললাম আর ওরা প্রথম সুযোগটা কাজে লাগিয়েই জিতে গেল...!’ এত বছরের অভিজ্ঞতায় এই গোলরক্ষকের তো অন্তত এটা বোঝার কথা, ফুটবল খেলায় জেতে সুযোগ কাজে লাগাতে পারা দল, বেশি সুযোগ সৃষ্টি করা দল নয়!
ম্যাচের ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছে স্পেন, গোলে শট নিয়েছে ২৪টি, এর মধ্যে ১১টি ছিল লক্ষ্যে। ১০টি ফিরিয়েছেন গোলরক্ষক, একটি গোলবার। সুইজারল্যান্ড লক্ষ্যে শট নিয়েছে মাত্র তিনটি। একটি ফিরিয়েছেন ক্যাসিয়াস, একটি গোলবার। আর আসল কাজটি হয়েছে বাকিটিতেই, যেটি আল্পস পর্বতের পাদদেশের ছোট্ট শান্ত দেশটিকে এনে দিয়েছে মহামূল্য ৩ পয়েন্ট। কিন্তু ক্যাসিয়াসকে এটা কে বোঝাবে! যে ম্যাচে স্পেন বড় ব্যবধানে না জিতলেও অঘটন ধরা হতো, সেই ম্যাচ হারাটাকে মেনেই নিতে পারছেন না ইউরোজয়ী অধিনায়ক, ‘স্কোয়াডের সবাই বিধ্বস্ত, যেভাবে আমরা হারলাম এটা মেনে নিতে সবারই কষ্ট হচ্ছে।’
কষ্ট যে সবার হচ্ছে, এটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একমাত্র গোলটি খাওয়ার ঠিক আগে এক সুইস ফুটবলারের বুটে লেগে কপালের ডান পাশটা কেটে গেল জেরার্ড পিকের। রক্ত ঝরল অনেক, কিন্তু হূদয়ের রক্তক্ষরণই তো হলো বেশি! স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের প্রাথমিক ক্ষোভটা গিয়ে পড়েছে যারা তাদের এত দিন ফেবারিট বলেছে, তাদের ওপর, ‘এখন আমরা ফেবারিটের ফালতু ট্যাগটা পেছনে ফেলতে পারি। সব সময়ই বলে আসছিলাম আমরা ফেবারিট নই, কারণ আমরা কখনোই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলিনি। আমরা ভালো দল, কিন্তু ফেবারিট? কোনোভাবেই না।’ একটু সামলে নিয়ে অবশ্য হারের দায় চাপিয়েছেন দুর্ভাগ্যকে, ‘আমরা প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করেছি, দ্বিতীয়ার্ধে অন্তত একটা গোল আমাদের করা উচিত ছিল। একটা দল কীভাবে হারতে পারে, তার খুব ভালো উদাহরণ এটা।’
শুধু পিকে নয়, স্পেনের বেশির ভাগ ফুটবলারই ভাগ্যকে দুষছেন। মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ যেমন বলছেন, ‘দুবার ওরা আমাদের গোলবারের সামনে যেতে পেরছে, এতেই জিতেছে। পুরো খেলা আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি, চার-পাঁচটা পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না।’ একই মত ডেভিড ভিয়ারও। তবে পরাজয়ে অন্তত একটা ইতিবাচক দিক বের করেছেন এই স্ট্রাইকার, ‘এই ম্যাচ সবাইকে দেখিয়েছে, এ ধরনের টুর্নামেন্টে সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। খারাপ দিনে যে কেউ হারতে পারে। ভাগ্য ভালো আমাদের খারাপ দিনটা গ্রুপ পর্যায়ে এসেছে, আমরা বাদ পড়ে যাচ্ছি না।’
বাস্তবতা মেনে নিয়ে ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস এখন তাকিয়ে পরের ম্যাচগুলোর দিকে, ‘খেলা আমরা নিয়ন্ত্র্রণ করেছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো ৩ পয়েন্ট পাইনি। এখন আমাদের পরের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।’ ২১ জুন হন্ডুরাসের বিপক্ষে খেলবে স্পেন, চার দিন পর চিলির বিপক্ষে। এই ম্যাচ দুটি জয়ের বিকল্প দেখছেন না কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক। ‘আমরা খেলার চেষ্টা করেছি, ওরা চেষ্টা করেছে ডিফেন্স করার। তবে এই কাজ ওরা ভালো করেছে। তবে বিশ্বকাপ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পরের ম্যাচ দুটি আমাদের জিততেই হবে, এর বিকল্প নেই।’
