ব্রাজিলের ফিনিশার কই!
কেমন খেলল ব্রাজিল? ব্রাজিলকে ব্রাজিলের মতো লেগেছে? ফেবারিটের মর্যাদা রাখার মতো দল কি এই ব্রাজিল?
পরশু ব্রাজিলকে দেখার পর আমার মনে হয়েছে, ব্রাজিল অসাধারণ কিছু খেলেনি, আবার খারাপও খেলেনি। ব্রাজিল ফুটবলের চিরায়ত সেই ছন্দ বা শিহরণের অভাব ছিল। তবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা নিরাশও করেনি। তাদের ছোট ছোট পাসে ছন্দ খুঁজে পাওয়া গেছে কখনো কখনো। প্রান্ত বদল করে খেলাটাকে ঘুরিয়ে দেওয়া—এই জিনিসগুলো ছিলই।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যাটা ছিল, গোল করার দক্ষতা দেখাতে পারেনি এই ব্রাজিল। গোল করতে হলে প্রতিপক্ষকে বিচলিত করার মতো পাস চাই। এই পাসটা ছিল না উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে। ব্রাজিল কেন ব্রাজিল, সেটা বোঝাতে গেলে গোলের সুযোগ তাদের তৈরি করতেই হতো। কিন্তু সেই সুযোগ খুব বেশি তারা করতে পারেনি।
ব্রাজিলের আক্রমণভাগে অনেক সমস্যা দেখলাম। এই ব্রাজিলের সবচেয়ে দুর্বল দিকও ওটাই—ফিনিশিং। অ্যাটাকিং থার্ড পর্যন্ত গিয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে ফরোয়ার্ডরা। দক্ষ গোলদাতার অভাবটা ফুটে উঠেছে। ব্রাজিল খেলোয়াড়েরা বারের ওপর দিয়ে ধুম করে মেরে দিচ্ছে, পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যাচ্ছে...এগুলো ঠিক তাদের সঙ্গে যায় না।
আগের ব্রাজিলের সঙ্গে এই ব্রাজিলের পার্থক্যটা মূলত একটা জায়গায়ই মনে হচ্ছে—ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের অভাব আছে এই দলে। ফ্যাবিয়ানোর সঙ্গে তো আপনি রোনালদোকে মেলাতে পারবেন না। রোমারিও বলুন, রোনালদো বলুন—এই ব্রাজিলে ওই মানের স্ট্রাইকার নেই। এখানেই মার খেলেও খেতে পারে সেলেকাওরা।
ব্রাজিল তাদের আসল খেলা থেকে সরে গেছে। দুঙ্গার ব্রাজিল শুধুই জেতার জন্য খেলে। অনেক দিন ধরে চলে আসা এই বিতর্কের যৌক্তিকতা অবশ্য খুঁজে পাই না। মাঝমাঠে শিল্প করব, গোল করব না—এটা তো হয় না। দুঙ্গা নিশ্চয়ই এসব নিয়ে কাজ করছেন। তবে তাঁর যে ছক, সেই অনুযায়ীই খেলেছে ব্রাজিল। এর মধ্যে চোখে লেগেছে লুসিওর বারবার ওপরে উঠে যাওয়া। তাঁকে একটু উচ্চাভিলাষী মনে হয়েছে। আর যে গোলটা ব্রাজিল খেল, তখন তাদের রাইটব্যাক ছিল গা-ছাড়া।
মাইকনের গোলটা মুগ্ধ করার মতো। তবে আমার মনে হয় মাইকন গোলে শট নেয়নি। সে পাওয়ারের ওপর ড্রাইভ করেছে। বল বাঁক নিয়ে চলে গেছে জালে। এই গোলের পর যতটা উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারত, ব্রাজিল ততটা পারেনি।
কোরিয়াকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। প্রচুর দৌড় ছিল তাদের খেলায়। ব্রাজিলকে আটকাতে তৈরি করা গোটা তিনেক দেয়াল ভালোই কাজে দিয়েছে। রক্ষণে কোরিয়ার খেলোয়াড়দের যোগাযোগ ভালো ছিল।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেনি। শুরুটা ভালোই ছিল। তার একটা শট পোস্টেও লাগল। এরপর দেখলাম ওর মাথা গরম করার জন্য যা দরকার, পরিকল্পিতভাবে সেটাই করে গেল আইভরিকোস্ট। একবার তো ফাঁদে পা দিয়ে হলুদ কার্ডও খেল ও। দ্রগবা বদলি হিসেবে নেমে দেখিয়ে দিয়েছে কেন সে স্ট্রাইকার হিসেবে ভয়ংকর।
