আজ গোল পাবে মেসি
অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে আজ মুখোমুখি হচ্ছে নাইজেরিয়া-গ্রিস। গ্রুপ পর্বে দুই দলই তাদের প্রথম ম্যাচটা হেরে এসেছে। ফলে এই ম্যাচে হেরে গেলে প্রথম রাউন্ড থেকেই ঘরে ফেরার প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রথম ম্যাচে দ্রুতগতির ধারালো আক্রমণকারী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গ্রিসের রক্ষণভাগ ছিল নড়বড়ে। সেদিক দিয়ে নাইজেরিয়া অনেক ভালো খেলেছে, অপেক্ষাকৃত বড় শক্তির আর্জেন্টিনার কাছেই হেরেছে তারা।
গ্রিসকে আক্রমণভাগ থেকে অবশ্যই চারিস্তিয়াসকে সরাতে হবে। দলে নিয়ে আসতে হবে ক্ষিপ্রগতির সালপিংগিদিসকে এবং তার সঙ্গে জুটি গড়ে তুলতে হবে সামারাসকে। কোচ অটো রেহাগেলকে এই ম্যাচ জেতার জন্য সর্বস্ব বাজি ধরতেই হবে। আমি নিশ্চিত, রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ঘুম থেকে জাগানোর জন্য তিনি কিছু না কিছু করবেনই। হোল্ডিং মিডফিল্ড পজিশনটা দখলে রাখার জন্য কাতসুনারিস আর কারাগুনিসকেও বাড়তি কিছু করতে হবে। দলটার বয়স হয়েছে। মাঠের খেলায় বুড়োটে ভাব স্পষ্ট।
গত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নাইজেরিয়া অনেক ভালো খেলেছে। ওসাজ ওদেমউইঙ্গিকে বাঁ দিকে নামানোর ফলেই এমনটা হয়েছে। ওদের গোলরক্ষক এনাইয়ামা তো দুর্দান্ত। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তাইয়ো আর তোবো বুক চিতিয়ে লড়ে গেছে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের বিরুদ্ধে। মাঝমাঠে ইতুহুও নজর কেড়েছে। তবে ওদের ভাগ্য ভালো, মেসি, তেভেজ, হিগুয়েইনদের আবারও সামলানোর গুরুভার আর ওদের কাঁধে নেই। এই ম্যাচে আমার চোখে নাইজেরিয়ানরাই ফেবারিট। ওরা আরও বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজ আর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই খেলবে।
প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ে আর ডিয়েগো ফোরলানের বিপক্ষে যুঝতে দেখেছি ফ্রান্সকে। ওদের আক্রমণ ছিল অকার্যকর। আশা করি, ফরাসি কোচ ডমেনেখ আজ আরও বেশি সাহসী হয়ে উঠবেন, চেলসি জুটি আনেলকা আর মালুদাকে একসঙ্গেই খেলাবেন। গোভুকে তেমন কিছুই করতে দেখছি না। রিবেরিকেও ম্যাচে আরও কর্তৃত্ব করতে হবে। গোলপ্রহরী হুগো লরিস; ডিফেন্সে সানিয়া, গালাস, আবিদাল আর ইভরা আছে বলে ওদের রক্ষণটা খুবই শক্তিশালী। ওদের আমি ৪-৪-২ ছক নিয়ে খেলতে বলি। আমার আরেকটি পরামর্শ ওদের জন্য, মাঝমাঠে তুলালান আর দিয়াবিকে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করতে হবে।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচে মেক্সিকো বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করেছে ডিফেন্ডার মার্কেজের গোল। এই ম্যাচ থেকে ফল পেতে চাইলে হার্নান্দেজ, ফ্রাঙ্কো আর জিওভানি ডস সান্টোসকে ফিনিশিংয়ে আরও ভালো করতে হবে। দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে মরিয়া ফ্রান্সের ওপর ম্যাচটা জেতার চাপ থাকবে। আশা করছি, ওরা মেক্সিকোর রক্ষণে ক্রমাগত চাপ তৈরি করে ফাটল ধরাবে। কিন্তু উরুগুয়ে ম্যাচে যেমনটা খেলেছে, তার চেয়েও বেশি সৃষ্টিশীলতা দেখাতে হবে ওদের, করতে হবে আরও ভালো ফিনিশিং।
আর্জেন্টিনা আর দক্ষিণ কোরিয়া দুই দলই এই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে ওপরে আছে। দুটো দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিনটি করে পয়েন্ট পেয়েছে। যদিও সেটি ম্যারাডোনা আর তাঁর আর্জেন্টাইন তারকাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না বলেই আমি মনে করি। কারণ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার আরও বেশি গোল করা উচিত ছিল। আশা করছি, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তারা সেটি পারবে। গ্রিসের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোরীয় তারকা পার্ক জি-সুং দুর্দান্ত একটি গোল করেছিল। ডিফেন্সে চু ইয়ং-হিউং আর লি জুং-সুর খেলা আমার মনে ধরেছে। দক্ষিণ কোরীয়রা মাঝমাঠে অতিদ্রুত পাল্টা-আক্রমণ সাজিয়ে ফেলতে পারে। তবে ওদের স্ট্রাইকারদের ধারালো মনে হয়নি। রক্ষণ ওদের ভালো, তবে এও মনে রাখবেন, যেকোনো রক্ষণ তছনছ করে দেওয়ার ক্ষমতা আর্জেন্টিনার আছে। আর্জেন্টিনার জন্য খুব বেশি সমস্যা ওরা তৈরি করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য দরকারি তিনটি পয়েন্ট ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল এই ম্যাচেই পেয়ে যাবে। আর্জেন্টিনা কোনো গোল তো খাবেই না, মেসি আজ গোলও পাবে বলে আমার ধারণা।