ম্যাচের ৬৩ শতাংশ সময় বল দখলে রেখেছে স্পেন, গোলে শট নিয়েছে ২৪টি, এর মধ্যে ১১টি ছিল লক্ষ্যে। ১০টি ফিরিয়েছেন গোলরক্ষক, একটি গোলবার। সুইজারল্যান্ড লক্ষ্যে শট নিয়েছে মাত্র তিনটি। একটি ফিরিয়েছেন ক্যাসিয়াস, একটি গোলবার। আর আসল কাজটি হয়েছে বাকিটিতেই, যেটি আল্পস পর্বতের পাদদেশের ছোট্ট শান্ত দেশটিকে এনে দিয়েছে মহামূল্য ৩ পয়েন্ট। কিন্তু ক্যাসিয়াসকে এটা কে বোঝাবে! যে ম্যাচে স্পেন বড় ব্যবধানে না জিতলেও অঘটন ধরা হতো, সেই ম্যাচ হারাটাকে মেনেই নিতে পারছেন না ইউরোজয়ী অধিনায়ক, ‘স্কোয়াডের সবাই বিধ্বস্ত, যেভাবে আমরা হারলাম এটা মেনে নিতে সবারই কষ্ট হচ্ছে।’
কষ্ট যে সবার হচ্ছে, এটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একমাত্র গোলটি খাওয়ার ঠিক আগে এক সুইস ফুটবলারের বুটে লেগে কপালের ডান পাশটা কেটে গেল জেরার্ড পিকের। রক্ত ঝরল অনেক, কিন্তু হূদয়ের রক্তক্ষরণই তো হলো বেশি! স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের প্রাথমিক ক্ষোভটা গিয়ে পড়েছে যারা তাদের এত দিন ফেবারিট বলেছে, তাদের ওপর, ‘এখন আমরা ফেবারিটের ফালতু ট্যাগটা পেছনে ফেলতে পারি। সব সময়ই বলে আসছিলাম আমরা ফেবারিট নই, কারণ আমরা কখনোই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলিনি। আমরা ভালো দল, কিন্তু ফেবারিট? কোনোভাবেই না।’ একটু সামলে নিয়ে অবশ্য হারের দায় চাপিয়েছেন দুর্ভাগ্যকে, ‘আমরা প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি করেছি, দ্বিতীয়ার্ধে অন্তত একটা গোল আমাদের করা উচিত ছিল। একটা দল কীভাবে হারতে পারে, তার খুব ভালো উদাহরণ এটা।’
শুধু পিকে নয়, স্পেনের বেশির ভাগ ফুটবলারই ভাগ্যকে দুষছেন। মিডফিল্ডার জাভি হার্নান্দেজ যেমন বলছেন, ‘দুবার ওরা আমাদের গোলবারের সামনে যেতে পেরছে, এতেই জিতেছে। পুরো খেলা আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি, চার-পাঁচটা পরিষ্কার সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল না।’ একই মত ডেভিড ভিয়ারও। তবে পরাজয়ে অন্তত একটা ইতিবাচক দিক বের করেছেন এই স্ট্রাইকার, ‘এই ম্যাচ সবাইকে দেখিয়েছে, এ ধরনের টুর্নামেন্টে সহজ প্রতিপক্ষ বলে কিছু নেই। খারাপ দিনে যে কেউ হারতে পারে। ভাগ্য ভালো আমাদের খারাপ দিনটা গ্রুপ পর্যায়ে এসেছে, আমরা বাদ পড়ে যাচ্ছি না।’
বাস্তবতা মেনে নিয়ে ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস এখন তাকিয়ে পরের ম্যাচগুলোর দিকে, ‘খেলা আমরা নিয়ন্ত্র্রণ করেছি, কিন্তু বাস্তবতা হলো ৩ পয়েন্ট পাইনি। এখন আমাদের পরের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবতে হবে।’ ২১ জুন হন্ডুরাসের বিপক্ষে খেলবে স্পেন, চার দিন পর চিলির বিপক্ষে। এই ম্যাচ দুটি জয়ের বিকল্প দেখছেন না কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক। ‘আমরা খেলার চেষ্টা করেছি, ওরা চেষ্টা করেছে ডিফেন্স করার। তবে এই কাজ ওরা ভালো করেছে। তবে বিশ্বকাপ এখনো শেষ হয়ে যায়নি। পরের ম্যাচ দুটি আমাদের জিততেই হবে, এর বিকল্প নেই।’
No comments