ভেরনকে ছাড়াই নামছে আর্জেন্টিনা
জিয়ান্নিনা, দালমা আজ বাবার জন্য কোন পোশাকটি বেছে রেখেছেন? সেদিনের সেই ধূসর রঙের স্যুটটাই কি? ওটা তো আর্জেন্টিনার জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক হয়ে এসেছে। কোচ হিসেবে বিশ্বকাপে ডিয়েগো ম্যারাডোনার শুভ অভিষেক ঘটিয়েছে। বলা যায় না, সংস্কারতাড়িত হলে বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের দুই মেয়ে ওটাই আজ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচেও বাবার গায়ে তুলে দিতে পারেন। আবার তুলে দিতে পারেন অন্য কোনো পোশাক, যা এ ম্যাচ জিতিয়ে অনেকটাই নিশ্চিত করে দিতে পারে আর্জেন্টিনার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যে পোশাকই ম্যারাডোনা পরে আসুন, রংটা জয়ের। মানে জয়ের সুতীব্র ইচ্ছার আরকি।
তবে আর্জেন্টিনা নিশ্চিতই শুধু কোচের পোশাকজাত সৌভাগ্যের দিকে তাকিয়ে নেই। তাদের বিশ্বাসের বড় জায়গাটি সামর্থ্য। প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ন্যূনতম ব্যবধানে হারালেও তারা প্রমাণ করেছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব। আক্রমণের তোড়ে নাইজেরিয়াকে ভাসিয়ে দিয়ে সারা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে মেসি, হিগুয়েইন, তেভেজকে নিয়ে গড়ে ওঠা তাদের আক্রমণের ফলাটা কত তীক্ষ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভালোবাসা পেয়েছেন, প্রতিদানে আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা গায়ে নিজেকে করেছেন উজ্জ্বল। কিন্তু আজ মেসিকে প্রতিদান হিসেবে দিতে হবে আরও কিছু। সতীর্থকে দিয়ে গোল করাতে হবে, করতে হবে, ছাড়তে হবে গোল অপচয়ের বিলাসিতা। আর্জেন্টিনা শিবির আত্মবিশ্বাসী, মেসি দুটো কাজই নিখুঁতভাবে করবেন। গোল অপচয়ের মহড়াও দেবেন না। এই মেসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খোলসটা ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। এই মেসি বার্সেলোনার, যিনি একটা ম্যাচের মালিন্য পরের ম্যাচে মুছে ফেলেন দ্বিগুণ ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে। তাহলে তো সকার সিটিতে এলিস পার্কে বকেয়া থেকে যাওয়া হ্যাটট্রিকটাই পেয়ে যাবেন আর্জেন্টাইন প্লে-মেকার! না, ব্যাপারটা ফ্যান্টাসি নয়। প্রতিপক্ষের নাম দক্ষিণ কোরিয়া। যারা গ্রিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথম উড়িয়েছে এশিয়ার পতাকা। যারা একটা বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাওয়া নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্নে একটা তুলির টান দিয়ে ফেলেছে।
মোটামুটি স্বল্পভাষী বলে পরিচিত মেসিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেন কথায় পেয়ে বসেছে। অনেক কথা বলছেন। শোনা যাক, আজকের ম্যাচের আগে তিনি কী বলেছেন। নিজের সম্পর্কে, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোনো কথাই বলেননি। যা বলেছেন তার মধ্যে যেন ফুটে উঠেছে আলবিসেলেস্তিদের পতাকার রং, ‘আর্জেন্টিনার ভয়ের কারণ শুধু আর্জেন্টিনাই। বাকি সব দলের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, শিরোপা জয়ের জন্য যে মান, যে প্রতিভা লাগে, সেটি আমাদের আছে। এখন আমাদের শুধু অখণ্ড মনোযোগী হতে হবে। অনুশীলন করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে, থাকতে হবে এমন ঐক্যবদ্ধ।’
শুধু এই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না তাঁরা। প্রতিটি ম্যাচকেই তাঁরা নতুন একেকটা চূড়া ছুঁয়ে দেখার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে চান। এই চ্যালেঞ্জে যিনি দলের নেতা সেই হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনকে ছাড়াই আজ নামতে হবে আর্জেন্টিনাকে। পায়ের পেশিতে সেদিন চোট পাওয়ায় আজ তাঁকে নামিয়ে মোটেই ঝুঁকি নিতে চান না ম্যারাডোনা। কাল প্রিটোরিয়ার লফটাস ভার্সভেল্ড স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার কোচ বারবার শুধু ভেরনের কথাই বলে গেলেন।