গ্রিসকে আক্রমণভাগ থেকে অবশ্যই চারিস্তিয়াসকে সরাতে হবে। দলে নিয়ে আসতে হবে ক্ষিপ্রগতির সালপিংগিদিসকে এবং তার সঙ্গে জুটি গড়ে তুলতে হবে সামারাসকে। কোচ অটো রেহাগেলকে এই ম্যাচ জেতার জন্য সর্বস্ব বাজি ধরতেই হবে। আমি নিশ্চিত, রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের ঘুম থেকে জাগানোর জন্য তিনি কিছু না কিছু করবেনই। হোল্ডিং মিডফিল্ড পজিশনটা দখলে রাখার জন্য কাতসুনারিস আর কারাগুনিসকেও বাড়তি কিছু করতে হবে। দলটার বয়স হয়েছে। মাঠের খেলায় বুড়োটে ভাব স্পষ্ট।
গত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে নাইজেরিয়া অনেক ভালো খেলেছে। ওসাজ ওদেমউইঙ্গিকে বাঁ দিকে নামানোর ফলেই এমনটা হয়েছে। ওদের গোলরক্ষক এনাইয়ামা তো দুর্দান্ত। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার তাইয়ো আর তোবো বুক চিতিয়ে লড়ে গেছে আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ডদের বিরুদ্ধে। মাঝমাঠে ইতুহুও নজর কেড়েছে। তবে ওদের ভাগ্য ভালো, মেসি, তেভেজ, হিগুয়েইনদের আবারও সামলানোর গুরুভার আর ওদের কাঁধে নেই। এই ম্যাচে আমার চোখে নাইজেরিয়ানরাই ফেবারিট। ওরা আরও বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজ আর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই খেলবে।
প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ে আর ডিয়েগো ফোরলানের বিপক্ষে যুঝতে দেখেছি ফ্রান্সকে। ওদের আক্রমণ ছিল অকার্যকর। আশা করি, ফরাসি কোচ ডমেনেখ আজ আরও বেশি সাহসী হয়ে উঠবেন, চেলসি জুটি আনেলকা আর মালুদাকে একসঙ্গেই খেলাবেন। গোভুকে তেমন কিছুই করতে দেখছি না। রিবেরিকেও ম্যাচে আরও কর্তৃত্ব করতে হবে। গোলপ্রহরী হুগো লরিস; ডিফেন্সে সানিয়া, গালাস, আবিদাল আর ইভরা আছে বলে ওদের রক্ষণটা খুবই শক্তিশালী। ওদের আমি ৪-৪-২ ছক নিয়ে খেলতে বলি। আমার আরেকটি পরামর্শ ওদের জন্য, মাঝমাঠে তুলালান আর দিয়াবিকে আরও বেশি প্রভাব বিস্তার করতে হবে।
প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ম্যাচে মেক্সিকো বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করেছে ডিফেন্ডার মার্কেজের গোল। এই ম্যাচ থেকে ফল পেতে চাইলে হার্নান্দেজ, ফ্রাঙ্কো আর জিওভানি ডস সান্টোসকে ফিনিশিংয়ে আরও ভালো করতে হবে। দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে মরিয়া ফ্রান্সের ওপর ম্যাচটা জেতার চাপ থাকবে। আশা করছি, ওরা মেক্সিকোর রক্ষণে ক্রমাগত চাপ তৈরি করে ফাটল ধরাবে। কিন্তু উরুগুয়ে ম্যাচে যেমনটা খেলেছে, তার চেয়েও বেশি সৃষ্টিশীলতা দেখাতে হবে ওদের, করতে হবে আরও ভালো ফিনিশিং।
আর্জেন্টিনা আর দক্ষিণ কোরিয়া দুই দলই এই গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলে ওপরে আছে। দুটো দলই নিজেদের প্রথম ম্যাচে তিনটি করে পয়েন্ট পেয়েছে। যদিও সেটি ম্যারাডোনা আর তাঁর আর্জেন্টাইন তারকাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না বলেই আমি মনে করি। কারণ নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার আরও বেশি গোল করা উচিত ছিল। আশা করছি, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তারা সেটি পারবে। গ্রিসের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোরীয় তারকা পার্ক জি-সুং দুর্দান্ত একটি গোল করেছিল। ডিফেন্সে চু ইয়ং-হিউং আর লি জুং-সুর খেলা আমার মনে ধরেছে। দক্ষিণ কোরীয়রা মাঝমাঠে অতিদ্রুত পাল্টা-আক্রমণ সাজিয়ে ফেলতে পারে। তবে ওদের স্ট্রাইকারদের ধারালো মনে হয়নি। রক্ষণ ওদের ভালো, তবে এও মনে রাখবেন, যেকোনো রক্ষণ তছনছ করে দেওয়ার ক্ষমতা আর্জেন্টিনার আছে। আর্জেন্টিনার জন্য খুব বেশি সমস্যা ওরা তৈরি করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর তাই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার জন্য দরকারি তিনটি পয়েন্ট ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল এই ম্যাচেই পেয়ে যাবে। আর্জেন্টিনা কোনো গোল তো খাবেই না, মেসি আজ গোলও পাবে বলে আমার ধারণা।
No comments