দ্রগবাকে নিয়ে কুইরোজের প্রশ্ন
ফিফা বলে দিয়েছিল রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। রেফারির সেই সিদ্ধান্ত গেল দিদিয়ের দ্রগবার পক্ষে। পরশু পর্তুগালের বিপক্ষে ম্যাচে তাই ভাঙা হাতে প্লাস্টিক আবরণ লাগিয়েই খেললেন আইভরিকোস্টের এই স্ট্রাইকার। কিন্তু ম্যাচ শেষে পর্তুগাল কোচ কার্লোস কুইরোজ একহাত নিলেন ফিফাকে। তাঁর মতে, দ্রগবাকে প্লাস্টিক কাস্ট পরে খেলার অনুমতি দিয়ে দ্বিমুখী আচরণই করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে হাত ভেঙে গিয়েছিল দ্রগবার। হাতে কদিন ব্যান্ডেজ ঝুলিয়েও ঘুরেছেন তিনি। পরশুর ম্যাচে ৬৬ মিনিটের সময় সেই ভাঙা হাত নিয়েই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামলেন। তবে ব্যান্ডেজ নয়, ঝুঁকি এড়াতে হাতের ওপর তিনি পরেছিলেন প্লাস্টিকের একটা আবরণ। কুইরোজের আপত্তি ওটা নিয়েই। তাঁর দাবি, ফিফা যেখানে অন্য খেলোয়াড়দের এমনকি একটা ব্রেসলেট পরেও খেলতে দেয় না, সেখানে দ্রগবার প্লাস্টিকের আবরণ পরে মাঠা নামাটা দ্বিমুখী আচরণই হয়েছে। ফিফার বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এনে পর্তুগাল কোচ বলেছেন, ‘ব্যাপারটা একটু অস্বাভাবিকই হলো। কারণ এ সংক্রান্ত কিছু আইনকানুন তো আছে।’
দ্রগবা প্লাস্টিক কাস্ট পরে খেলে উল্টো পর্তুগিজ খেলোয়াড়দের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে মনে করছেন কুইরোজ, ‘অনেক সময় খেলোয়াড়দের ব্রেসলেট বা হাতে প্লাস্টার লাগিয়েও খেলতে দেওয়া হয় না। আপনি যখন সামান্য ব্রেসলেট পরেও খেলতে পারছেন না, দ্রগবার মতো কারও এভাবে খেলে ফেলাটা একটু দৃষ্টিকটুই। এ রকম পরিস্থিতিতে সে পর্তুগিজ খেলোয়াড়দেরই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
দ্রগবার প্লাস্টিক কাস্ট নিয়ে আলোচনা পর্তুগাল-আইভরিকোস্ট ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই। ফিফার একজন প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, পর্তুগিজ প্রতিনিধিদল ও রেফারির অনুমোদনের পর দ্রগবা চাইলে হাতে কাস্ট লাগিয়ে খেলতে পারেন। কিন্তু কুইরোজ বলছেন, ‘দ্রগবা খেলবে কি খেলবে না সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব পর্তুগালের নয়। এটা দেখার কথা ফিফার এবং প্রতিনিধিদলের সভায় তারা বলেছিল, এ ব্যাপারে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ সে সিদ্ধান্তটা দ্রগবার পক্ষে হওয়ায় আইন সবার জন্যই এক কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুইরোজ।
দ্রগবাকে নিয়ে যত বিতর্কই হোক, প্রতিরোধমূলক কাস্ট পরে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ১৯৮৬-এর মেক্সিকো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার এ রকম কাস্ট পরে খেলেই হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এর আগে ১৯৭৮-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হল্যান্ডের রেনে ফন ডার কারখফও পরেছিলেন প্লাস্টিকের পাতলা আবরণ।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে আগে হাত ভেঙে গিয়েছিল দ্রগবার। হাতে কদিন ব্যান্ডেজ ঝুলিয়েও ঘুরেছেন তিনি। পরশুর ম্যাচে ৬৬ মিনিটের সময় সেই ভাঙা হাত নিয়েই বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামলেন। তবে ব্যান্ডেজ নয়, ঝুঁকি এড়াতে হাতের ওপর তিনি পরেছিলেন প্লাস্টিকের একটা আবরণ। কুইরোজের আপত্তি ওটা নিয়েই। তাঁর দাবি, ফিফা যেখানে অন্য খেলোয়াড়দের এমনকি একটা ব্রেসলেট পরেও খেলতে দেয় না, সেখানে দ্রগবার প্লাস্টিকের আবরণ পরে মাঠা নামাটা দ্বিমুখী আচরণই হয়েছে। ফিফার বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ এনে পর্তুগাল কোচ বলেছেন, ‘ব্যাপারটা একটু অস্বাভাবিকই হলো। কারণ এ সংক্রান্ত কিছু আইনকানুন তো আছে।’
দ্রগবা প্লাস্টিক কাস্ট পরে খেলে উল্টো পর্তুগিজ খেলোয়াড়দের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বলে মনে করছেন কুইরোজ, ‘অনেক সময় খেলোয়াড়দের ব্রেসলেট বা হাতে প্লাস্টার লাগিয়েও খেলতে দেওয়া হয় না। আপনি যখন সামান্য ব্রেসলেট পরেও খেলতে পারছেন না, দ্রগবার মতো কারও এভাবে খেলে ফেলাটা একটু দৃষ্টিকটুই। এ রকম পরিস্থিতিতে সে পর্তুগিজ খেলোয়াড়দেরই ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।’
দ্রগবার প্লাস্টিক কাস্ট নিয়ে আলোচনা পর্তুগাল-আইভরিকোস্ট ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই। ফিফার একজন প্রতিনিধি জানিয়েছিলেন, পর্তুগিজ প্রতিনিধিদল ও রেফারির অনুমোদনের পর দ্রগবা চাইলে হাতে কাস্ট লাগিয়ে খেলতে পারেন। কিন্তু কুইরোজ বলছেন, ‘দ্রগবা খেলবে কি খেলবে না সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব পর্তুগালের নয়। এটা দেখার কথা ফিফার এবং প্রতিনিধিদলের সভায় তারা বলেছিল, এ ব্যাপারে রেফারির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।’ সে সিদ্ধান্তটা দ্রগবার পক্ষে হওয়ায় আইন সবার জন্যই এক কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কুইরোজ।
দ্রগবাকে নিয়ে যত বিতর্কই হোক, প্রতিরোধমূলক কাস্ট পরে বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ১৯৮৬-এর মেক্সিকো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার এ রকম কাস্ট পরে খেলেই হয়েছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এর আগে ১৯৭৮-এর বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হল্যান্ডের রেনে ফন ডার কারখফও পরেছিলেন প্লাস্টিকের পাতলা আবরণ।
No comments