ভেরনকে ছাড়াই ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল, শুধু সেই বয়ান, ‘সেবাকে (ভেরন) বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আসলেই খুব কঠিন। সে সত্যিই খেলার জন্য উন্মুখ। আর কেউই বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকতে চায় না। কিন্তু আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে। তাকে নামিয়ে আমি ঝুঁকি নিতে পারি না। তাকে আমার প্রয়োজন, খুব প্রয়োজন। কিন্তু সে নিজেও বুঝতে পারছে এটির গুরুত্ব। তার চারিত্রিক দৃঢ়তা আছে, সে হলো সত্যিকারের নেতা।’
ভেরনকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেও ম্যারাডোনা বলেননি, তাঁর জায়গায় কে খেলবেন। তবে নাইজেরিয়া ম্যাচের ৭৪ মিনিটে যেহেতু ম্যাক্সি রদ্রিগেজ বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। ধরে নেওয়া হচ্ছে তিনিই হবেন ভেরনের বিকল্প। শোনা যাচ্ছে, ওই দিন রাইটব্যাক হিসেবে খেলা হোনাস গুতিয়েরেজের জায়গায় দেখা যেতে পারে নিকোলাস বুর্দিসোকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একাদশে কোনো পরিবর্তন হবে কি না, জানা যায়নি। তবে পরিবর্তন তাদের একটা হবেই, এটা নিশ্চিত, সেটা হলো মানসিকতার। গ্রিস আর আর্জেন্টিনা এক দল নয়। আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও কিছু করতে হলে দারুণ কিছু দেখাতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার কিম নাম-ইল নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন, আর্জেন্টিনার সামনে দাঁড়ানোর আগে তারা একটু নার্ভাস, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমরা একটু নার্ভাস। তবে তাদের মান আর প্রতিভার দিকে তাকিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছি না। তাদের আছে মেসি, আমাদের আছে পার্ক জি-সুং।’
সত্যিই তো গ্রিসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেই কোরিয়া দেখিয়েছে তাদের আছে একজন পার্ক। তবে আরেকজনও আছেন—হু জুং-মু। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে এই হু ছিলেন ম্যারাডোনার প্রহরী। ম্যারাডোনাকে সেদিন আটকাতে পারেনইনি, উল্টো ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ২৪ বছর পর দুজন মাঠের ডাগ-আউটে। আজ কোচ হয়ে কি আটকাতে পারবেন ম্যারাডোনাকে?
তবে আর্জেন্টিনা নিশ্চিতই শুধু কোচের পোশাকজাত সৌভাগ্যের দিকে তাকিয়ে নেই। তাদের বিশ্বাসের বড় জায়গাটি সামর্থ্য। প্রথম ম্যাচে নাইজেরিয়াকে ন্যূনতম ব্যবধানে হারালেও তারা প্রমাণ করেছে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব। আক্রমণের তোড়ে নাইজেরিয়াকে ভাসিয়ে দিয়ে সারা বিশ্বকে বুঝিয়ে দিয়েছে মেসি, হিগুয়েইন, তেভেজকে নিয়ে গড়ে ওঠা তাদের আক্রমণের ফলাটা কত তীক্ষ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভালোবাসা পেয়েছেন, প্রতিদানে আর্জেন্টিনার আকাশি-সাদা গায়ে নিজেকে করেছেন উজ্জ্বল। কিন্তু আজ মেসিকে প্রতিদান হিসেবে দিতে হবে আরও কিছু। সতীর্থকে দিয়ে গোল করাতে হবে, করতে হবে, ছাড়তে হবে গোল অপচয়ের বিলাসিতা। আর্জেন্টিনা শিবির আত্মবিশ্বাসী, মেসি দুটো কাজই নিখুঁতভাবে করবেন। গোল অপচয়ের মহড়াও দেবেন না। এই মেসি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খোলসটা ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। এই মেসি বার্সেলোনার, যিনি একটা ম্যাচের মালিন্য পরের ম্যাচে মুছে ফেলেন দ্বিগুণ ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়ে। তাহলে তো সকার সিটিতে এলিস পার্কে বকেয়া থেকে যাওয়া হ্যাটট্রিকটাই পেয়ে যাবেন আর্জেন্টাইন প্লে-মেকার! না, ব্যাপারটা ফ্যান্টাসি নয়। প্রতিপক্ষের নাম দক্ষিণ কোরিয়া। যারা গ্রিসকে ২-০ গোলে হারিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথম উড়িয়েছে এশিয়ার পতাকা। যারা একটা বিশ্বকাপের পর ঘরের মাঠে পাওয়া নিজেদের সর্বোচ্চ সাফল্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার স্বপ্নে একটা তুলির টান দিয়ে ফেলেছে।