পরশু ব্রাজিলকে দেখার পর আমার মনে হয়েছে, ব্রাজিল অসাধারণ কিছু খেলেনি, আবার খারাপও খেলেনি। ব্রাজিল ফুটবলের চিরায়ত সেই ছন্দ বা শিহরণের অভাব ছিল। তবে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা নিরাশও করেনি। তাদের ছোট ছোট পাসে ছন্দ খুঁজে পাওয়া গেছে কখনো কখনো। প্রান্ত বদল করে খেলাটাকে ঘুরিয়ে দেওয়া—এই জিনিসগুলো ছিলই।
তবে সবচেয়ে বড় সমস্যাটা ছিল, গোল করার দক্ষতা দেখাতে পারেনি এই ব্রাজিল। গোল করতে হলে প্রতিপক্ষকে বিচলিত করার মতো পাস চাই। এই পাসটা ছিল না উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে প্রথম ম্যাচে। ব্রাজিল কেন ব্রাজিল, সেটা বোঝাতে গেলে গোলের সুযোগ তাদের তৈরি করতেই হতো। কিন্তু সেই সুযোগ খুব বেশি তারা করতে পারেনি।
ব্রাজিলের আক্রমণভাগে অনেক সমস্যা দেখলাম। এই ব্রাজিলের সবচেয়ে দুর্বল দিকও ওটাই—ফিনিশিং। অ্যাটাকিং থার্ড পর্যন্ত গিয়ে এলোমেলো হয়ে গেছে ফরোয়ার্ডরা। দক্ষ গোলদাতার অভাবটা ফুটে উঠেছে। ব্রাজিল খেলোয়াড়েরা বারের ওপর দিয়ে ধুম করে মেরে দিচ্ছে, পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যাচ্ছে...এগুলো ঠিক তাদের সঙ্গে যায় না।
আগের ব্রাজিলের সঙ্গে এই ব্রাজিলের পার্থক্যটা মূলত একটা জায়গায়ই মনে হচ্ছে—ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের অভাব আছে এই দলে। ফ্যাবিয়ানোর সঙ্গে তো আপনি রোনালদোকে মেলাতে পারবেন না। রোমারিও বলুন, রোনালদো বলুন—এই ব্রাজিলে ওই মানের স্ট্রাইকার নেই। এখানেই মার খেলেও খেতে পারে সেলেকাওরা।
ব্রাজিল তাদের আসল খেলা থেকে সরে গেছে। দুঙ্গার ব্রাজিল শুধুই জেতার জন্য খেলে। অনেক দিন ধরে চলে আসা এই বিতর্কের যৌক্তিকতা অবশ্য খুঁজে পাই না। মাঝমাঠে শিল্প করব, গোল করব না—এটা তো হয় না। দুঙ্গা নিশ্চয়ই এসব নিয়ে কাজ করছেন। তবে তাঁর যে ছক, সেই অনুযায়ীই খেলেছে ব্রাজিল। এর মধ্যে চোখে লেগেছে লুসিওর বারবার ওপরে উঠে যাওয়া। তাঁকে একটু উচ্চাভিলাষী মনে হয়েছে। আর যে গোলটা ব্রাজিল খেল, তখন তাদের রাইটব্যাক ছিল গা-ছাড়া।
মাইকনের গোলটা মুগ্ধ করার মতো। তবে আমার মনে হয় মাইকন গোলে শট নেয়নি। সে পাওয়ারের ওপর ড্রাইভ করেছে। বল বাঁক নিয়ে চলে গেছে জালে। এই গোলের পর যতটা উজ্জীবিত হয়ে খেলতে পারত, ব্রাজিল ততটা পারেনি।
কোরিয়াকে কৃতিত্ব দেওয়া উচিত। প্রচুর দৌড় ছিল তাদের খেলায়। ব্রাজিলকে আটকাতে তৈরি করা গোটা তিনেক দেয়াল ভালোই কাজে দিয়েছে। রক্ষণে কোরিয়ার খেলোয়াড়দের যোগাযোগ ভালো ছিল।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেনি। শুরুটা ভালোই ছিল। তার একটা শট পোস্টেও লাগল। এরপর দেখলাম ওর মাথা গরম করার জন্য যা দরকার, পরিকল্পিতভাবে সেটাই করে গেল আইভরিকোস্ট। একবার তো ফাঁদে পা দিয়ে হলুদ কার্ডও খেল ও। দ্রগবা বদলি হিসেবে নেমে দেখিয়ে দিয়েছে কেন সে স্ট্রাইকার হিসেবে ভয়ংকর।
No comments