মোটামুটি স্বল্পভাষী বলে পরিচিত মেসিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেন কথায় পেয়ে বসেছে। অনেক কথা বলছেন। শোনা যাক, আজকের ম্যাচের আগে তিনি কী বলেছেন। নিজের সম্পর্কে, প্রতিপক্ষ সম্পর্কে কোনো কথাই বলেননি। যা বলেছেন তার মধ্যে যেন ফুটে উঠেছে আলবিসেলেস্তিদের পতাকার রং, ‘আর্জেন্টিনার ভয়ের কারণ শুধু আর্জেন্টিনাই। বাকি সব দলের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, শিরোপা জয়ের জন্য যে মান, যে প্রতিভা লাগে, সেটি আমাদের আছে। এখন আমাদের শুধু অখণ্ড মনোযোগী হতে হবে। অনুশীলন করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে, থাকতে হবে এমন ঐক্যবদ্ধ।’
শুধু এই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না তাঁরা। প্রতিটি ম্যাচকেই তাঁরা নতুন একেকটা চূড়া ছুঁয়ে দেখার চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে চান। এই চ্যালেঞ্জে যিনি দলের নেতা সেই হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনকে ছাড়াই আজ নামতে হবে আর্জেন্টিনাকে। পায়ের পেশিতে সেদিন চোট পাওয়ায় আজ তাঁকে নামিয়ে মোটেই ঝুঁকি নিতে চান না ম্যারাডোনা। কাল প্রিটোরিয়ার লফটাস ভার্সভেল্ড স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে আর্জেন্টিনার কোচ বারবার শুধু ভেরনের কথাই বলে গেলেন।
ভেরনকে ছাড়াই ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা তাঁর জন্য কতটা কঠিন ছিল, শুধু সেই বয়ান, ‘সেবাকে (ভেরন) বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়াটা আসলেই খুব কঠিন। সে সত্যিই খেলার জন্য উন্মুখ। আর কেউই বিশ্বকাপে দর্শক হয়ে থাকতে চায় না। কিন্তু আমাদের এটা মেনে নিতেই হবে। তাকে নামিয়ে আমি ঝুঁকি নিতে পারি না। তাকে আমার প্রয়োজন, খুব প্রয়োজন। কিন্তু সে নিজেও বুঝতে পারছে এটির গুরুত্ব। তার চারিত্রিক দৃঢ়তা আছে, সে হলো সত্যিকারের নেতা।’
ভেরনকে প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিলেও ম্যারাডোনা বলেননি, তাঁর জায়গায় কে খেলবেন। তবে নাইজেরিয়া ম্যাচের ৭৪ মিনিটে যেহেতু ম্যাক্সি রদ্রিগেজ বদলি হিসেবে নেমেছিলেন। ধরে নেওয়া হচ্ছে তিনিই হবেন ভেরনের বিকল্প। শোনা যাচ্ছে, ওই দিন রাইটব্যাক হিসেবে খেলা হোনাস গুতিয়েরেজের জায়গায় দেখা যেতে পারে নিকোলাস বুর্দিসোকে।
দক্ষিণ কোরিয়ার একাদশে কোনো পরিবর্তন হবে কি না, জানা যায়নি। তবে পরিবর্তন তাদের একটা হবেই, এটা নিশ্চিত, সেটা হলো মানসিকতার। গ্রিস আর আর্জেন্টিনা এক দল নয়। আর্জেন্টিনার বিপক্ষেও কিছু করতে হলে দারুণ কিছু দেখাতে হবে। দক্ষিণ কোরিয়ার মিডফিল্ডার কিম নাম-ইল নির্দ্বিধায় স্বীকার করেছেন, আর্জেন্টিনার সামনে দাঁড়ানোর আগে তারা একটু নার্ভাস, ‘সত্যি কথা বলতে কি, আমরা একটু নার্ভাস। তবে তাদের মান আর প্রতিভার দিকে তাকিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছি না। তাদের আছে মেসি, আমাদের আছে পার্ক জি-সুং।’
সত্যিই তো গ্রিসের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেই কোরিয়া দেখিয়েছে তাদের আছে একজন পার্ক। তবে আরেকজনও আছেন—হু জুং-মু। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে এই হু ছিলেন ম্যারাডোনার প্রহরী। ম্যারাডোনাকে সেদিন আটকাতে পারেনইনি, উল্টো ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। ২৪ বছর পর দুজন মাঠের ডাগ-আউটে। আজ কোচ হয়ে কি আটকাতে পারবেন ম্যারাডোনাকে?
No comments